This Article is From Jul 09, 2018

মৃত্যুদণ্ডের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল নির্ভয়ার ধর্ষকরা

ওই পাশবিক ঘটনাটির পর নির্ভয়ার হয়ে ও দোষীদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল গোটা দেশ।

মৃত্যুদণ্ডের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল নির্ভয়ার ধর্ষকরা

2012 সালের ঘটনাটির পর দেশে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল

হাইলাইটস

  • আইনত এখনও সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়নি দোষীদের জন্য
  • ভারতে বহুদিন ধরেই ভয়ঙ্কর অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়
  • চারজনের মধ্যে একজন শাস্তি কমানোর আবেদন করেনি

ফাঁসির মঞ্চের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল নির্ভয়া কান্ডে দোষীরা। গত বছর মে মাসে ঘোষণা করা ফাঁসির আদেশের পর দোষীদের চারজনের মধ্যে তিনজন শীর্ষ আদালতে শাস্তি কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আবেদন করেছিল। যে আবেদন আজ খারিজ করে আদালত। 2012 সালের ডিসেম্বর মাসের 16 তারিখের সেই রাতের পর গোটা দেশটাই এককাট্টা হয়ে গর্জে উঠেছিল।

গত বছরের মে মাসেই শীর্ষ আদালত ছজন দোষীর মধ্যে চারজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল। 2012 সালে 23 বছর বয়সী মেডিক্যালের ছাত্রীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাটিকে আদালত ‘পাশবিক, নিষ্ঠুর এবং বর্বর’ বলে অভিহিত করেছে। আদালত আরও জানিয়েছে, এমন আচরণ করেছে যারা, তাদের সঙ্গে কোনওরকম কোমল ব্যবহারের প্রশ্নই নেই।

ওই পাশবিক ঘটনাটির পর নির্ভয়ার হয়ে ও দোষীদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল গোটা দেশ। তৈরি হয়ে গিয়েছিল এমন একটি দগদগে প্রশ্ন, যা তার আগে অনেকে ভাবলেও এইভাবে বলা হয়নি। প্রশ্নটি হল- এই দেশ নারীদের জন্য কতটা সুরক্ষিত? নির্ভয়া কান্ডের পরেই ধর্ষণের আইনে কিছু কড়া বদল আনা হয়। যার ফলে, এখন বেশ কিছু ধরনের ধর্ষণের জন্য সর্বোচ্চ সাজা হিসাবে মৃত্যুদণ্ড রয়েছে।

সোমবার আদালত দোষীদের চারজনের মধ্যে তিনজন মুকেশ সিং, পবন গুপ্ত ও বিনয় শর্মার আবেদন খারিজ করে দেয়। তারা শাস্তি কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের জন্য আবেদন করেছিল। চতুর্থজন, অক্ষয় কুমার সিং আবেদন করেনি।

যদিও, দোষীদের তরফ থেকে লড়াইয়ের জন্য আইনত এখনও কিছু রাস্তা খোলা আছে। তারা এখনও আদালতে কিউরেটিভ পিটিশনের জন্য আবেদন করতে পারে। সেক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়া চলবে আরও কয়েক বছর ধরে।

দোষীদের উকিল এ পি সিং আদালতের রায়ের পর তাঁর মক্কেলদের ‘বাচ্চা ছেলে’ সম্বোধন করে বলেন, দোষীরা কেউ ন্যায়বিচার পেল না। সমাজ ও রাজনৈতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করেই ফাঁসির আদেশ বহাল রাখল আদালত।

প্রসঙ্গত, এই দেশে শেষ ফাঁসি হয়েছিল 2005 সালে। 1993 সালের মুম্বাই হামলার সঙ্গে জড়িত ইয়াকুব মেমনের।  

 

 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)

.