This Article is From Oct 19, 2019

কর্মশালাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে

Visva-Bharati University: কর্মশালার জন্য রাষ্ট্রীয় কলামঞ্চের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়টি

কর্মশালাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে

অনুষ্ঠানের অন্যতম আহ্বায়ক শিবপ্রসাদ কে আচর বলেন, ২২ এবং ২৩ অক্টোবর এই কর্মশালা হবে

কলকাতা:

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Visva-Bharati University) রাষ্ট্রীয় কলা মঞ্চের (Rashtriya Kala Manch) তরফে ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক একটি কর্মশালা আয়োজনকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কর্মশালার জন্য রাষ্ট্রীয় কলামঞ্চের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়টি, এবং পড়ুয়া ও শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, ৯৮ বছরের পুরানো ঐতিহ্যপূর্ণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের ভিত শক্ত করতে, বিশ্ববিদ্যালয় গেরুয়া শিবির ঘনিষ্ঠ সংগঠনকে কর্মসূচীর করতে দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য শনিবার সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, রাষ্ট্রীয় কলামঞ্চের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে এবিভিপির, যাদের বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠানে কোনও কর্মসূচী করা অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কারকৃত ভবনের উদ্বোধন করলেন ভেঙ্কাইয়া নাইডু

সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “কোনও কর্মসূচীতে রাষ্ট্রীয় কলামঞ্চের সঙ্গে বিশ্বভারতীর জোট বাঁধার বিরোধিতা করছি আমরা। বিশ্বভারতীর কোনও কর্মসূচীতে রাজনৈতিক কোনও সংগঠনের জড়িত থাকার বিরোধিতা করছি”।

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই নেতা সোমনাথ সাউ বলেন, “আমরা কলা ও সংস্কৃতির কর্মশালার বিরোধিতা করছি না, কিন্তু ভিএইচপি ঘনিষ্ঠ রাষ্ট্রীয় কলামঞ্চের প্রবেশের বিরোধী আমরা”। তিনি দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিককতা বিভাগ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে রাষ্ট্রীয় কলামঞ্চ।

অনুষ্ঠানের অন্যতম আহ্বায়ক শিবপ্রসাদ কে আচর বলেন, ২২ এবং ২৩ অক্টোবর এই কর্মশালায় যোগ দেবেন দেশের ৩০০-এরও বেশী পড়ুয়া। তাঁর কথায়, “কর্মশালায় ভারতীয় কলা ও সংস্কৃতির ওপর জোর দেওয়া হবে, এছাড়াও  আমাদের সোনালী অতীতের কথাও তুলে ধরা হবে”, তিনি জানান এই কর্মশালার থিম সাংস্কৃতিক অখণ্ডতা। শিবপ্রসাদ কে আচর জানান, মানুষের মধ্যে কলা ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার কাজ করে রাষ্ট্রীয় কলামঞ্চ এবং এরসঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই।

প্রধানমন্ত্রী মোদি বিশ্বভারতীর সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না, বিরক্ত মমতা

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান বিপ্লব লোহা চৌধুরী বলেন, জায়গার সঙ্কুলানের অভাবে অনুষ্ঠানটি পিছিয়ে দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে, দেশজুড়ে এই অনুষ্ঠানটিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। তিনি বলেন, “ভারতের নিজের বিজ্ঞান, জ্ঞান এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মকে সচেতন করে তোলাই এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য। তবে প্রস্তাবিত জায়গায় ২০০-এর বেশী পড়ুয়াকে জায়গা দিতে আমাদের পক্ষে মুশকিল। জায়গার অভাবে আমরা পরে অনুষ্ঠানটি করতে পারি”।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.