This Article is From Apr 30, 2019

"বিচারপদ্ধতিতে ভরসা নেই", রঞ্জন গগৈ-মামলায় অংশ নিলেন না অভিযোগকারিণী

এই মুহূর্তে এই ৩ বিচারপতির প্যানেলে রয়েছেন বিচারপতি এস এ বোবড়ে, বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা এবং বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্তার অভিযোগ অস্বীকার করেন রঞ্জন গগৈ।

নিউ দিল্লি:

সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর (Ranjan Gogoi) বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছিলেন যে মহিলা, তিনি মঙ্গলবার জানালেন যে, কিছু ‘সমস্যা'র জন্য তিনি এই মামলাটিতে অংশ নিতে চাইছেন না। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের কাছে একটি বিবৃতি দিয়ে ওই অভিযোগকারিণী বলেন, “আমার মনে হচ্ছে, আমি এই কমিটির কাছ থেকে কোনও বিচার পাব না। তাই এই ৩ বিচারপতির কমিটির ওপর আমি আর নির্ভর করতে চাইছি না। এই বিচারপ্রক্রিয়ায় আস্থা রাখতে না পারার জন্য অংশও নিতে পারছি না”। গত সপ্তাহেই এই মামলাটির বিচারের ভার সুপ্রিম কোর্টেরই ৩ জন বিচারপতির ওপর দেওয়া হয়। এই ৩ জন বিচারপতির মধ্যে বিচারপতি এন ভি রামান্না প্রধান বিচারপতির পারিবারিক বন্ধু বলে তিনি এই বিচারের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না, এই কথা জানানোয় ওই প্যানেলটি থেকে বিচারপতি রামান্নাকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

এই মুহূর্তে এই ৩ বিচারপতির প্যানেলে রয়েছেন বিচারপতি এস এ বোবড়ে, বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা এবং বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মোদীজি আপনি ফাইল পুড়িয়ে রেহাই পাবেন নাঃ রাহুল

অভিযোগকারিণী জানান, “একেবারে ‘ঘরের লোক'-দের ওপরেই এই বিচারের দায়িত্তব দেওয়া সত্ত্বেও আমি বিচারব্যবস্থায় অংশ নিয়েছিলাম। অথচ, আমার আবেদন মেনে একটি বাইরের বিচারকদের নিয়ে কমিটি গঠনও করা হয়নি”।

তারপরই তিনি অভিযোগ করেন, “সত্যি বলতে, এই কমিটির পরিবেশটি অত্যন্ত ভীতিপ্রদ। এছাড়া, নিজের আইনজীবী ছাড়া, সুপ্রিম কোর্টের তিনজন দুঁদে বিচারপতির মুখোমুখি হতেও আমি অস্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছিলাম”।

তাঁর আরও অভিযোগ, গোটা বিচারপ্রক্রিয়ার কোনও অডিও বা ভিডিও রেকর্ডিং-ও করা হয়নি বহু অনুরোধ সত্ত্বেও। এমনকি, তাঁর বয়ানের কপিও দেওয়া হয়নি তাঁকে।

বাবা'র পথে সন্তানও, ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন আশারাম বাপু'র ছেলের

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন কর্মচারী এই মহিলা গত সপ্তাহেই প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে সেই অভিযোগটি বিভিন্ন বিচারপতির কাছে পাঠান। যদিও, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তাঁর কথায়, সামনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের রায় ঘোষণা করার দায়িত্ব রয়েছে তাঁর ওপর, সেই কারণেই তাঁকেই আক্রমণের লক্ষ্য করে তোলা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেছিলেন, “এর নেপথ্যে নিশ্চয়ই কোনও বৃহৎ শক্তি রয়েছে। যারা শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির পদটিকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে”।

.