Fani Cyclone 2019

টুইটারে সুষমা  বললেন, মমতাজি আপনি সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গিয়েছেন। আপনি একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আর মোদীজি দেশের প্রধানমন্ত্রী। কাল আপনাকে তার সঙ্গে কথা বলতে হতেই পারে। তাই আমি আপনাকে মনে করিয়ে দেব কোনওদিন প্রয়োজন হলে বন্ধু হতে লজ্জিত হবেন না।

Lok Sabha Election 2019: ঘূর্ণিঝড় ফণী নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুবার ফোনও করেছিলাম। কিন্তু তিনি ধরেননি

রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি শনিবার নিজেই টুইট করে জানান প্রধানমন্ত্রী। এরপরই তৃণমূলের তরফে প্রতিক্রিয়া দেওয়া  হয়। ওই টুইটেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন আগামীকাল ওড়িশায় যাচ্ছেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি।

শনিবার সকালে নাওখালি ও বরগুনায় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দুই বছরের এক শিশুসহ পাঁচজন ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। বাংলাদেশের জমিতে ফণী পা রাখার পর থেকেই এই নিয়ে ১২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।

ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমরা এই রাজ্যে ও কলকাতায় ফণীর মোকাবিলার জন্য জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার সব ব্যবস্থাই করেছি। তবে ভাগ্য ভালো, বড় কিছু ঘটেনি।”

ওড়িশা নিম্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলের সবথেকে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে থাকা ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করে সরিয়ে নিয়েছে বলেই জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। রাজ্যে এখন তৎপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মীরা এবং চিকিৎসক ও অন্যান্য চিকিৎসা কর্মীদের ১৫ মে পর্যন্ত যে কোনও ছুটি বাতিল করতেও বলা হয়েছে।

ভারতীয় কোস্ট গার্ড, বিশাখাপত্তনাম, চেন্নাই, পারাদ্বীপ, গোপালপুর, হলদিয়া, ফ্রেজারগঞ্জ ও কলকাতায় ৩৪ টি দুর্যোগ মোকাবিলা দল মজুত রেখেছে, পাশাপাশি বিশাখাপত্তনাম ও চেন্নাইয়ে চারটি জাহাজও রয়েছে।

ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ ফোর্স, ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী, সেনা, নৌ সেনা এবং বায়ুসেনা সবাই এই তিনটি রাজ্যে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছে। বিপর্যয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এমন মানুষদের আমি বলছি আপনার নিশ্চিত থাকুন সরকার সবরকম ভাবে আপনাদের পাশে আছে।

ওড়িশার বিভিন্ন জায়গা থেকে ১১  লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।

আজ সকাল ৮ টায় ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়েছে সাইক্লোন ফণী। পুরী শহর ইতিমধ্যেই কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির জেরে গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ছে এই রাজ্যে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার দলগুলিও পৌঁছেছে এই এলাকায়। নৌ বাহিনী ইতিমধ্যেই ওড়িশা পৌঁছেছে। প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে উপকূলীয় এলাকা থেকে সরিয় নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি জটিল হতে থাকায় গতকাল রাত ১ টা থেকেই ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১০০ টিরও বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রাজ্যের সব স্কুল-কলেজ ও অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে, সাধারণ মানুষকেও বাড়িতেই থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওড়িশা ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খন্ডেও ফণীর জন্য কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্ব উত্তরপ্রদেশ ও বিহারেও ফণীর প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে। কৃষকদের নিজেদের ফসল নিরাপদ স্থানে রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আজ প্রতি ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বইবে এবং বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে এখানে।

Cyclone Fani status: পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) প্রায় ১৫০০০ জন মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৫৪'টি উদ্ধারকারী ও সাহায্যকারী দল উপকূলবর্তী অঞ্চল এবং বন্যাপ্রবণ অঞ্চলগুলিতে সাইক্লোন ‘ফণী'র জন্য আগাম সতর্কতা হিসাবে আগে থেকেই পৌঁছে গেল। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২'টি দল অন্ধ্রপ্রদেশে, ২'টি দল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে, ২'টি দল ঝাড়খন্ডে, ২'টি দল কেরালাতে, ২৮'টি দল ওড়িশাতে, ২'টি দল তামিলনাড়ুতে এবং ৬'টি দল পশ্চিমবঙ্গে এসে উপস্থিত হয়েছে বলে জানানো হয় একটি বিবৃতিতে। প্রায় ১০ হাজার গ্রাম এবং ৫০'টি শহর এই সাইক্লোনের করাল গ্রাসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। শুক্রবার রাত সাড়ে ন'টা থেকে শনিবার সন্ধে ৬'টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কলকাতা বিমানবন্দর। এছাড়া, বাতিল করা হয়েছে ২০০'র বেশি ট্রেন।

১-৩ মে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে এবং ২-৪ মে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রের অবস্থা খুবই উত্তাল থাকবে। ৩ ও ৪ মে উপকূলীয় ওড়িশা ও উত্তর উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশের নিকটবর্তী জেলাগুলিতে কয়েকটি স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। 

আবহাওয়া দফতর জানায়, ‘ফেনি’ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রচণ্ড তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এবং মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপকূলে পৌঁছতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ফেনি (Cyclone Fani) চেন্নাইয়ের ১,০৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম থেকে ১,২৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল বলেই আজ সকালে আবহাওয়া দফতর টুইট করে জানায়।

