This Article is From Aug 20, 2018

মুসলমান পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দিতে নারাজ, বাড়ির লোক নিয়ে গেল মেয়েকে

মহম্মদ ইব্রাহিম সিদ্দিকি নামের ওই ব্যক্তি ধর্মান্তরিত হয়ে নাম নেন, আরিয়ান আর্য। তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি জৈনের পরিবার তাদের বাড়ির মেয়েকে তাঁর সঙ্গে থাকতে দিতে চায়নি।

মুসলমান পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দিতে নারাজ, বাড়ির লোক নিয়ে গেল মেয়েকে

টানা দু-তিন বছর প্রেমের পর এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে একটি মন্দিরে বিয়ে করেছিল তারা।

নিউ দিল্লি:

এগারো বছর আগে এরকমই একটি সময়ে রিজওয়ানুর রহমান ও প্রিয়াঙ্কা তোদির প্রেমকাহিনী এবং তার বিয়োগান্তক পরিণাম নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। এমনকি রাজ্যের রাজনৈতিক পালাবদলের ক্ষেত্রেও ওই ঘটনার অন্যতম বড় ভূমিকা ছিল বলে মনে করে ওয়াকিবহালমহল। দিন বদলায়। বদলে যায় সময়ও। কেবল কোনও পরিবর্তন আসে না সাধারণ ও চিরচেনা ভাবনাপ্রবাহে। এক ধর্মের মানুষ যেখানে অপর ধর্মের দিকে তাকায় ভয়াবহ রক্তচক্ষু নিয়ে। একপাশে কুঁকড়ে পড়ে থাকে চিরকালীন প্রেম। ওই ঘটনার ছায়া এবার পড়ল ছত্তিশগড়ে। তেত্রিশ বছর বয়সী এক মুসলমান ব্যক্তি তেইশ বছর বয়সী এক হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করবে বলে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। কিন্তু, তাতেও ভবি ভোলবার নয়। ওই মেয়েটির অভিভাবকরা ওই ব্যক্তির কাছ থেকে তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে।

মহম্মদ ইব্রাহিম সিদ্দিকি নামের ওই ব্যক্তি ধর্মান্তরিত হয়ে নাম নেন, আরিয়ান আর্য। তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি জৈনের পরিবার তাদের বাড়ির মেয়েকে তাঁর সঙ্গে থাকতে দিতে চায়নি। ওই পরিবারকে পরোক্ষে সমর্থন করেছিল ছত্তিশগড় হাইকোর্টও। অঞ্জলি জৈনকে আরিয়ান আর্যের সঙ্গে না রাখার যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল অঞ্জলির পরিবার, তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রস্তাব অগ্রাহ্য করে ছত্তিশগড় হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে গেলেন ওই ব্যক্তি।

বিচারপতি দীপক মিশ্র ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ মহম্মদ ইব্রাহিম সিদ্দিকির পিটিশনের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিল ছত্তিশগড় সরকারকে। যে পিটিশনের মাধ্যমে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তাঁকে অনবরত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁর স্ত্রীকেও। তাঁর স্ত্রীর পরিবার তাদের বাড়ির মেয়েকে ঘরে আটকে রেখে তাঁর স্বাধীনতা হরণ করছে বলেও অভিযোগ জানান তিনি।

মহম্মদ সিদ্দিকি বলেন, অঞ্জলি জৈনের পরিবার ও অন্যান্য কয়েকজনের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে।

পিটিশনে বলা হয়েছে, তেইশ বছর বয়সী অঞ্জলি জৈন থাকতে চেয়েছিলেন মহম্মদ ইব্রাহিম সিদ্দিকির সঙ্গেই। কিন্তু, ছত্তিশগড় হাইকোর্ট থেকে তাঁকে হয় তাঁর বাবা-মা’র সঙ্গে অথবা হোস্টেলে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিয়ের আগে ওই দুজনের দু-তিন বছরের প্রেম ছিল বলে জানিয়েছে আদালত। চলতি বছরের তেইশে ফেব্রুয়ারি নিজের ধর্মান্তরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন মহম্মদ ইব্রাহিম সিদ্দিকি। তারপর পঁচিশে ফেব্রুয়ারি রায়পুরের আর্যসমাজ মন্দিরে এক হয়ে গিয়েছিল চারহাত।

প্রাথমিকভাবে, এই সব কিছু না জানলেও, জানাজানি হওয়ার পরই শুরু হয় অত্যাচার।

.

.

.