ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর দাপটে জনজীবন এখন চূড়ান্ত বিপর্যস্ত। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস ছিল বহুদিন থেকেই, সেই বুঝেই ছুটি দেওয়া হয়েছে এই রাজ্যের স্কুল কলেজ ও অফিসগুলিতে। বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত এই রাজ্যে। এরই মাঝে পুরী শহরের একটি বড় হাসপাতালে আজও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে। তবে সমস্ত রোগী ও হাসপাতালের কর্মীরা নিরাপদেই রয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। উপকূলের নানা অঞ্চল থেকে বিভিন্ন নিরাপদ আশ্রয়স্থলগুলিতে ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আশ্রয়স্থলগুলিতে কাগজ বিছিয়ে, কাপড় বিছিয়ে শুয়ে বসে শয়ে শয়ে মানুষ এখন কেবল ঝড় বিদায় হওয়ার মুহূর্ত গুনছেন।
ফুঁসছে, গর্জাচ্ছে ফণী, দেখুন আজ সকালে উড়িষ্যায় ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের ভিডিও
হাসপাতাল সূত্রের খবর, শহরের মোট ৬০০ জন গর্ভবতী মহিলাদের নিরাপদে স্থানান্তরিত হয়েছে। জরুরি অবস্থার জন্য প্রায় ৫০০ টি অতিরিক্ত অ্যাম্বুলেন্স তৈরি করেই রাখা হয়েছে।
সরকারের একজন মন্ত্রী জানান, ২৪২ টি মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠানকে বিদ্যুৎ যোগাযোগের ব্যাকআপ ব্যবস্থা সরবরাহ করা হয়েছে। প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে শুরু করে উত্তর দিকে, কর্তৃপক্ষ সাতটি উপকূলীয় জেলা থেকে ৫,০০,০০০ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
ওড়িশা নিম্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলের সবথেকে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে থাকা ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করে সরিয়ে নিয়েছে বলেই জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। রাজ্যে এখন তৎপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মীরা এবং চিকিৎসক ও অন্যান্য চিকিৎসা কর্মীদের ১৫ মে পর্যন্ত যে কোনও ছুটি বাতিল করতেও বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর ছোবলে বিপর্যস্ত পুরী, ভুবনেশ্বরে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যহত
ওড়িশা ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খন্ডেও ফণীর জন্য কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্ব উত্তরপ্রদেশ ও বিহারেও ফণীর প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে। কৃষকদের নিজেদের ফসল নিরাপদ স্থানে রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আজ প্রতি ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বইবে এবং বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে এখানে।