টুইটারে সুষমা  বললেন, মমতাজি আপনি সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গিয়েছেন। আপনি একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আর মোদীজি দেশের প্রধানমন্ত্রী। কাল আপনাকে তার সঙ্গে কথা বলতে হতেই পারে। তাই আমি আপনাকে মনে করিয়ে দেব কোনওদিন প্রয়োজন হলে বন্ধু হতে লজ্জিত হবেন না।

Lok Sabha Election 2019: ঘূর্ণিঝড় ফণী নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুবার ফোনও করেছিলাম। কিন্তু তিনি ধরেননি

রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি শনিবার নিজেই টুইট করে জানান প্রধানমন্ত্রী। এরপরই তৃণমূলের তরফে প্রতিক্রিয়া দেওয়া  হয়। ওই টুইটেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন আগামীকাল ওড়িশায় যাচ্ছেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি।

শনিবার সকালে নাওখালি ও বরগুনায় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দুই বছরের এক শিশুসহ পাঁচজন ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। বাংলাদেশের জমিতে ফণী পা রাখার পর থেকেই এই নিয়ে ১২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।

ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমরা এই রাজ্যে ও কলকাতায় ফণীর মোকাবিলার জন্য জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার সব ব্যবস্থাই করেছি। তবে ভাগ্য ভালো, বড় কিছু ঘটেনি।”

ওড়িশা নিম্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলের সবথেকে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে থাকা ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করে সরিয়ে নিয়েছে বলেই জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। রাজ্যে এখন তৎপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মীরা এবং চিকিৎসক ও অন্যান্য চিকিৎসা কর্মীদের ১৫ মে পর্যন্ত যে কোনও ছুটি বাতিল করতেও বলা হয়েছে।

ভারতীয় কোস্ট গার্ড, বিশাখাপত্তনাম, চেন্নাই, পারাদ্বীপ, গোপালপুর, হলদিয়া, ফ্রেজারগঞ্জ ও কলকাতায় ৩৪ টি দুর্যোগ মোকাবিলা দল মজুত রেখেছে, পাশাপাশি বিশাখাপত্তনাম ও চেন্নাইয়ে চারটি জাহাজও রয়েছে।

ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ ফোর্স, ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী, সেনা, নৌ সেনা এবং বায়ুসেনা সবাই এই তিনটি রাজ্যে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছে। বিপর্যয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এমন মানুষদের আমি বলছি আপনার নিশ্চিত থাকুন সরকার সবরকম ভাবে আপনাদের পাশে আছে।

ওড়িশার বিভিন্ন জায়গা থেকে ১১  লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।

আজ সকাল ৮ টায় ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়েছে সাইক্লোন ফণী। পুরী শহর ইতিমধ্যেই কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির জেরে গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ছে এই রাজ্যে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার দলগুলিও পৌঁছেছে এই এলাকায়। নৌ বাহিনী ইতিমধ্যেই ওড়িশা পৌঁছেছে। প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে উপকূলীয় এলাকা থেকে সরিয় নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি জটিল হতে থাকায় গতকাল রাত ১ টা থেকেই ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১০০ টিরও বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রাজ্যের সব স্কুল-কলেজ ও অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে, সাধারণ মানুষকেও বাড়িতেই থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওড়িশা ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খন্ডেও ফণীর জন্য কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্ব উত্তরপ্রদেশ ও বিহারেও ফণীর প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে। কৃষকদের নিজেদের ফসল নিরাপদ স্থানে রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আজ প্রতি ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বইবে এবং বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে এখানে।

Cyclone Fani status: পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) প্রায় ১৫০০০ জন মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৫৪'টি উদ্ধারকারী ও সাহায্যকারী দল উপকূলবর্তী অঞ্চল এবং বন্যাপ্রবণ অঞ্চলগুলিতে সাইক্লোন ‘ফণী'র জন্য আগাম সতর্কতা হিসাবে আগে থেকেই পৌঁছে গেল। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২'টি দল অন্ধ্রপ্রদেশে, ২'টি দল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে, ২'টি দল ঝাড়খন্ডে, ২'টি দল কেরালাতে, ২৮'টি দল ওড়িশাতে, ২'টি দল তামিলনাড়ুতে এবং ৬'টি দল পশ্চিমবঙ্গে এসে উপস্থিত হয়েছে বলে জানানো হয় একটি বিবৃতিতে। প্রায় ১০ হাজার গ্রাম এবং ৫০'টি শহর এই সাইক্লোনের করাল গ্রাসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। শুক্রবার রাত সাড়ে ন'টা থেকে শনিবার সন্ধে ৬'টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কলকাতা বিমানবন্দর। এছাড়া, বাতিল করা হয়েছে ২০০'র বেশি ট্রেন।

১-৩ মে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে এবং ২-৪ মে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রের অবস্থা খুবই উত্তাল থাকবে। ৩ ও ৪ মে উপকূলীয় ওড়িশা ও উত্তর উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশের নিকটবর্তী জেলাগুলিতে কয়েকটি স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। 

আবহাওয়া দফতর জানায়, ‘ফেনি’ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রচণ্ড তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এবং মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপকূলে পৌঁছতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ফেনি (Cyclone Fani) চেন্নাইয়ের ১,০৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম থেকে ১,২৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল বলেই আজ সকালে আবহাওয়া দফতর টুইট করে জানায়।