This Article is From Jun 09, 2020

বাংলার করোনা সঙ্কট কাটাতে যথেষ্ট সময় দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী: বিজেপি

Coronavirus: রাজ্য বিজেপি করোনা ভাইরাসের সঙ্কট মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গে পূর্ণ-সময়ের জন্যে একজন স্বাস্থ্য মন্ত্রী নিয়োগের দাবি জানিয়েছিল

বাংলার করোনা সঙ্কট কাটাতে যথেষ্ট সময় দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী: বিজেপি

West Bengal Coronavirus Crisis: কিছু পরামর্শ সহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ

হাইলাইটস

  • রাজ্যের করোনা ও আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বিজেপির
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে পরামর্শ দিলেন দিলীপ ঘোষ
  • একজন পূর্ণ সময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিয়োগের বিষয়ে বললেন বিজেপি সভাপতি
কলকাতা:

রাজ্যের (West Bengal) স্বাস্থ্য দফতর রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে, কিন্তু করোনা ভাইরাসের (Coronavirus)সঙ্কট মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করছেন না তিনি, অভিযোগ তুলল বিরোধী দল বিজেপি (BJP)। পাশাপাশি এই কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে পশ্চিমবঙ্গে পূর্ণ-সময়ের জন্যে একজন স্বাস্থ্য মন্ত্রী নিয়োগের দাবিও জানিয়েছিল গেরুয়া দল। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই করোনার বাড়বাডন্ত রুখতে এবং ঘূর্ণিঝড় আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি সামলাতে কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার পরামর্শ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) একটি চিঠিও দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের মনরেগা প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা ও চাকরি দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। 

করোনা বধে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যে জারি করলেন নতুন নির্দেশিকা

দিলীপ ঘোষ চিঠিতে বলেন, যেহেতু স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে আরও বেশ কয়েকটি বিভাগ পরিচালনা করতে হয় তাই কোভিড-১৯ এর বাড়বাড়ন্তের মোকাবিলায় তিনি ততটা সময় দিতে পারছেন না। বিজেপির পক্ষ থেকে দেওয়া ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, "আমরা প্রস্তাব করছি যে একজন পূর্ণসময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিযুক্ত করা হোক রাজ্যে যিনি করোনা পরিস্থিতির ফলে রাজ্যের মানুষের যে স্বাস্থ্য সঙ্কট তৈরি হয়েছে তার মোকাবিলা করবেন। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রীর কাঁধে আরও নানা গুরুদায়িত্ব আছে তাই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তিনি পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করতে পারছেন না"।

বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে জোরদার ভার্চুয়াল প্রচারে আজ অমিত শাহ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেভাবে আমফান কবলিত অঞ্চলগুলিতে আকাশপথে সফর করে রাজ্যকে ১০০০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করেন তার প্রশংসা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ঘূর্ণিঝড়ে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া উচিত এবং গুরুতর আহতদের জন্য ৫০,০০০ টাকা করে সাহায্য করা উচিত।

বিজেপি সাংসদ এই পরামর্শও দেন যে, সমস্ত ঘূর্ণিঝড় ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলির মানুষজনেরা যাতে খাবার, পানীয় জল, নিরাপদ আশ্রয় এবং চিকিৎসা সহায়তা পান সেই জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করা উচিত রাজ্য সরকারের।পাশাপাশি তিনি এও দাবি করেন যে, বিভিন্ন জেলার আরও বেশি করে মানুষদের শরীর থেকে নমুনা নিয়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে কিনা তা জানার জন্যে পরীক্ষা করা উচিত এবং যেখানে যেখানে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য যথাযথ পরিকাঠামো নেই সেখানে তা গড়ে তোলা উচিত।
রাজ্যের ঘূর্ণিঝড়প্রবণ অঞ্চলগুলিতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় পাকা বাড়ি তৈরি করা উচিত যাতে সেখানকার মানুষজনকে আর কাঁচাবাড়িতে বাস করতে না হয়, এই পরামর্শও দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।

সেই সঙ্গে রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে এই অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন দিলীপ ঘোষ। বেআইনি ভাবে কিছু লোক রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা থেকে খাদ্যশস্য চুরি করছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, "আমরা আপনার কাছে অনুরোধ করছি যাতে পশ্চিমবঙ্গের দরিদ্র পরিবারগুলির বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়া যায় এব্যাপারে উদ্যোগ নিন আপনি"।

.