ঢাকা: প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছিল বৃহস্পতিবার থেকেই। শুক্রবার বাংলাদেশ দক্ষিণ পশ্চিমের জেলাগুলি থেকে ৫ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে দিল সুপার সাইক্লোন ‘ফণী''র(Fani) প্রকোপ থেকে বাঁচানোর জন্য। মনে করা হচ্ছে, ভারতের উপকূল অঞ্চলে তাণ্ডব চালানোর পরই প্রবল রোষ নিয়ে ভারতের প্রতিবেশি রাষ্ট্রের ওপর শনিবার আছড়ে পড়বে ‘ফণী'(Cyclone Fani)। বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতরের মুখপাত্র ওমর ফারুক বলেন, এই ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড়টি খুলনার উপকূলবর্তী অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এবং, সারারাত ধরেই তাণ্ডব চালাবে দেশজুড়ে। শুক্রবার দুপুর থেকেই বাংলাদেশের বহু অঞ্চলের আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায়। প্রসঙ্গত, গত এক দশকের মধ্যে ‘ফণী'র(Cyclone Fani) মতো এত শক্তিশালী সাইক্লোন এশিয়ার এই অংশে হানা দেয়নি বলে জানায় আবহাওয়া দফতর।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে লণ্ডভণ্ড ওড়িশা, উড়ল এআইএমএসের হস্টেলের ছাদ
১৯'টি উপকূলবর্তী জেলা থেকে কয়েক লক্ষ মানুষকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবারই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে। বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকেও। ইতিমধ্যেই ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছে, ‘ফণী'(Fani) হল অতি শক্তিশালী একটি সাইক্লোন। বাংলাদেশের বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রকের পদস্থ সচিব শাহ কামাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, শুক্রবার সকাল ১০'টার মধ্যে ১৯'টি উপকূলবর্তী জেলা এবং সমুদ্রের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে বহু মানুষকে অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়ার কড়া নির্দেশ জারি করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে। এই ১৯'টি জেলার মানুষদের সরিয়ে নিয়ে গিয়ে রাখা হবে এক-একটি অস্থায়ী শিবিরে। এমন অস্থায়ী শিবিরের মোট সংখ্যা চার হাজারেরও বেশি। স্থানীয় স্কুলগুলিকেও অস্থায়ী শিবির হিসাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। ব্যবস্থা হয়েছে খাদ্য ও পানীয়েরও।
বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী এনামুর রহমান বললেন, “আমরা ‘ফণী'র(Fani) সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য এখন পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে গিয়েছি। আশা করি, এই ভয়ঙ্কর শক্তিশালী সাইক্লোনের ফলে কারও প্রাণসংশয় হবে না। তেমন সম্ভাবনা আর নেই বললেই চলে”।
এনামুর বলেন, উপকূলীয় ১৯টি জেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা ছাড়াও উপকূলীয় সেনা ক্যাম্পগুলিতে বার্তা পাঠানো হয়েছে। তারাও প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৫৬,০০০ স্বেচ্ছাসেবককেও তৈরি রাখা হয়েছে।