This Article is From Jun 15, 2020

করোনা থেকে বাঁচতে এলিফ্যান্ট ওয়াচ টাওয়ারে কোয়ারান্টাইন ২ ভাই!

Jalpaiguri: হোটেল ম্যানেজমেন্টের ডিগ্রিধারী অমর রাই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের একটি বিলাসবহুল রিসর্টে কাজ করতেন, সেখান থেকেই বঙ্গে ফেরেন তিনি

করোনা থেকে বাঁচতে এলিফ্যান্ট ওয়াচ টাওয়ারে কোয়ারান্টাইন ২ ভাই!

Coronavirus: করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় ১৪ দিনের জন্যে এই ওয়াচ টাওয়ারেই ঘর বেঁধেছেন দুই ভাই

হাইলাইটস

  • করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কোয়ারান্টাইনে থাকার সিদ্ধান্ত
  • আন্দামান থেকে জলপাইগুড়িতে ফিরে ওয়াচ টাওয়ারে বাস করছেন এক ব্যক্তি
  • সেখানেই রয়েছেন তাঁর ভাইও, মোট ১৪ দিন ওয়াচ টাওয়ারেই কাটাবেন তাঁরা
শিলিগুড়ি:

করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তাই সাবধানতা অবলম্বন করতে এবার হাতি দেখার উঁচু টাওয়ারে (Watchtower) গিয়ে আশ্রয় নিলেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ২ ভাই। লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর থেকেই ভিনরাজ্যে কর্মরত বিভিন্ন মানুষেরা ফিরতে শুরু করেছেন রাজ্যে। অমর বাহাদুর রাই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে কর্মরত ছিলেন। তিনি সেখান থেকে কোনওক্রমে শিলিগুড়িতে ফেরেন। সেখান থেকে দাদাকে ফেরাতে শিলিগুড়িতে যান তাঁর ভাই জিওয়ান। সেখান থেকে নিজেদের গ্রাম মালিভিটাতে ফেরার পরেই দুই ভাইকে করোনা সতর্কতায় ১৪ দিনের জন্যে কোয়ারান্টাইনে (COVID-19 Quarantine) থাকার কথা বলেন গ্রামের বাসিন্দারা। শেষপর্যন্ত কোরান্টাইন হয়ে থাকার জন্যে গ্রামের বাইরে থাকা ওই এলিফ্যান্ট ওয়াচটাওয়ারে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

হোটেল ম্যানেজমেন্টের ডিগ্রিধারী অমর রাই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের একটি বিলাসবহুল রিসর্টে কাজ করতেন। সেখান থেকেই নিজের গ্রামে ফিরে আসেন তিনি। অমর বলেন, "আমাদের পরিবারের সদস্য এবং গ্রামের লোকজনের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে আমরা প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে গ্রামের বাইরে থাকা এই ওয়াচ টাওয়ারটিতেই দু'সপ্তাহের জন্যে কোয়ারান্টাইন হয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটাই এখন আমাদের বাড়ি"। তিনি আরও জানান যে, লকডাউনের জারি হওয়ার পরেই তিনি দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন, কারণ পর্যটকদের অভাবে হোটেলে কোনও কাজ ছিল না।

অমর বাহাদুর রাইয়ের এক আত্মীয় অভিযোগ করেছেন যে গ্রাম পঞ্চায়েতকে তাঁর গ্রামে ফিরে আসার খবর আগে থেকেই দেওয়া হলেও প্রশাসন কোনও কোয়ারান্টাইনে থাকার ব্যবস্থাই করেনি। তাই বাধ্য হয়েই গত ১০ জুন থেকে ওই দুই ভাইকে ওয়াচ টাওয়ারের মাত্র ৮ বর্গফুট জায়গায় থাকতে হচ্ছে।

এদিকে বেলাকোবা ফরেস্টের রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত বলেছেন, ওয়াচ টাওয়ারটি আসলে হাতির দলের চলাচলের দিকে নজর রাখা এবং আশেপাশের গ্রামগুলিতে ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁদের ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্যে ব্য়বহৃত হয়। কিন্তু এখন আর সেটিকে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, "যেহেতু ওয়াচ টাওয়ারটি কোয়ারান্টাইনে থাকার জন্যে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাই আমরা সমস্যার সম্মুখিন হয়েছি। কিন্তু মানবিক কারণে আমরা ওই দু'জনকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথা ভাবিনি"।

রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত আরও জানিয়েছেন যে, স্থানীয় প্রশাসনকে ওই দুই ভাইকে অন্য কোথাও কোয়ারান্টাইন করে রাখার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

এদিকে পঞ্চায়েত প্রধান রঞ্জিতা রায় দাবি করেন যে যদিও ওই পরিবার জানিয়েছিল যে অমর রাই আন্দামান থেকে ফিরে আসবেন, তবে তাঁর ফিরে আসার পরে আর কিছুই জানানো হয়নি তাঁদের।

.