This Article is From Aug 22, 2019

সুভাষচন্দ্রের ডিএনএ পরীক্ষা করে রহস্য মেটাতে মোদির সহায়তা চাইছেন নেতাজির কন্যা!

Netaji Subhas Death Mystery: কিংবদন্তী স্বাধীনতা সংগ্রামীর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন করার লক্ষ্যে কাজ করার জন্য অনিতা বসু পাফ মোদির প্রশংসাও করেন

সুভাষচন্দ্রের ডিএনএ পরীক্ষা করে রহস্য মেটাতে মোদির সহায়তা চাইছেন নেতাজির কন্যা!
কলকাতা:

Netaji's Death Mystery: নেতাজির মৃত্যু রহস্যের কি আদৌ কোনও কিনারা হবে? এই প্রশ্নই আবারও উস্কে দিলেন নেতাজির কন্যা অনিতা বসু পাফ! বৃহস্পতিবার নেতাজি তনয়া অনিতা জানিয়েছেন, সুভাষ চন্দ্র বসুর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ চান তিনি! তাঁর কথায়, “পূর্ববর্তী সরকারের কিছু কিছু মানুষ চাননি রহস্যটি কখনই সমাধান হোক।” কিংবদন্তী স্বাধীনতা সংগ্রামীর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন করার লক্ষ্যে কাজ করার জন্য অনিতা বসু পাফ মোদির প্রশংসাও করেন।

অনিতা পাফ বলেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান এবং জাপানি কর্তৃপক্ষকেও রেনকোজি মন্দিরে নেতাজির দেহভস্মের ডিএনএ পরীক্ষা করতে দেওয়ার অনুরোধ জানাবেন। “প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত আমি বিশ্বাস করি যে তিনি মারা গেছেন। ১৯৪৫ সালের ১৮ অগাস্ট বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল কিন্তু এখনও অনেকেই তা বিশ্বাস করেন না। আমি এই রহস্যের সমাধান করতে চাই। এবং আমি মনে করি রহস্য সমাধানের সেরা উপায় হ'ল রেনকোজি মন্দিরে রাখা ছাইগুলির একটি ডিএনএ পরীক্ষা করানো। ডিএনএ পরীক্ষাতেই প্রমাণ হবে যে আসলে তিনিই আমার বাবা ছিলেন নাকি অন্য কেউ মারা যান,” জার্মানি থেকে টেলিফোনে জানান অনিতা।

তিনি আরও জানান যে, তিনি মোদির সঙ্গে দেখা করতে চান এবং নেতাজি'র মৃত্যু নিয়ে রহস্য উন্মোচনের প্রচেষ্টার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে চান। অনিতা পাফ বলেন যে তিনি জাপান সরকারের কাছেও আবেদন করবেন যদি তাঁর বাবার সঙ্গে সম্পর্কিত ফাইলগুলি প্রকাশ্যে আনা হয়। সম্প্রতি প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি) এর একটি টুইট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ১৮ অগাস্টের ওই টুইটে বলা হয়েছিল: “তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে #পিআইবি মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে স্মরণ করে।” 

নেতাজির মৃত্যুবার্ষিকী নিয়ে PIB-এর ট্যুইট সঠিক পন্থা নয়: চন্দ্র বসু

যদিও নেতাজির পরিবারের একটি অংশের প্রতিবাদের পরে টুইটটি প্রত্যাহার করা হয়। নেতাজি'র পরিবারও, কখন এবং কীভাবে নেতাজির মৃত্যু হয়, বা তিনি হারিয়ে যান এই নিয়ে স্পষ্টতই বিভক্ত। তবে কি বছরের পর বছর ধরে কংগ্রেস সহ সমস্ত শাসকদলই নেতাজির বিষয়টিকে নিয়ে অবহেলা করে গিয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে জার্মানির বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ পাফ বলেন, তাঁর কাছে এমন কোনও প্রমাণ নেই। তবে তাঁর কথায়, “পূর্ববর্তী সরকারগুলিতে নির্দিষ্ট কিছু মানুষ ছিলেন যারা চাননি এই রহস্যের কোনও সমাধান হোক, এবং তাঁরা উপেক্ষা করে গিয়েছেন।”

তিনি বলেন, “পূর্ববর্তী সরকার জানিয়েছিল ফাইলগুলি আবার প্রকাশ্যে এলে দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষতি করবে। যদি পূর্ববর্তী সরকার প্রমাণ এবং নথি জনসমক্ষ্যে প্রকাশ করত তাহলে এত বিশাল রহস্য তৈরি হত না।” 

নেতাজির অন্তর্ধান নিয়ে দেশবাসীর জানার অধিকার আছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নেতাজির মৃত্যু বা নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ ঘুরপাক খাচ্ছে মানুষের মনে। অনেকের মনে বিশ্বাস ১৯৪৫ সালে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। পরে তিনি আবার ভারতে ফিরে এসেছিলেন ‘গুমনামি বাবা' হয়ে। আধ্যাত্মিক ছদ্মবেশে উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদে বাস করতেন তিনি।

অনিতা পাফ অবশ্য এসবে বিশ্বাস করেন না। তাঁর কথায়, “নেতাজি'র নিখোঁজ হয়ে যাওয়া অনেক অবাস্তব গল্পের জন্ম দিয়েছিল। মানুষ চিরকালই রহস্য ভালোবাসে!” পিআইবি'র টুইটকে তীব্র আক্রমণ জানিয়ে চন্দ্র কুমার বসু, বর্তমান বিজেপি নেতা এবং সুভাষ চন্দ্র বসুর আত্মীয় বলেন, “এই পদ্ধতি সঠিক নয়, কেননা নেতাজির মৃত্যু রহস্যই এখনও সমাধান হয়নি। প্রমাণের ভিত্তিতে নেতাজির মৃত্যু সম্পর্কিত যে কোনও ঘোষণা করা উচিত শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরই।”

পিআইবির টুইটটিকে অবশ্য স্বাগত জানিয়েছেন লেখক আশিস রায়, সম্পর্কে তিনি সুভাষচন্দ্রেরই আত্মীয়। বসু পরিবারের অন্য দুই আত্মীয় শিক্ষাবিদ সুগত বসু এবং তাঁর মা কৃষ্ণা বসু, দুই প্রাক্তন সাংসদ অবশ্য এই বিষয়ে একমত যে বিমান দুর্ঘটনাতেই গত হয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু।

বেশ কয়েকটি সূত্র জানায়, ১৯৪৫ সালে তাইওয়ানের তাইহোকু বিমানবন্দরে ওই দুর্ভাগ্যজনক দিনে বিমানটিতে চড়েছিলেন নেতাজি। সেই প্লেনটি দুর্ঘটনার মুখে পড়লে প্রাণ হারান তিনি। যদিও অনেক মানুষই বিশ্বাস করেন, তিনি দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান এবং আত্মগোপন রেখে আরও অনেককাল জীবনযাপন করেছেন।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.