This Article is From Apr 30, 2020

আর গরমাগরম মন্তব্য করবেন না ঋষি, চোখ ঝাপসা নেটপাড়ার

বৃহস্পতিবারের পর থেকে কেউ আর ঋষি কাপুরের মতো করে নিত্যনতুন বিতর্কের জন্ম দেবে না। এই আপশোসে চোখ ভিজেছে নেটিজেনদের।

আর গরমাগরম মন্তব্য করবেন না ঋষি, চোখ ঝাপসা নেটপাড়ার

অনেকবার টুইটার ছেড়েও ফিরে এসেছিলেন

হাইলাইটস

  • লকডাউনে চিকিৎসকদের সমর্থন জানিয়ে গেছেন
  • বরাবর বিতর্কিত মন্তব্য করে চর্চায় থাকতেন ঋষি কাপুর
  • প্রচুর জোকস শেয়ার করতেন সোশ্যালে
নয়া দিল্লি:

তিনি মুখে-মনে কোনোদিন ফারাক রাখেননি। যেটাই মনে আসত। সঙ্গে সঙ্গে পোস্ট করতেন টুইটে। তা সে রাজনৈতিক বিষয়ই হোক বা সামাজিক সমস্যা। রেখেঢেকে কথা না বলার ফলে প্রায়ই তাঁর টুইট নিয়ে বিতর্ক জন্ম নিত সোশ্যালে। ঋষি কাপুর (Rishi Kapoor) কোনোদিন বদলাননি। অনেকেই তাঁকে এর জন্য বদমেজাজি-ও আখ্যা দিয়েছিলেন। তবু তাঁর টুইট না পড়লে যেন ভাত হজম হত না টুইটারেত্তিদের। ঋষির মৃত্যুর সঙ্গে যেন শেষ হয়ে গেল সেই বিতর্কিত অধ্যায়ও। মৃত্যুসংবাদ সোশ্যালে ছড়াতেই তাঁর অভাব অনুভব করে শোক নেমেছে নেটপাড়াতেও।  

ঋষির শেষ টুইট ২ এপ্রিল। এদিন তিনি চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর অকারণ হেনস্থার প্রতিবাদ জানিয়ে সোশ্যালে মুখর হয়েছিলেন টুইটে। সেই টুইটও যথারীতি ভাইরাল। শুধু সামাজিক নয়, তাঁর সহকর্মীদেরও তেড়ে বকুনি দিতেন টুইটারেই। ২০১৭-য় বিনোদ খান্নার মৃত্যুর পর অভিনেতার শেষযাত্রায় সামিল হয়নি বলিউড। সেসময় তিনি কড়া ভাষায় লিখেছিলেন, সহকর্মী, সহ অভিনেতার মৃত্যুতেও যদি পাশে না পাওয়া যায় বাকি সহঅভিনেতাদের, তাহলে এর থেকে লজ্জার আর কিছুই হতে পারে না।

অনেকেই ঋষি কাপুরের চাঁচাছোলা রসিকতা বা মন্তব্য নিতে পারতেন না। অনেকবার তাঁর বিরুদ্ধে টুইটারে অভিযোগও জানানো হয়েছিল। যেমন, ২০২১৬-য় হিলারি ক্লিনটনকে নিয়ে একটু অতিরসিকতা করে ফেলেছিলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যালে বিতর্কের ঝড় ওঠে। পরে অবশ্য টুইটারেত্তিদের থেকে ক্ষমা চেয়ে নেন ঋষি।

প্রচুর জোকস শেয়ার করতেন:

মহাত্মা গান্ধি থেকে গো-রক্ষক, গো-মাংস ভক্ষণ নিয়ে দেশে হুলুস্থুল---- কিচ্ছু বাদ পড়েনি তাঁর টুইট আক্রমণ থেকে। এর জন্য বহুবারতাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। অনেকবার তিনি নিজে টুইটার থেকে বেরিয়ে যান। ২০১৫-য় এভাবেই সাময়িক টুইটার থেকে বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, টুইটারে মনখুলে যখন কথা বলার উপায় নেই তখন তাঁর বিদায় নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু ৬ মাস পরেই তিনি ফেরেন টুইটারে। এবং স্বমহিমায় পোস্ট করতে থাকেন বিতর্কিত মন্তব্য। 

২০১৭-য় ফের বিতর্ক মাত্রা ছাড়ালে তিনি সরে যান। সেসময় তিনি বিতর্কে জড়িয়েছিলেন পাকিস্তানের এক ক্রিকেটপ্রেমীর সঙ্গে।

তবে শুধুই বিতর্ক বা বকুনি নয়, নিজেকে নিয়ে মজা করতেও ছাড়তেন না প্রবীণ অভিনেতা।

তিনি প্রায়ই সবাইকে টুইটে সবাইকে সংযমী মন্তব্য করতে বলতেন। কিন্তু নিজেই কোনোদিন সেই সংযম ধরে রাখতে পারেননি।

এভাবেই বিতর্কে, বকুনিতে, কটাক্ষে, তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গে, লাগানছাড়া রসিকতায় ঋষি মাতিয়ে রাখতেন নেটপাড়া। শিল্পী মন সবসময়েই তীব্র অনুভূতিপ্রবণ। তাই রাগ-ভালোবাসা-রঙ্গরস খুল্লামখুল্লা বেরিয়ে আসত এভারগ্রিন অভিনেতার টুইটে। বৃহস্পতিবারের পর থেকে কেউ আর তাঁর মতো করে নিত্যনতুন বিতর্কের জন্ম দেবে না। এই আপশোসে চোখ ভিজেছে নেটিজেনদের। সমস্ত টুইট যেন ঝাপসা তাঁদের চোখে।

.