This Article is From Jan 13, 2020

"৫ জন সমালোচক নির্বাচন করুন ...": নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মোদিকে পরামর্শ চিদাম্বরমের

Citizenship Amendment Act: দেশে ধর্মের ভিত্তিতে এই প্রথম নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে, বিরোধীদের তোলা অভিযোগের জবাব দিতে মহাত্মা গান্ধির প্রসঙ্গ তোলেন মোদি

CAA Protest: প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্যের সমালোচনায় মুখ খুললেন পি চিদাম্বরম (ফাইল চিত্র)

হাইলাইটস

  • নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী মোদিকে পরামর্শ দিলেন চিদাম্বরম
  • ৫ জন সমালোচকের প্রশ্নের মুখোমুখি হোন প্রধানমন্ত্রী, পরামর্শ কংগ্রেস নেতার
  • মোদি বলেন, "নাগরিকত্ব আইন কোনও ব্যক্তির নাগরিকত্ব কাড়বে না"
নয়া দিল্লি:

দেশ জুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ (CAA Protest) চলছে, গোটা দেশ যেন বারুদের স্তূপের উপর বসে আছে। ঠিক এই সময় বিতর্কিত এই আইনটি (Citizenship Amendment Act) নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পরামর্শ দিতে এগিয়ে এলেন কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী (P Chidambaram) টুইট করে প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে পরামর্শ দিলেন। রবিবার ফের একবার নাগরিকত্ব আইনের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে এই আইনটি কারও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেবে না। এই প্রসঙ্গে প্রবীণ ওই কংগ্রেস নেতার দেশের প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ: "এই আইনের বিরুদ্ধে করা সবচেয়ে স্পষ্টবাদী সমালোচকদের মধ্যে ৫ জনকে নির্বাচন করুন এবং তাঁদের সঙ্গে টিভিতে প্রশ্নোত্তর মূলক একটি অনুষ্ঠান করুন"।  দেশে ধর্মের ভিত্তিতে এই প্রথম নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে, বিরোধীদের তোলা অভিযোগের জবাব দিতে মহাত্মা গান্ধির প্রসঙ্গ তোলেন মোদি।

"নাগরিকত্ব আইন (কারও) নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে মহাত্মা গান্ধিজি এবং তৎকালীন অন্যান্য বড় নেতারা সকলেই বিশ্বাস করতেন যে ভারতের উচিত পাকিস্তানে থাকা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের এ দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া", কলকাতা সফরের দ্বিতীয় দিনে ওই বিতর্কিত আইনটি প্রসঙ্গে এভাবেই গান্ধিজির উদাহরণ তুলে বলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে আজ বিরোধীদের বৈঠক, থাকছেন না মমতা

টুইটারে বেশ ধারালো আক্রমণ করেন পি চিদাম্বরম। মোদি "একটি উঁচু মঞ্চ বা প্ল্যাটফর্ম থেকে শুধু নীরব শ্রোতাদের সঙ্গে কথা বলেন কিন্তু তাঁদের প্রশ্নের জবাব দেন না", বলেন প্রবীণ ওই কংগ্রেস নেতা। "প্রধানমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী সিএএ হ'ল নাগরিকত্ব দেওয়া, নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়া নয়। কিন্তু আমরা অনেকেই এটা বিশ্বাস করি যে সিএএ (এনপিআর বা এনআরসি এর সঙ্গে মিলে) অনেক মানুষকেই "অ-নাগরিক" হিসাবে ঘোষণা করবে এবং তাঁদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে", আরেকটি পোস্টে লেখেন তিনি।

আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন ৭৪ বছর বয়সী কংগ্রেস নেতা। তিনি নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে একটি পরামর্শ দিয়েছেন। "প্রধানমন্ত্রীর উচিত তাঁর সবচেয়ে বড় সমালোচকদের মধ্যে ৫ জনকে নির্বাচন করা এবং তাঁদের সঙ্গে টিভিতে প্রশ্নোত্তর মূলক একটি অনুষ্ঠান করা, তাহলেই সিএএ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারবেন তিনি", টুইট করেন চিদাম্বরম।

তিনি আরও লেখেন, "আমি আন্তরিকভাবে আশা করি যে প্রধানমন্ত্রী এই পরামর্শকে ভালভাবে নেবেন এবং এই বিষয়ে সদ্ব্যর্থক সাড়া দেবেন।"

এদিকে শনিবার কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি ফের একবার ওই বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। নাগরিকত্ব আইনকে ফের একবার "বৈষম্যমূলক এবং বিভেদ সৃষ্টিকারী" আইন বলে উল্লেখ করে তোপ দেগে তিনি বলেন যে, এই আইনের আসল উদ্দেশ্য হল ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে বিভক্ত করা। কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে তিনি বলেন," সিএএ একটি বৈষম্যমূলক ও বিভেদ সৃষ্টিকারী আইন। এই আইনের কু-উদ্দেশ্য প্রতিটি দেশপ্রেমিক, সহনশীল এবং ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয়দের কাছে স্পষ্ট: এটি ভারতীয় জনগণকে ধর্মীয় ভিত্তিতে বিভক্ত করে"। 

"সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরে উত্তরপ্রদেশের মতোই গুলি করে মারা উচিত": দিলীপ ঘোষ

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সারা দেশে বিক্ষোভ চলছে। বিশেষত কলেজ ক্যাম্পাসে এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতে এই প্রথমবার নাগরিকত্ব আইনে ধর্মকে নাগরিক হওয়ার মাপকাঠি করা হয়েছে। সরকারের দাবি, এই আইনের ফলে, ২০১৫ এর আগে, ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে চলে আসা তিন মুসলিম অধ্যুষিত দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ সহজ হবে । কিন্তু সমালোচকদের দাবি, এই আইনটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিভাজনমূলক এবং তা সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতাকে লঙ্ঘন করে।

.