This Article is From Apr 20, 2019

তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ অস্বীকার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির

তিনি আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগও নেই। এবার, মানুষকে তো কিছু একটা খুঁজে বের করতে হবে কাদা ছেটানোর জন্য। তাই এটাই বের করেছে”!

অভিযোগ অস্বীকার করলেন রঞ্জন গগৈ (ফাইল চিত্র)

নিউ দিল্লি:

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্তার অভিযোগকে অত্যন্ত কড়াভাবে নস্যাৎ করে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। শনিবার তিনি বলেন, বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতাই এখন ‘হুমকির মুখে'। একটি এফিডেবিটের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের এক প্রাক্তন কর্মচারী ‘তাঁকে যৌন হেনস্তা করা হয়েছে প্রধান বিচারপতির দ্বারা' এই অভিযোগ করার পর শনিবার সুপ্রিম কোর্টের তড়িঘড়ি একটি বিশেষ বেঞ্চের মাধ্যমে শুনানি হয়। প্রধান বিচারপতি বলেন, “এটা অবিশ্বাস্য। এই অভিযোগ সম্বন্ধে একটি কথাও বলতেও আমার বিশ্রী লাগছে। অভিযোগটি এতটাই জঘন্য যে, এটা অস্বীকার করার মতো প্রবৃত্তিও আমার হচ্ছে না”। প্রসঙ্গত, এই শুনানি যে বেঞ্চটি শুনছিল, তাঁর নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ স্বয়ং। যদিও, তিনি জানিয়ে দেন যে, এই মামলার রায় তিনি দেবেন না। তাঁর বদলে রায় দেবেন সবথেকে সিনিয়র বিচারপতি অরুণ মিশ্র।

রঞ্জন গগৈ অভিযোগ করেন, “এর পিছনে নিশ্চিতভাবে কোনও অতি বড় শক্তি কাজ করছে। যাদের চেষ্টা হল এই প্রধান বিচারপতির পদটির বিরুদ্ধে কাদা ছেটানো”।

সাধ্বী প্রজ্ঞার পাশে দাঁড়িয়ে মোদী বললেন, 'কংগ্রেসকে এর ফল ভুগতে হবে'

প্রধান বিচারপতি এই কথাও জানান যে, অভিযোগগুলিকে একটু কাটছাঁট করা হয়েছে। কারণ, আগামী সপ্তাহেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মামলার শুনানি রয়েছে শীর্ষ আদালতে। তাঁর কথায়, “আমি এই চেয়ারটিতেই বসব এবং যা যা রায় দেওয়ার তা অকুতোভয় হয়েই দেব। ব্যাপারটা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। এটা মানা যায় না। বিচারব্যবস্থাকে বলির পাঁঠা করে রাখা যেতে পারে না”।

তিনি আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগও নেই। এবার, মানুষকে তো কিছু একটা খুঁজে বের করতে হবে কাদা ছেটানোর জন্য। তাই এটাই বের করেছে”!

তিনি অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে আরও বলেন, “আমি নিঃস্বার্থভাবে গত ২০ বছর ধরে বিচারপতির দায়িত্ব পালন করছি। আমার মোট ব্যাঙ্ক ব্যালান্স হল ৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। আমার পিওনেরও এর থেকে বেশি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স রয়েছে। ২০ বছর বাদে একজন প্রধান বিচারপতির কি এই ‘পুরস্কার'-টাই পাওয়া বাকি ছিল”?

এই মামলার রায় যিনি দেবেন, সেই বিচারপতি অরুণ মিশ্র বলেন, “এই ধরনের বিবেকবর্জিত অভিযোগের ফলে মানুষের মনে বিচারব্যবস্থার জন্য যে সম্মান ও ভরসার আসনটি রাখা, সেটি টলমল করে ওঠে”।

.