This Article is From Feb 05, 2020

West Bengal: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি রাজ্য বিজেপির

Bengal Law and Order: "রাজ্যপালকেও হেনস্থা হতে হচ্ছে, তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিই আমরা", বলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়

West Bengal: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি রাজ্য বিজেপির

Bengal BJP Memorandum to President: কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের নেতৃত্বে বিজেপি প্রতিনিধি দল বাংলার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত স্মারকলিপি জমা দেয়

হাইলাইটস

  • পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এবার রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ বিজেপি
  • কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতি ভবনে যায় বিজেপির প্রতিনিধি দল
  • দলে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ অন্যান্য বিজেপি সাংসদরা
নয়া দিল্লি:

পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা (Bengal Law and Order) পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এবার তাঁর দ্বারস্থ হল রাজ্য বিজেপি। দলের সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের (Kailash Vijayvargiya) নেতৃত্বে এই রাজ্যের বিজেপি সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ram Nath Kovind) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন বিজেপি নেতারা (Bengal BJP)। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, "এই রাজ্যে মহিলারাও নিরাপদ নয়, তাঁদেরও লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে।" ওই বিজেপি নেতা আরও বলেন যে, "বর্তমানে এই রাজ্যে এমনকি মাননীয় রাজ্যপালকেও হেনস্থা হতে হচ্ছে, তাই পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিই আমরা"।

পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গারামপুরে যেভাবে শিক্ষিকাকে মারধর করা হয়েছে সেই বিষয়টি তুলে ধরে পশ্চিমবঙ্গে নারী সুরক্ষাও বিপন্ন একথাও বলেন বিজেপি নেতারা। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ভবনে যায় রাজ্য বিজেপির ওই প্রতিনিধি দল। কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের নেতৃত্বে বিজেপির ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি-দিলীপ ঘোষ। ছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং, এসএস আলুওয়ালিয়ার মতো রাজ্য বিজেপির অন্যান্য প্রতিনিধিরাও। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাজ্য বিজেপি সভাপতি জানান, গঙ্গারামপুরে শিক্ষিকারে মারধরের ঘটনার বিষয়ে রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। তাঁর হাতে ওই ঘটনার উপযুক্ত তথ্য প্রমাণও তুলে দেওয়া হয়েছে।

শাহিনবাগ ও জামিয়াতে গুলি চালনার ঘটনায় দায়ী বিজেপির "উস্কানি": Mamata Banerjee

গত ৩১ জানুয়ারি দক্ষিণ দিনাজপুরের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলে এক শিক্ষিকাকে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। জোর করে জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদ করার পরে হাঁটুতে দড়ি দিয়ে বেঁধে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত নেতার নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতী টেনে হিঁচড়ে এক শিক্ষিকাকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। অভিযোগ, শিক্ষিকার বোন প্রতিবাদ জানাতে এগিয়ে গেলে তাঁর উপরও একই অত্যাচার চলে। মহিলার অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত কর্তৃক রাস্তা নির্মাণের জন্য জোর করে তাদের জমি দখলের প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি।

জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদ! দড়ি বেঁধে, টেনে হিঁচড়ে মা-বোনসহ শিক্ষিকাকে মারধর তৃণমূল নেতার

রবিবারের ওই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে দেখা যায় মেরুন রঙের পোশাক পরা স্মৃতিকণা দাস নামে ওই শিক্ষিকাকে মারধর করা হচ্ছে। স্মৃতিকণাকে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় এবং একজন লোক তার হাঁটু দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। বাকি একদল লোক তাঁর হাত ধরে টানতে টানতে মাটিতে ফেলে দেয়।

তাঁর বড় বোন সোমা দাস সেই সময় ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন। অভিযুক্তদের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করতে দেখা যায় তাঁকে। সেই সময় ওই মহিলাকেও মাটিতে ঠেলে ফেলা হয় এবং টেনে হিঁচড়ে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে পড়েছিলেন স্মৃতিকণা। ঘটনায় রাজ্য জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

.