This Article is From Feb 11, 2019

শুভ জন্মদিন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, কবিতার মধ্যে সিনেমা আর সিনেমার মধ্যে কবিতার আজব কিসসা

“আসলে পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটাই একটা জার্নি। সেটা কেউ বোঝে, কেউ বোঝে না। একজন সৃষ্টিশীল মানুষের বিশেষত্ব হলো- এই জার্নিটা তুলে ধরা।” বলেছিলেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত

শুভ জন্মদিন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, কবিতার মধ্যে সিনেমা আর সিনেমার মধ্যে কবিতার আজব কিসসা
কলকাতা:

সিনেমা থেকে কবিতা, নাকি কবিতার মধ্যেই সিনেমা? কিছু ক্ষেত্রে দুই, বা তিন বহু শিল্পের সংমিশ্রণে ঘনীভূত হয়ে ওঠে নতুন এক শিল্প। তাকে কি কবিতা বলা যায়? নাকি সিনেমা? নাকি দু'টোই বা কোনওটাই নয়! এমনই নতুন এক মাধ্যমের সঙ্গে যিনি আমাদের পরিচয় করিয়েছিলেন তিনি বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। কবি না চলচ্চিত্র নির্মাতা? নাকি দুই সত্ত্বাই একই মানুষের? নিজে অবশ্য মনে করেন তাঁর কাছে এই দুই শিল্পই বড় আপন, চলচ্চিত্র বা কবিতা তাঁর কাছে আলাদা কিছু না। আজ চলচ্চিত্রকার বা কবি বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর জন্মদিন, আজ এক শিল্পীর জন্মদিন।

তবু যদি ভাবতেই হয়, লাল দরজা উত্তরা, চরাচর, তাহাদের কথা থেকে শুরু করে মন্দ মেয়ের উপাখ্যান, আনোয়ার কা আজব কিসসার যে পথ তৈরি করেছেন যে বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, তার অগ্রভাগে বসে রয়েছে তাঁর কবি সত্ত্বা। সিনেমার ঠিক সমান্তরালে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে রয়েছে রোবটের গান, গভীর আড়ালে, ছাতা কাহিনী বা কফিন কিম্বা স্যুটকেসের মতো একের পর এক কবিতার বই। আসলে একই জীবনে সমান্তরালে চলা দুই যাপন যেন। বেশ কিছুকাল আগে এক সাক্ষাৎকারে বুদ্ধদেব জানিয়েছিলেন, “আসলে পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটাই একটা জার্নি। সেটা কেউ বোঝে, কেউ বোঝে না। একজন সৃষ্টিশীল মানুষের বিশেষত্ব হলো- এই জার্নিটা তুলে ধরা।” সুতরাং সিনেমা হোক বা কবিতা ঘাত প্রতিঘাতে আসলে জীবনের সফরকেই নানাভাবে এঁকেছেন জীবনের শিল্পী বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত।

প্রমিস ডে: প্রমিস করুন এবার নিজেকে ভালো রাখবেন

আঁকতে গিয়েই সূক্ষ থেকে সূক্ষতর হয়েছে জীবনের গলি, অথবা শহরের এঁদো সব পথঘাট। চোখে দেখা যাপন পর্দায় উঠে এসেছে পূর্বাভাস না দিয়েই। ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান' সিনেমার শুটিং করার সময় একটি অভিজ্ঞতা জানিয়েছিলেন তিনি। গাছের নীচে শ্যুটিং চলার সময়ে একজনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি দেখতে পান গাছ থেকে দলে দলে উইপোকা নেমে আসছে। উইদের যাতায়াত দেখে কী জানি কী হয়, লিখিত স্ক্রিপ্টের মধ্যে না থাকলেও উইপোকার দল তিনি ক্যামেরাবন্দি করে ফেলেন। সিনেমা তৈরির নানা মুহূর্তে এমনই নানা অভিজ্ঞতা কখনও তাঁকে অশান্ত করেছে, কখনও বা প্রগাঢ় শান্তি নেমে এসেছে, নেমে স্থানু হয়ে বসেছে ক্যামেরার লেন্সে।

কাল থেকে শুরু মাধ্যমিক, পরীক্ষা চলাকালীন নিজেদের সঙ্গে মোবাইল রাখতে পারবেন না পরীক্ষকরাও

হয়তো কবি আর চলচ্চিত্রের দ্বৈত সত্ত্বাতেই মানুষের বেঁচে থাকাগুলো প্রকট হয়ে উঠেছে তাঁর সিনেমায়। যদিও কবি বুদ্ধদেব মনে করেন, কবি হলেও, শিক্ষক হলেও, সুর বুঝলেও তেমন কোনও লাভ হয় না। সুবিধা হয় তবেই যদি অন্য কোনও মানুষের বেঁচে থাকাও আমাদের জীবনকে স্পর্শ করে। যতদিন মানুষের বেঁচে থাকা স্পর্শ করবে শিল্পী বুদ্ধদেবকে, শহর ও মানুষের যাপনের ঘাত, প্রতিঘাত অথবা নতুন কোনও খাতের সন্ধানে অপেক্ষা করে থাকবেন বাঙলার সিনেমাপ্রেমী মানুষ, কবিতাপ্রেমী নাগরিক অথবা জীবনপ্রেমী যাপন।

.