This Article is From Dec 23, 2019

বিদেশ থেকে ৭৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি করল ভারত; কিন্তু হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে কি গেরস্থ?

Onion Import: উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন প্রায় ১২,০০০ টন পেঁয়াজ চালানের ডিসেম্বরের শেষ দিকেই ভারতে পৌঁছনোর কথা রয়েছে।

বিদেশ থেকে ৭৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি করল ভারত; কিন্তু হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে কি গেরস্থ?

প্রায় ১২,০০০ টন পেঁয়াজ চালানের ডিসেম্বরের শেষ দিকেই ভারতে পৌঁছনোর কথা রয়েছে।

নয়াদিল্লি:

বিদেশ পাড়ি দিয়ে ৭৯০ টন আমদানি করা পেঁয়াজের (imported onion) প্রথম ব্যাচ ভারতে পৌঁছেছে এবং ইতিমধ্যেই এই আমদানিকৃত পেঁয়াজের কিছু পরিমাণ দিল্লি ও অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারকে ৫৭ থেকে ৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে দিয়েও দেওয়া হয়েছে। সোমবার উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের (Consumer Affairs Ministry) এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন প্রায় ১২,০০০ টন পেঁয়াজ চালানের ডিসেম্বরের শেষ দিকেই ভারতে পৌঁছনোর কথা রয়েছে। রান্নাঘরের মূল আনাজের আমদানির দায়িত্বে থাকা রাজ্য পরিচালিত MMTC সরকারের তরফে এ পর্যন্ত ৪৯,৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির চুক্তি করেছে।

৫৯ টাকা দরে পেঁয়াজ মিলছে শুনে সরকারের সুফল বাংলা থেকেই লুঠ ২০ কেজি পেঁয়াজ!

বড় শহরগুলিতে খুচরো পেঁয়াজের দাম গড়ে প্রতি কেজি ১০০ টাকার কাছাকাছিই রয়েছে, তবে দেশের বেশ কিছু জায়গায় পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি প্রতি ১৬০ টাকা পর্যন্ত ছুঁয়েছে। ওই কর্মকর্তা পিটিআইকে বলেন, “২৯০ টন এবং ৫০০ টনের দু'টি চালান ইতিমধ্যে মুম্বইয়ে পৌঁছেছে। আমরা এই পেঁয়াজ রাজ্য সরকারগুলিকে ৫৭ থেকে ৬০ টাকা/ কেজি দামে দিয়ে দিচ্ছি।"

তিনি আরও জানান, অন্ধ্র প্রদেশ ও দিল্লি সরকার ইতিমধ্যে তাদের চাহিদা জানিয়েছে এবং আমদানি করা পেঁয়াজ রাজের বাজারে তুলে নেওয়া শুরু করেছে। তুরস্ক, মিশর এবং আফগানিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আরও পেঁয়াজ জোগাড়ের কাজ চলছে। আশা করা হচ্ছে এতে দেশিয় সরবরাহের উন্নতি হবে।

স্মার্টফোন কিনলে বিনামূল্যে এক কেজি পেঁয়াজ! অভিনব কৌশলে বাড়ল মোবাইল বিক্রি!

প্রধান উত্পাদনকারী রাজ্যগুলিতে বর্ষা দেরিতে আসায় এবং শেষদিকে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে আগের বছরের তুলনায় ২০১৯-২০ শস্য বছরে (জুলাই-জুন) খরিফের উত্পাদন আনুমানিক ২৫ শতাংশ কমে যাওয়ার কারণে পেঁয়াজের দাম তীব্রভাবে বেড়ে গিয়েছে।

গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি সরকারি পদক্ষেপ করার পরেও পেঁয়াজের দাম সেভাবে কমাতে ব্যর্থ হয়েছে সংশ্লিষ্ট সরকার। সরকার এরই মধ্যে পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ করেছে, ব্যবসায়ীদের উপর পেঁয়াজ মজুতের পরিমাণে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে এবং কম দামে মজুত সরবরাহও করছে।

ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জানুয়ারি মাস পর্যন্ত খরিফ ফসল বাজারে আসা শুরু করা অবধি পেঁয়াজের দাম স্থির থাকবে। শেষ ২০১৫-১৬ সালে ১,৯৮৭ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়েছিল এই দেশে। সেবারও পেঁয়াজের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছিল।

.