This Article is From Oct 02, 2018

এই স্কুলের পরিচালনার দ্বায়িত্বে ‘প্রধানমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী’!

শিক্ষাই  পথ চলতে সাহায্য করে। আর এবার  জানা গেল পুরুলিয়ার এমন দুজন শিক্ষকের কথা  যারা  নিজদের বেতনের টাকা খরচ করে স্কুলের পরিবেশ পঠন- পাঠনের উপযোগী গড়ে তোলেন।

এই স্কুলের পরিচালনার দ্বায়িত্বে ‘প্রধানমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী’!

স্কুলে কম্পিউটার থেকে শুরু করে রান্নার গ্যাসের সংযোগ এনে দিয়েছেন বিডিও

হাইলাইটস

  • কয়েক বছরের মধ্যে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা 20 থেকে বেড়ে 79 জন হয়ে গিয়েছে
  • প্রদীপ প্রধান শিক্ষক আর রূপালি একমাত্র সহ শিক্ষক
  • প্রতি মাসে নিজেদের বেতন থেকে 4 হাজার টাকা করেন দুজন
কলকাতা:

শিক্ষকরাই পথ দেখান । তাঁদের শিক্ষাই  পথ চলতে সাহায্য করে। আর এবার  জানা গেল পুরুলিয়ার এমন দুজন শিক্ষকের কথা  যারা  নিজদের বেতনের টাকা খরচ করে স্কুলের পরিবেশ পঠন- পাঠনের উপযোগী গড়ে তোলেন। আর তাঁদের হাত ধরেই কয়েক বছরের মধ্যে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা 20 থেকে বেড়ে 79 জন হয়ে গিয়েছে।

প্রদীপ মাহাতো  এবং রূপালি মাহাতো। পুরুলিয়ার হুড়া ব্লকের প্রাথমিক স্কুলের দুই শিক্ষক। প্রদীপ প্রধান শিক্ষক আর রূপালি একমাত্র সহ শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক বলেন, 2014 সালে এই স্কুলে যোগ দান করি। তখন থেকেই স্কুলের পরিবেশ ভাল করার প্রয়োজন অনুভব করি।

তাঁর  জন্য প্রতি মাসে নিজেদের  বেতন থেকে 4 হাজার টাকা করে খরচ করি আমরা। আর তার ফল মিলেছে হাতে নাতে। স্কুলের চারপাশ এখন সবুজে সবুজ। শুধু তাই নয় স্কুলের পরিচালনের জন্য তৈরি হয়েছে ‘মন্ত্রিসভা’। কেউ  প্রধানমন্ত্রী আবার কেউ স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে তৈরি এই মন্ত্রিসভার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  প্রধান শিক্ষক বলেন, এভাবেই জীবনে দায়িত্ব নেওয়ার শিক্ষা পাচ্ছে পড়ুয়ারা।

স্কুলের শিক্ষামন্ত্রী প্রতীক মাহাতোর বয়স ন’ বছর। বন্ধুরা খাওয়ার আগে পরে ঠিক মতো  হাত ধুচ্ছে কিনা সেটা দেখা  প্রতিকের দায়িত্ব। এরকমই নানা  উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। আর তার জেরেই চার  বছরে চার গুণ ছাত্র বেড়েছে  স্কুলে। এগিয়ে এসেছেন  এলাকার বিডিও। স্কুলে কম্পিউটার থেকে শুরু করে রান্নার গ্যাসের সংযোগ এনে দিয়েছেন তিনি।   



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)
.