This Article is From Dec 28, 2019

লখনউ পুলিশ আমাকে ঘাড় ধরে নিগ্রহ করেছে, অভিযোগ প্রিয়াঙ্কা গান্ধির

ইতিমধ্যে উত্তর প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্য থেকে হাজারের বেশি মানুষকে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে

শনিবার খোদ এই অভিযোগ করেছেন ওই কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি

লখনউ:

আবার লখনউ পুলিশের বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে ঘাড় ধরে নিগ্রহের অভিযোগ।শনিবার খোদ এই অভিযোগ করেছেন ওই কংগ্রেস নেত্রী। সিএএ বিরোধী আন্দোলনে হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগে গত সপ্তাহে গ্রেফতার হয়েছেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন আইপিএস এসআর দারাপুরী। এদিন প্রবীণ ওই আইপিএসের বাসভবনে যাওয়ার পথেই পরপর দু'বার এমন পুলিশি হেনস্থার শিকার হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি।তাঁকে উদ্ধৃত করে এ কথা জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে বাধ্য করা হয়েছে রীতিমতো পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে, এমন দাবিও সেই সংবাদ সংস্থার কাছে করেছেন তিনি। সেই সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, প্রিয়াঙ্কা গান্ধির অভিযোগ, "আমি যখন দারাপুরীজির পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছিলাম, তখন পুলিশ আমার কনভয় থামায়। ওরা, আমার ঘাড় ধরে আমাকে নিগ্রহও করেছে। এরপর আমাকে বাধ্য করে দলের এক কর্মীর স্কুটারে চেপে গন্তব্যে যেতে। ঠিক দু'কিলোমিটার পর আমাকে আবার আটকানো হয় এবং সে সময় পুলিশ আমাকে ঘিরেও ধরে। তখন আমি বাধ্য হই হেঁটে গন্তব্যে যেতে।" এএনআইয়ের কাছে তাঁর আরও অভিযোগ, 'কী আর বলবো একদম রাস্তার মাঝখানে আমাকে থামিয়ে দিলো।একমাত্র ভগবান জানে ওরা (পুলিশ) আমাকে কেন থামিয়েছিলো! আমাকে থামানোর পিছনে ওদের কিন্তু কোনও কারণ ছিল না।' 


গত সপ্তাহে লখনউ শহরে দাঙ্গা বাঁধানোর অভিযোগে পুলিশ, প্রবীণ ওই প্রাক্তন আইপিএসকে তাঁর বাসভবন থেকেই গ্রেফতার করেছিলো। ক্যান্সার আক্রান্ত ওই প্রাক্তন আইপিএসের গ্রেফতারির পরই, তাঁর নাতি সিদ্ধার্থ দারাপুরী ফেসবুক একটা পোস্ট করেছিলেন। একজন সৎ এবং কর্তব্যনিষ্ঠ প্রাক্তন আইপিএসের বিরুদ্ধে আনা এই (দাঙ্গায় ইন্ধন) অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। ওই পোস্টে এই দাবি করেছিলেন তিনি। সিদ্ধার্থ দারাপুরী লিখেছিলেন, দাদু, তাঁর গোটা কর্মজীবনে ঊর্ধ্বতন, অধস্তন সবার থেকে ভালোবাসা পেয়ে এসেছেন। কোনও দুষ্কৃতী তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লেও, তিনি  কোনওদিন পাল্টা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালাননি।তিনি, সেই পুলিশকর্তা ছিলেন, যে দুষ্কৃতী দলকে আত্মসমপর্ণের জন্য রাজি করাতে একাই তাঁদের ডেরায় যেতেন। এনকাউন্টার করে কোনওদিন কোনও দুষ্কৃতী দলকে মারেননি তিনি। এমনকী, নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে একটা গুলিও তিনি  কোনওদিন খরচ করেননি। তিনি এমন একজন পুলিশকর্তা ছিলেন, যিনি পুলিশের সংগঠনে সংস্কার আনতে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। জাতপাতে বিভাজিত ইউপি পুলিশকে একত্রিত করেছিলেন তিনি। 

ইতিমধ্যে উত্তর প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্য থেকে হাজারের বেশি মানুষকে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪৯৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে, যারা সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরে অভিযুক্ত। এদের থেকেই ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে, জানিয়েছে সে রাজ্যের পুলিশ।এখনও পর্যন্ত উত্তর প্রদেশে এই আন্দোলনের জেরে ২১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। জানা গেছে, বিতর্কিত এই আইনে এই প্রথমবার এদেশে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে। সরকার বলছে, 'এই আইন লাগু হলে মুসলিম অধ্যুষিত পড়শি রাষ্ট্রগুলি থেকে বিতাড়িত হয়ে এদেশে আসা সংখ্যালঘুরা অতি দ্রুত ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন।২০১৫ সালের আগে যাঁরা ধর্মের ভিত্তিতে বিতাড়িত হয়ে এদেশে এসেছে, তাঁরাই এই আইনের আওতাভুক্ত।' কিন্তু বিরোধীদের দাবি, এই আইন মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষমূলক এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)

.