This Article is From Dec 23, 2019

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ: ১০টি তথ্য

রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধির মেমোরিয়ালে “সত্যাগ্রহ” আন্দোলনে বসেন সনিয়া গান্ধির নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস নেতারা

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ: ১০টি তথ্য

বেঙ্গালুরুতে “শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে” যোগ দেন মুসলিম সম্প্রদায়ের হাজারখানের মানুষ

নয়াদিল্লি: সোমবার দেশজুড়ে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হয়, বিতর্কিত আইনটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে দেশজুড়ে সামিল হন পড়ুয়া থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীরা। দিল্লিতে রাজঘাটে প্রতিবাদে সামিল হয় কংগ্রেস, মহাত্মা গান্ধির মেমোরিয়ালের সামনে প্রতিবাদে সামিল হন সনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি, মনমোহন সিং, কমল নাথের মতো কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। চেন্নাইয়ের মেরিনা বিচে হাইকোর্টের ছাড়পত্র পাওয়ার পর, ডিএমকের প্রতিবাদে সামিল হন হাজারখানেক মানুষ। কলকাতায় রাজ্যপালকে ঘেরাও করেন যাদবপুরের পড়ুয়ারা, আলোচনার দাবি জানান তাঁরা। বেঙ্গালুরু, কোচি মুম্বইয়ে একাধিক সভা হয়।

দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সম্পর্কিত ১০টি তথ্য এখানে:

  1. রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধি মেমোরিয়ালের সামনে সত্যাগ্রহে সামিল হন সনিয়া গান্ধির নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস নেতৃত্ব, সংবিধানে উল্লেখ্য মানুষেক অধিকার রক্ষার দাবি জানানো হয়। সত্যাগ্রহে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠন করেন নেতারা।
     

  2. কেরলের কোচিতে আলাদা আলাদা গোষ্ঠী নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে পদযাত্রা করে। তাদের মধ্যে ছিলেন সিনেমা ও সংস্কৃতি জগতের ব্যক্তিত্ত্বরাও। স্লোগান দিয়ে পদযাত্রায় যোগদান করেন পরিচালক এবং কেরল চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমি কামালের ডিরেক্টর, পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী নিমিশা শাহজাহান, পরিচালক রাজীব রবি এবং আশিক আবু ও অভিনেত্রী রিমা কাল্লিঙ্গল।
     

  3. সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে কালো পতাকা দেখান পড়ুয়ারা, সেখানে আচার্য হিসেবে বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। পড়ুয়াদের বেশীরভাগই আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, এআইএসএ, এবং ফেটসু-র সঙ্গে যুক্ত। দুপুর ২টো নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পৌঁছালে রাজ্যাপালের গাড়ি ঘেরাও করে স্লোগান দিতে থাকেন পড়ুয়ারা, সেখানে ৩০ মিনিট আটকে ছিলেন রাজ্যপাল।
     

  4. বেঙ্গালুরুতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা হয় মুসলিম সম্প্রদায়ের তরফে। বেঙ্গালুরুর জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির আওতায় প্রায় ৩৫টি সংগঠনের তরফে এই প্রতিবাদ করা হয়, কুদ্দুস সাহেব ঈদগাহ ময়দানে শেষ হয় পদযাত্রাটি।
     

  5. অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে একটি বিশাল পদযাত্রা করে ডিএমকে। সেখানে নেতৃত্ব দেন ডিএকে সুপ্রিমো এমকে স্ট্যালিন, এবং জোট দলের নেতারা, ছিলেন কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমও।
     

  6. ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি NDTV কে বলেন, “নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জী সংবিধানের বিরোধী। সেগুলির জন্য অশান্তি হতে পারে, এবং এগুলো প্রত্যাহার করা উচিত”। তাঁর কথায়, “CAA এবং NRC সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে মুসলিমদের”।
     

  7. অনেক মুখ্যমন্ত্রীই তাঁদের রাজ্যে নয়া নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করতে অস্বীকার করেছেন। তালিকায় এখনও পর্যন্ত রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, এবং কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন, তারপরে আরও পাঁচজন যোগ দেন।
     

  8. নাগরিকত্ব আইন কার্যকর না করার তালিকায় যোগ হওয়া নয়া রাজ্যগুলি হল মধ্যপ্রদেশ, বাম শাসিত রাজ্য কেরল। এমনকী, বিজেপিকে ইস্যুভিত্তিক সমর্থন করা দুই মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং নবীন পট্টনায়েকও তাঁদের রাজ্যে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করবেন না বলে জানিয়েছেন।
     

  9. সোমবার, তালিকায় যোগ দিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি।
     

  10. যেহেতু নয়া নাগরিকত্ব সংশোধন আইন সংবিধানের মৌলিক নীতির বিরোধী, ফলে এই আইনটি কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে কার্যকর করা হবে না বলে জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত।



Post a comment
.