এই কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪২৯ জন।
কলকাতা: ১৯৬৭ সালে প্রথম লোকসভা কেন্দ্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে বোলপুর (Bolpur)। একদম প্রথমবার এখানে সাংসদ হয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী এ কে চন্দ। চতুর্থ লোকসভা নির্বাচনে তিনি বোলেউরের প্রথম সাংসদ হন। সেই শুরু এবং সেই শেষ। ১৯৭১ সালের পর থেকে আর কখনও কোনও কংগ্রেস প্রার্থী এই কেন্দ্র থেকে জিততে পারেননি। ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত মোট যে চারটি লোকসভা নির্বাচন হয়, সবক'টিতেই জয়ী হয়েছিলেন সিপিএমের সরদীশ রায়। ১৯৮৫ সালের লোকসভা উপনির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন প্রয়াত সিপিএম সাংসদ ও লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। তারপর, যাকে বলে, বোলপুর(Bolpur) লোকসভা কেন্দ্র আর কাউকে দাঁত ফোটাতেই দেননি তিনি। একবার কিংবা দু'বার নয়, টানা সাতবার সিপিএমের হয়ে এই কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেন তিনি।
এখন গড় কিন্তু কবে প্রথম বহরমপুরে জেতে কংগ্রেস?
২০০৯ সাল থেকে এই কেন্দ্রটি সংরক্ষিত আসন হয়ে যায়। ২০০৮ সালে সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। ২০০৯ সালে বীরভূমের দীর্ঘদিনের সাংসদ সিপিএম প্রার্থী ডক্টর রামচন্দ্র ডোম সাংসদ হন বোলপুরের। ২০১৪ সালে এই কেন্দ্রে প্রথমবার জয়লাভ করেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। অনুপম হাজরা। পরে যিনি দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এই কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪২৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার হলেন ৭ লক্ষ ৯৮ হাজার ৩৮৪ জন এবং মহিলা ভোটার হলেন ৭ লক্ষ ৪০ হাজার ৪৫ জন।
কাদা আর স্টোনচিপসে ভরা রসগোল্লা পাঠাব মোদীকে, খেলে দাঁত ভেঙে যাবে: মমতা
এই কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভা কেন্দ্রগুলি হল- কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম (তফশিলী জাতি), বোলপুর, নানুর, লাভপুর এবং ময়ুরেশ্বর। এই কেন্দ্রের প্রার্থীসংখ্যা ৭ জন। লড়াই চতুর্মুখী। বর্ষীয়ান নেতা ও সাংসদ রামচন্দ্র ডোম এবারেও এই কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী। কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়িয়েছেন অভিজিৎ সাহা। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অসিত কুমার মাল এবং বিজেপি প্রার্থী হলেন রামপ্রসাদ দাস। রাজনৈতিকমহলের মতে, মূল লড়াই তৃণমূল ও বিজেপির মতে। আগামী ২৯ এপ্রিল ভোট এখানে। শেষ হাসি কার, জানা যাবে ২৩ মে