This Article is From Jan 12, 2020

নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি নিয়ে সোমবার বৈঠকে বসবেন বিরোধীরা

বিরোধী ঐক্য বোঝাতে ওই বৈঠকের আয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রানুসারে, বৈঠকে থাকবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বহুজন সমাজবাদী পার্টির প্রধান মায়াবতী।

নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি নিয়ে সোমবার বৈঠকে বসবেন বিরোধীরা

সংশোধিত নাগরিকত্ব ও এনআরসির প্রতিবাদে মুখর দেশের বিভিন্ন রাজ্য।

নয়াদিল্লি:

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) ও প্রস্তাবিত এনআরসি (NRC) এবং তার প্রতিবাদে দেশজুড়ে ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার বিকেলে আলোচনায় বসবে বিরোধী দলগুলি (Opposition Meet)। বিরোধী ঐক্য বোঝাতে ওই বৈঠকের আয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রানুসারে, বৈঠকে থাকবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বহুজন সমাজবাদী পার্টির প্রধান মায়াবতী। গত সপ্তাহে ভারত বনধের দিন তৃণমূল কংগ্রেস ও বামকর্মীদের সংঘর্ষের পরে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি সোমবারের বৈঠকে থাকবেন না। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, ‘‘গতকাল রাজ্যে যা হয়েছে, তারপর আমার পক্ষে বৈঠকে থাকা সম্ভব নয়।''

তিনি বলেন, ‘‘আমিই সিএএ ও এনআরসির বিরুদ্ধে এই আন্দোলন শুরু করেছিলাম। বাম দলগুলি ও কংগ্রেস সিএএ-এনআরসির নামে যা শুরু করেছে তা কোনও আন্দোলন নয়। গুন্ডামি।''

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সেরেই সিএএ বিরোধী সভায় গেলেন মুখ্যমন্ত্রী

এদিকে মায়াবতীও কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধি ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধিকে আক্রমণ করে রাজস্থানের কোটায় শিশুমৃত্যুর জন্য দায়ী করেন। তিনি বলেন, যদি সনিয়া কোটায় গিয়ে সন্তানহারা মায়েদের সঙ্গে দেখা না করেন, তাহলে উত্তরপ্রদেশের আক্রান্তদের পরিবারের সঙ্গে তাঁর বৈঠককে মনে করা হবে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও নাটক'।

শনিবার সনিয়া গান্ধি দাবি করেন, ‘‘নাগরিকত্ব আইন বৈষম্যমূলক  ও বিভাজক আইন। এবং এই আইনের অশুভ উদ্দেশ্য প্রত্যেক দেশপ্রেমী, সহনশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয়দের কাছে স্পষ্ট। এটা ভারতের মানুষকে ধর্মীয় ভাবে বিভাজন করবে।'' শনিবার দিল্লিতে দলের শীর্ষপদস্থদের বৈঠকে একথা বলেন সনিয়া।

‘‘নাগরিকত্ব আইন নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না'': কলকাতায় দ্বিতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী

গত মাসে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার পড়ুয়ারা এই আইনের বিরোধিতা করেন। এরপর সেই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে দেশভর। নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলিও সেই আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ে।

বিজেপি বারবার কংগ্রেসকে দেশজুড়ে হিংসায় মদত দেওয়ায় অভিযুক্ত করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দেশের বহু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই জানিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের রাজ্যে এটি প্রয়োগ করতে দেবে না। 

.