This Article is From Mar 05, 2020

"আপনারা সবসময় ঝগড়া করেন কেন?" মালদহে দলীয় নেতাদের ধমক মমতার

পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে ছোট সুজাপুরের কর্মী সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একে একে নাম ধরে ডেকে কাঠগড়ায় তুলেছেন

দলীয় কর্মীদের পুরভোটের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মালদহ:

মালদহতে (Maldah) তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী-কোন্দল দূর করতে দলীয় নেতৃত্বকে ধমক দিলেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  (Mamata Banerjee)। প্রকাশ্যে তিনি প্রশ্নও তোলেন, "সবসময় আপনারা ঝগড়া করেন কেন? গ্রামাঞ্চলে আপনাদের যেতে দেখি না কেন?" রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, "মালদহতে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সংগঠন বরাবর দুর্বল। গত লোকসভা নির্বাচনে এই জেলা থেকে একটিও সাংসদ পায়নি টিএমসি। কংগ্রেস ও বিজেপি একটি করে সাংসদ পেয়েছে। তার আগে বিধানসভা নির্বাচনে ১২টি আসনের মধ্যে মাত্র একটি বিধায়ক পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। বাকি ১১টি গিয়েছে বাম-কং জোটের ঝুলিতে। এই পরিস্থিতিতে মাস ঘুরলেই সম্ভবত পুরভোট। তাঁর আগে দলীয় কোন্দলে বিদ্ধ পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল। সেই কোন্দল দূরে সরিয়ে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানাতে বুধবার প্রকাশ্যে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার এমন দাবি করেছে জেলা তৃণমূলের একটা সূত্র। 

দিল্লিতে যাঁরা মারা গেছেন তাঁরা করোনা ভাইরাসে মরেননি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বুধবার দলীয় কর্মিসভায় তৃণমূল সুপ্রিমো কার্যত বিরক্তির সুরে বলেছেন, আমরা মালদহতে কেন জিততে পারি না? এখানে ১২টি লোকসভার আসন আর ১২০ জন নেতা। কিন্তু কেউ দলকে বিধায়ক উপহার দিতে পারেন না। নির্বাচনী জনসভা করতে এলে ব্যাপক জমায়েত দেখি। কিন্তু নির্বাচনের ফল ঘোষণায় জানা যায় ভোট অন্যদিকে গিয়েছে। তিনি কর্মীদের সতর্ক করতে বলেন, "আমি জানি কারণটা। আমি বহুবছর ধরে রাজনীতি করছি, তাই এখানে কী হয় আমি জানি। আমাদের গোড়াতেই গলদ লুকিয়ে। তাই গলদ সংশোধন না করলে, আমি এখানে হাজারটা সভা-সমাবেশ করলেও, সেটা ফলপ্রসূ হবে না।"

আর্থিক প্রতারণা মামলায় জেটের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়ালের বাড়িতে ইডির তল্লাশি

মালদহতে সংখ্যালঘু ভোট কংগ্রেস ও টিএমসির মধ্যে ভাগাভাগি হয়। কিছু ভোট পায় বামেরাও। গত বিধানসভা নির্বাচন থেকে বিজেপি চেষ্টা করছে, মেরুকরণের তাস খেলে মালদহের হিন্দু ভোট কুক্ষিগত করতে। সেই পরিকল্পনার কিছুটা রূপায়ণ দেখা গিয়েছে গত সাধারণ নির্বাচনে। একটি সাংসদ এই জেলা থেকে নিশ্চিত করতে পেরেছে বিজেপি। অপর সাংসদ কংগ্রেসের। 

আদিবাসীদের জমি কেউ কেড়ে নিতে পারবে না, সুনিশ্চিত করেছে রাজ্য, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

তাই এই পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে ছোট সুজাপুরের কর্মী সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একে একে নাম ধরে ডেকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। ধমক দিয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র ও গৌরচন্দ্র মণ্ডলের জুজধান গোষ্ঠীকে। টিএমসি নেত্রী একহাত নিয়েছেন  তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বাবলা সরকারকে। "পুর এলাকার বাইরে বেরিয়ে পঞ্চায়েত এলাকায় কাজ করো না কেন?" এমন প্রশ্ন করে ওই নেতাকে বিড়ম্বনায় ফেলেন মুখ্যমন্ত্রী। এভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে লিপ্ত দলীয় নেতৃত্বকে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

.