This Article is From Dec 29, 2019

"প্রত্যেক প্রতিবাদীকে উচিত শিক্ষা দেওয়া হয়েছে": যোগী আদিত্যনাথ

Citizenship Amendment Act: কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনা গেছে, দাবি উত্তরপ্রদেশ সরকারের, দমনমূলক পদক্ষেপ ন্যায়সঙ্গত, বললেন যোগী

Uttar Pradesh: দৃষ্টান্তমূলক প্রতিবাদ দমনে সক্ষম হয়েছে তাঁর সরকার, দাবি যোগী আদিত্যনাথের

হাইলাইটস

  • উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভকারীদের দমাতে কড়া পদক্ষেপ সরকারের
  • যোগী সরকার ওই পদক্ষেপকে ন্যায়সঙ্গত বলে দাবি করল
  • যাঁরা ভাঙচুর করবেন তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হবে, বিধান যোগী সরকারের
লখনউ:

যেভাবে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship Amendment Act) বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা প্রতিবাদীদের শায়েস্তা করতে দমনমূলক পথ অবলম্বন করেছে তা নিয়ে গোটা দেশে তুমুল সমালোচনা হলেও নিজের পুলিশ-প্রশাসনের পাশেই দাঁড়ালেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমেই রাজ্যে (Uttar Pradesh) শান্তি ফিরিয়ে আনা গেছে, তাই এই দমনমূলক পদক্ষেপ ন্যায়সঙ্গত, বললেন তিনি (Yogi Adityanath)। এই সমস্ত বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপই তাঁদের চুপ করিয়ে দিতে পেরেছে, মনে করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। "প্রত্যেক অশান্তি সৃষ্টিকারী হতবাক। প্রত্যেক সমস্যা সৃষ্টিকারী হতবাক। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের কঠোরতা দেখে প্রত্যেকে চুপ করে গেছেন। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে, জনগণের সম্পত্তি যাঁরা নষ্ট করবে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। হিংসার পথ বেছে নেওয়া প্রত্যেক বিক্ষোভকারী এখন কান্নাকাটি করছে, কারণ উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের কঠোরতা", রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কার্যালয় থেকে এই টুইটটি করা হয়।

এই টুইটের হ্যাশট্যাগ ছিল # গ্রেট_সিএম যোগী।

এই টুইটটিতে আসলে উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভের নামে ভাঙচুরের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে নেওয়া যোগী সরকারের একটি কঠোর পদক্ষেপের উল্লেখ ছিল। চলতি মাসের গোড়ার দিকে সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিলটি পাসের পরেই উত্তরপ্রদেশে সহিংস বিক্ষোভ দেখা যায়। বিক্ষোভের নামে সেখানে চলে অবাধে ভাঙচুর।

উত্তরপ্রদেশে ধরপাকড়, "উস্কানিমূলক" পোস্ট করে গ্রেফতার ১২৪, নজরে ১৯ হাজার অ্যাকাউন্ট

পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে কঠোর পদক্ষেপ করে যোগী প্রশাসনও। সহিংস বিক্ষোভের জেরে যোগী রাজ্যে মৃত্যু হয় ২১ জনের। অভিযোগ ওঠে যে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের চালানো গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। যদিও বিজনৌরের একটি মাত্র ঘটনা বাদে আর কোনও জায়গায় বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালানোর কথা স্বীকার করেনি সরকার।

"যে সমস্ত লোক সহিংস বিক্ষোভের পথ বেছে নিয়ে জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করেছে এখন তাঁদের সেই সব লোকসানের জন্যে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে", সরকারের তরফে অন্য একটি টুইটে লেখা হয় এই কথা। কীভাবে সহিংস প্রতিবাদকে দমন করা উচিত তার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ তৈরি করেছে সরকার, এমন দাবিও করা হয়।

হিংসাত্মক নাগরিক বিক্ষোভের মাঝে আটকে মুসলিম বরযাত্রী! কী করলেন উত্তরপ্রদেশের হিন্দুরা?

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে যে তারা মোট ৪৯৮ জন লোককে সনাক্ত করেছে, যার মধ্যে শুধু মিরাটেই আছে ১৪৮ জন, যাদের ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হবে। রাজ্য আধিকারিকরা এর আগেই জানান যে রামপুর সহ কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত বিক্ষোভকারীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পদক্ষেপ শুরু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার, পুলিশ আধিকারিকরা আরও জানান যে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের অভিযোগে রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ১,১১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আরও একটি টুইটে একথাও দাবি করা হয় যে, রাজ্যে বর্তমানে শান্তি ফিরে এসেছে।

দেখে নিন দেশের অন্যান্য খবর:

.