This Article is From Jun 04, 2019

ছেলে বৈভবের হারের জন্য শচিনের ঘাড়ে দোষ চাপালেন অশোক

লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Elections 2019)  নিজের ছেলের হাররে জন্য রাজস্থানের উপ মুখ্যমন্ত্রী শচিন পাইলটকে (Deputy Chief Minister Sachin Pilot) দায়ী করলেন অশোক গেহলত (Ashok Gehlot) ।

ছেলে বৈভবের হারের জন্য শচিনের ঘাড়ে দোষ  চাপালেন অশোক

Loksabha Elections 2019: শচীন নন অশোক নিজেও ছেলের জন্য একটানা প্রচার করেন তবু আসনটি ধরে রাখা যায়নি

নিউ দিল্লি:

লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Elections 2019)  নিজের ছেলের হাররে জন্য রাজস্থানের উপ মুখ্যমন্ত্রী শচিন পাইলটকে (Deputy Chief Minister Sachin Pilot) দায়ী করলেন অশোক গেহলত (Ashok Gehlot) । যোধপুর আসন থেকে অশোকের  ছেলে বৈভব গেহলত (Vaibhav Gehlot) প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার ভোটে পরাজিত হন এই হারের দায় শচীন পাইলটের নেওয়া উচিত বলে মনে করেন অশোক। এবিপি নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বলেন শচীন বলেছিলেন যোধপুর আসন থেকে আমরা বড় ব্যবধানে জিতব। ওখানে ৬ জন বিধায়ক আছেন আমাদের দলের। তাছাড়া প্রচারও খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু আমরা জিততে পারিনি। উল্টে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে আমাদের। এই হারের দায় শচীনকে নিতে হবে। বিজেপির গজেন্দ্র সিং শেখওয়াত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর ছেলেকে হারান। শুধু শচীন নন অশোক নিজেও ছেলের জন্য একটানা প্রচার করেন তবু আসনটি ধরে রাখা যায়নি।

কয়েকদিন আগে শচীন পাইলট প্রকাশ্যেই বলেন, ‘বৈভবকে প্রার্থী করার ব্যাপারে হাইকমান্ডকে তিনি রাজি করিয়েছিলেন। অশোক কোনও উদ্যোগ নেননি।'এ প্রশ্নের জবাবে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শচীন যখন দলের অন্দরে বলেছেন তিনি আমার ছেলেকে বড় জয় এনে দেবেন। আমার ছেলের টিকিটের ব্যবস্থাও তিনি করছেন। তখন তাঁর হারের দায় শচিনকেই নিতে হবে।' অন্য একটি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে রাজস্থানে যে শোচনীয়' ফল কংগ্রেসের হয়েছে তার দায় রাজ্য কংগ্রেস এবং হাইকমান্ড উভয়কে নিতে হবে।' মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন এ ধরনের ঘটনা সমস্ত ব্যাখ্যার বাইরে।

লোকসভা নির্বাচনে রাজস্থানে একটি আসনও পায়নি কংগ্রেস গোটা দেশেই তাদের ফল খারাপ হয়েছে। এরপর পদ ছাড়ার কথা বলেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। দলের নেতারা আপত্তি করলেও গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নিজের অবস্থানে অনড় রাহুল।  এমনকী শোনা গিয়েছে দলের অন্দরে কয়েকজন নেতার সমালোচনা করে তিনি বলেছেন সেই সমস্ত নেতারা নিজেদের ছেলেদের জেতানোর জন্য যে পরিশ্রম করেছেন তাতে দলের ক্ষতি হয়েছে। কারও নাম না বললেও অশোক এই তালিকা আছেন বলেই রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ মনে করে। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দলের অন্দরে বৈঠকে কী আলোচনা হচ্ছে তা একান্ত ভাবে দলের বিষয়। আর এ ব্যাপারে বাইরে মন্তব্য করার কোনও যুক্তি আছে বলে আমি মনে করি না।' অন্যদিকে উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। রাজস্থান কংগ্রেসের সভাপতি শচীন মন্তব্য না করলেও দলের অন্দরে যে সমস্যা দানা বাধতে শুরু করেছে তা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট। আরেকটি তথ্য বলছে শচিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেও নিজের এলাকার  ছেলেকে জেতাতে দিতে পারেননি বাবা। সেখানেও 400 ভোটে হারতে হয়েছে কংগ্রেস প্রার্থীকে।

.