This Article is From Dec 21, 2019

বাংলার পথে কেরলও, আপাত বন্ধ জনগণনা

এই নাগরিকত্ব আইন (NRC) মেনে নিলে জনগণনায় সুবিচার হবে না। তাই আপাতত এই পদ্ধতি বন্ধ রাখা হচ্ছে।

বাংলার পথে কেরলও, আপাত বন্ধ জনগণনা

আদমসুমারি আপাত স্থহিত কেরলেও

তিরুবনন্তপুরম:

পশ্চিমবঙ্গের দেখানো পথে হাঁটল Kerala-ও। সংশোধিত নাগরিক আইনের বিরোধিতা করে শুক্রবার জনগণনা (NPR) স্থগিতের নির্দেশ দিল কেরল সরকার। এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অসাংবিধানিক। এই নাগরিকত্ব আইন (NRC) মেনে নিলে জনগণনায় সুবিচার হবে না। তাই আপাতত এই পদ্ধতি বন্ধ রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সিপিআই(এম) নেতৃত্বাধীন সরকারের মদতে কেরলের বেশ কিছু অঞ্চলে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখান রাজ্যবাসী। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই নাগরিকত্ব আইনের সংস্কার চেয়ে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস বন্ধ করে দেয় জনগণনা।

১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে এদেশে জন্ম হলে তারা ভারতীয় নাগরিক! জানাল কেন্দ্র

গতকাল রাজ্যের মুখ্য সচিব এক নির্দেশিকায় জানিয়েছেন, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এমনিতেই বিভ্রান্ত সাধারণ মানুষ। এর ওপর জনগণনা শুরু হলে সেই বিভ্রান্তি আরও বাড়বে। তাই সবার আগে নাগরিকত্ব আইনের আশু পরিবর্তন দরকার। যতদিন তা না হচ্ছে ততদিন বন্ধ থাকবে এই বিশেষ প্রক্রিয়া। একই সুর শোনা গেছে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের কথাতেও। তাঁর দাবি, নয়া সংশোধিত আইন মেনে নিতে পারছে না কেরল সরকার। এই আইন যেমন অত্যন্ত ধর্মগন্ধী তেমনই দেশবাসীর মধ্যে বিভেদ টানছে। এই অবস্থায় জনগণনা হলে তা আরও বিদ্বেষ ছড়াবে রাজ্যবাসীর মনে। ফলে, এই জনগণনাও তাঁর চোখে অসংবিধানিক। সোমবার নয়া আইনের বিরোধিতা করে কংগ্রেস সমর্থিত UD-এর সঙ্গে একযোগে প্রতিবাদও জানায় কেরল সরকার।

জনগণের কণ্ঠস্বর উপেক্ষা করবেন না: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ২৯ মে-র মধ্যে বাড়ি বাড়ি ঘুরে জনগণনা এবং বসতির সংখ্যা লিপিবদ্ধ করার কাজ খাতায়কলমে শুরু হবে বলে ঠিক ছিল। সরকারি ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছিল, এনপিআর-এর উদ্দেশ্য সমস্ত দেশবাসীর একটি বিস্তৃত পরিচয়লিপি তৈরি করা। সেখানে বায়োমেট্রিকের পাশাপাশি ডেমোগ্রাফিক বিবরণও থাকবে।

.