This Article is From Jan 06, 2020

জেএনইউতে হামলা আমাকে ২৬/১১ মনে করিয়ে দেয়: উদ্ধব ঠাকরে

এই ঘটনাকে তিনি কাপুরুষিত আচরণ বলে নিন্দা করেন।পাশাপাশি দিল্লি পুলিশকে অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে আবেদন জানান

জেএনইউতে হামলা আমাকে ২৬/১১ মনে করিয়ে দেয়: উদ্ধব ঠাকরে

জেএনইউ পড়ুয়াদের ওপর আক্রমণ আমাকে ২৬/১১-র মুম্বই হামলার কথা মনে করিয়ে দেয়। এ কথা বললেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। (ফাইল)

হাইলাইটস

  • এই ঘটনাকে তিনি 'কাপুরুষোচিত আচরণ' বলে নিন্দা করেন।
  • তিনি যোগ করেন, যুব সমাজ ভীত-ক্ষুব্ধ। কিন্তু আমাদের যুব সমাজ কাপুরুষ না।
  • এ কথা বললেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
নয়াদিল্লি:

জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় বা জেএনইউ-র (JNU) পড়ুয়াদের ওপর আক্রমণ  আমাকে ২৬/১১-র মুম্বই হামলার (Mumbai 26/11 attack) কথা মনে করিয়ে দেয়। পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বললেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackrey)। এই ঘটনাকে তিনি 'কাপুরুষোচিত আচরণ' বলে নিন্দা করেন। পাশাপাশি দিল্লি পুলিশকে অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান। তাঁর যুক্তি, 'জামিয়া মিলিয়া-কাণ্ডে ইতিমধ্যে দিল্লি পুলিশের কাজ সমালোচনার মুখে পড়েছে। তাই রবিবারের হামলার ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে।পুলিশের ওপর থেকে মানুষের বিশ্বাস উঠে যেতে পারে।' তিনি যোগ করেন, 'যুব সমাজ ভীত-ক্ষুব্ধ। কিন্তু আমাদের যুব সমাজ কাপুরুষ না। তাই যুব সমাজকে খেপিয়ে তুলে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ করবেন না। যদি পুলিশ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে ওদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।'

তিনি প্রশ্ন তোলেন, "ওই মুখোশের আড়ালে কারা? আমাদের জানা দরকার। যারা মুখোশ পরে হামলা চালায় তারা কাপুরুষ। আমাদের এই আচরণ প্রতিহত করতেই হবে।" জেএনইউ ছাত্র সংসদ সূত্রে অভিযোগ, রবিবার রাতের দিকে হাড়হিম করা সন্ত্রাস প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চলে। একাধিক মুখোশধারী 'অভিযুক্ত' ক্যাম্পাসে (Campus) ভাঙচুর চালায়। হামলা চালায় পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের ওপর। এই ঘটনা অবাধে চললেও পুলিশ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও বাধা আসেনি। এমনই অভিযোগ সংবাদমাধ্যমের সামনে করেছেন আক্রান্ত পড়ুয়ারা। 
তাঁদের অভিযোগ, গোটা ঘটনার পিছনে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির (ABVP) হাত আছে। যদিও এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বলে দায় এড়িয়ে গেছে ওই ছাত্র সংগঠন। এদিকে দিল্লির এইমস সূত্রে খবর,পড়ুয়া ও অধ্যাপক মিলিয়ে প্রায় ৩৪ জন চিকিৎসাধীন। যাঁদের মধ্যে প্রায় ৭-৮ জনের অবস্থা আঙ্কাজনক। দিল্লি পুলিশ বলেছে, সোশাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়া ছবি দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। একাধিক অপরাধকে জুড়ে একটাই এফআইআর দাখিল করা হয়েছে । বলিউড থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার দুই সদস্য (নির্মলা সীতারমন আর এস জয়শঙ্কর) এবং বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। রবিবার রাতেই কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি আর সিপিআইএম নেত্রী বৃন্দা কারাত আহতদের দেখতে এইমস গিয়েছিলেন। 

.