কলকাতা: ব্যারাকপুর রামকৃষ্ণ মিশনের এক সন্ন্যাসীকে কলকাতা হাইকোর্ট গতকাল এক দাম্পত্য কলহে জেরবার দম্পতির কাউন্সেলিং করার অনুরোধ করল। এই অনুরোধের মূল কারণ, তাঁদের দুজনের 16 বছরের কন্যা। সে যাতে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে এবং ঠিকঠাক শিক্ষা পায় তা নিশ্চিত করার জন্যই এই অনুরোধ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়া স্থানীয় থানার পুলিশকে নির্দেশ দিলেন, ওই দম্পতির বাসস্থানে শান্তি বজায় থাকছে কি না তার দিকে লক্ষ রাখতে। ওই মেয়েটির ঠাকুমা বেলারানি আদালতে প্রথম পিটিশন দাখিল করে জানান যে, তাঁর নাতনির ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করছে তাঁর পুত্রবধূ। অথচ পুলিশকে বারবার জানানো সত্ত্বেও তারা কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
ওই কিশোরীর স্বাভাবিক জীবনযাপন ও সঠিক শিক্ষাই তাঁর প্রাথমিক উদ্বেগ বলে দাবি করে বিচারপতি পাথেরিয়া, যিনি ঘটনাচক্রে হাইকোর্টের জুভেনাইল জাস্টিস কমিটিরও চেয়ারপার্সন, ওই দম্পতি তারক দাস ও বীণা দাসের সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলেন ওই কিশোরীর সঙ্গেও।
আদালত জানায় আগামী বছর দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় বসতে চলা ওই কিশোরীর পড়াশোনা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। সেই কারণেই ব্যারাকপুর রামকৃষ্ণ মিশনের সংশ্লিষ্ট সন্ন্যাসীকে আদালতের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হল যাতে তিনি ওই দম্পতির সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সংসারে শান্তি বজার রাখার যথার্থতা সম্বন্ধে বোঝাতে পারেন। আদালত এটিও জানিয়েছে যে রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে ওই কিশোরীর বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণেরও বন্দোবস্ত করা হবে। যাতে সে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারে এবং নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পারে।
এছাড়া টিটাগড় থানার ওসিকে বিচারপতি পাথেরিয়া যখনই সময় পাওয়া যাবে তখনই ওই দম্পতির বাসস্থানে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এছাড়া, আগামী তিনমাস একজন কনস্টেবলও প্রতি পনেরোদিন অন্তর ওই বাড়িতে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আসবেন বলে জানা গিয়েছে।