This Article is From May 29, 2020

বিহার ও উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে নির্ণায়ক শক্তি পরিযায়ী শ্রমিকরা, দাবি সমীক্ষায়

এদিকে, পিটিআই সূত্রে খবর, গত একমাসে প্রায় ৩৭৩৬টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলেছে। প্রায় ৫০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক নিজেদের রাজ্যে ফিরেছেন

বিহার ও উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে নির্ণায়ক শক্তি পরিযায়ী শ্রমিকরা, দাবি সমীক্ষায়

সবচেয়ে পরিযায়ী সমস্যায় জর্জরিত উত্তরপ্রদেশ আর বিহার।

নয়া দিল্লি:

পরিযায়ী শ্রমিক, সমাজের তৃণমূল স্তরের এই নাগরিকরা নিজেদের রাজ্যে একটা বড় শতাংশের ভোট ব্যাঙ্ক। করোনা সংক্রমণ আর লকডাউন আবহে এই পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Labours) কেন্দ্র তথা রাজ্য সরকারের কাছে বড় উদ্বেগের কারণ। লকডাউনের মধ্যে প্রবাসী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর প্রশ্নে কোনও রাজ্যেরই অভিজ্ঞতা মধুর না। তাই আগামী কয়েকটা বিধানসভা নির্বাচনে (Vidhansava Eletion) এই ভোট ব্যাঙ্ক ক্ষমতাসীন দলের মাথা ব্যাথার কারণ হবে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা এমন দাবি করেছে। বিশ্লেষকদের মত, "উত্তর প্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ব্যাকফুটে থাকা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চেষ্টার কসুর করছে না বিরোধী দলগুলো। সবচেয়ে পরিযায়ী শ্রমিক যে দুটি রাজ্যে, বিহার ও ইউপিতে সামনেই বিধানসভা নির্বাচন (Election in Bihar and UP)।" এই বছরের শেষে সব ঠিক থাকলে ভোটগ্রহণ বিহারে। আর ২০২২ সালে উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। আর এই দুটি হাইপ্রোফাইল নির্বাচনে এক্স ফ্যাক্টর হিসেবে উঠে আসছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। এমনটা দাবি করেছে সেই সমীক্ষা। 

"কী ঘটছে দেশকে খুলে বলুন": ভারত-চিন দ্বন্দ্ব নিয়ে কেন্দ্রের কাছে রাহুল গান্ধির প্রশ্ন

তাই বিহারে কংগ্রেস ও আরজেডি যেমন শাসক জেডিইউ-বিজেপি জোটকে পরিযায়ী প্রশ্নে কোণঠাসা করতে ময়দানে নেমেছে। তেমন ভাবেই উত্তর প্রদেশে প্রবল পরাক্রমী আদিত্যনাথ সরকারকে সমালোচনা করতে পিছপা হয়নি সমাজবাদী পার্টি ও বিএসপি'র মতো বিরোধীরা। এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক মহলে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও রেল মন্ত্রকের পরিসংখ্যান জানিয়েছে, পয়লা মে থেকে যে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চলেছে, সেই ট্রেনে বেশিরভাগ পরিযায়ী শ্রমিক বিহার, উত্তরপ্রদেশ আর ঝাড়খণ্ডে ফিরেছে। কর্নাটক, তামিলনাড়ু, গুজরাত আর মহারাষ্ট্র থেকে শ্রমিকদের ফেরানো হয়েছে তাঁদের রাজ্যে। তবে, লকডাউনের দ্বিতীয় পর্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একটা নোট পাঠানো হয়েছিল রাজ্যগুলোকে। তাতে উল্লেখ ছিল, পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট রাজ্য করুক। এমনকি, কোনওভাবে শ্রমিকরা যাতে গৃহহীন না হয় সেই ব্যবস্থা করতে মাসিক বাড়িভাড়া সাময়িক রদ করতে উদ্যোগী হয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। কিন্তু তারপরেও অসহনীয় অবস্থা থেকে বেরোতে বাড়ি ফিরতে পথে নামেন তাঁরা। যে ছবি কিংবা ভিডিও, গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। সবপক্ষ থেকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে কেন্দ্রের অবিবেচনাকে। 

১ জুন থেকে খুলছে মন্দির-মসজিদ-গির্জা, ৮ জুন থেকে খুলছে সমস্ত বেসরকারি অফিস: মুখ্যমন্ত্রী

এদিকে, পিটিআই সূত্রে খবর, গত একমাসে প্রায় ৩৭৩৬টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলেছে। প্রায় ৫০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক নিজেদের রাজ্যে ফিরেছেন। সবচেয়ে বেশি ট্রেন ছেড়েছে গুজরাত থেকে। তারপর মহারাষ্ট্র, তারপর পাঞ্জাব, তারপর তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা এবং বিহার রয়েছে তালিকায়। জানা গিয়েছে, সেই ট্রেনে চেপে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক ঢুকেছে উত্তর প্রদেশে, বিহার, ঝাড়খণ্ড আর পশ্চিমবঙ্গে। 

.