This Article is From Aug 17, 2018

সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন অটলজি : রাজীব শুক্ল

তিনি একজন আবেগপ্রবণ মানুষ। প্রাক্তন সাংবাদিক এবং অধুনা কংগ্রেস নেতা রাজীব শুক্ল স্মৃতিচারণ করছিলেন আজ থেকে বাইশ বছর আগে তাঁর নেওয়া অটলবিহারী বাজপেয়ীর সাক্ষাৎকারটির।

সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন অটলজি : রাজীব শুক্ল

গতকাল বিকেল পাঁচটা বেজে পাঁচ মিনিটে প্রয়াত হন বাজপেয়ী।

নিউ দিল্লি:

তিনি সর্বজনশ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদ, অতি দক্ষ প্রশাসক, অসামান্য কূটনীতিজ্ঞ, কবি, বাগ্মী। তাঁর একের পর এক পরিচয়ের তালিকা যেন শেষ হওয়ার নয়। কিন্তু, এই সব পরিচয় পেরিয়েও আরেকটি জায়গায় স্থির হওয়া যায়, অন্তত তাঁর ক্ষেত্রে, নির্দ্বিধায়। তা হল- তিনি একজন মানুষ। তিনি একজন আবেগপ্রবণ মানুষ। প্রাক্তন সাংবাদিক এবং অধুনা কংগ্রেস নেতা রাজীব শুক্ল স্মৃতিচারণ করছিলেন আজ থেকে বাইশ বছর আগে তাঁর নেওয়া অটলবিহারী বাজপেয়ীর সাক্ষাৎকারটির। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম যেদিন শপথ নিয়েছিলেন তিনি ওই বছর, সেই দিনেই সাক্ষাৎকারটি নেন রাজীব। তিনি বলছিলেন সাক্ষাৎকারটি দিতে গিয়ে কীভাবে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন অটল। কান্নার কারণটি, অন্তত একজন জননেতা হিসেবে তাঁর কাছে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি কাঁদছিলেন, প্রধানমন্ত্রীত্বের পরে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়ার আশঙ্কায়।

“আমি 1996 সালে সাক্ষাৎকার নিই অটলবিহারী বাজপেয়ীর। উনি সেই সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। আমি ওঁকে বলি, অটলজি, এখন থেকে আপনিই দেশের প্রধানমন্ত্রী। দেশের সর্বোত্তম নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঘিরে থাকবে আপনাকে। ঘিরে থাকবে বহু নিরাপত্তারক্ষী। এই নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেদ করে যাওয়া তো খুব মুশকিল। মানুষের সঙ্গে দূর থেকে যোগাযোগ রাখতে হবে এখন আপনাকে। এই সব বলছিলাম। হঠাৎ দেখলাম উনি কাঁদছেন”, স্মৃতিচারণ করছিলেন রাজীব শুক্ল।

অটলবিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করে তিনি বলেন, “অটলজির রাজনীতি ছিল, সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলার রাজনীতি। কখনওই কোনও ভেদাভেদ করেননি তিনি এই ব্যাপারে। তাঁর মতাদর্শ ভিন্ন হলেও, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি সবাইকে একসঙ্গে নিয়েই চলতে পছন্দ করতেন। বিরোধীরা তাঁর সান্নিধ্যে এসে অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করত। কারওকে অপমান করতেন না তিনি। ব্যবহার ছিল ভীষণ নম্র। যার ফলে দলমত নির্বিশেষ সকলের শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসা পেয়ে গিয়েছেন।”

“আজকের নেতাদের তাঁর কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু ও লালবাহাদুর শাস্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা ও ঐতিহ্যকেই তিনি নিজের রাজনৈতিক জীবনেও কাজে লাগিয়েছিলেন”, বলেন রাজীব শুক্ল।  

গতকাল দিল্লির এইমসে বিকেল পাঁচটা বেজে পাঁচ নাগাদ প্রয়াত হন অটলবিহারী বাজপেয়ী। তাঁর বয়স হয়েছিল তিরানব্বই বছর। তিনি রেখে গেলেন তাঁর পালিতা কন্যা নমিতা কল ভট্টাচার্যকে।   



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)
.