This Article is From Apr 02, 2019

বাদ নেই কচিকাঁচারাও! জনসন অ্যান্ড জনসনের শ্যাম্পুতে মিলল ক্যান্সারের উপাদান

ক্যান্সারের উপাদান রয়েছে শিশুদের প্রসাধনীর বিখ্যাত সংস্থা জনসন অ্যন্ড জনসনের শিশুদের শ্যাম্পুতে (Johnson & Johnson's baby shampoo)।

শ্যাম্পুতে পরিচিত রাসায়নিক ফরমালডিহাইড কার্সিনোজেনের (chemical formaldehyde, carcinogen) উপস্থিতি মিলেছে, যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে Johnson & Johnson

জয়পুর:

ক্যান্সারের উপাদান রয়েছে শিশুদের প্রসাধনীর বিখ্যাত সংস্থা জনসন অ্যন্ড জনসনের শিশুদের শ্যাম্পুতে (Johnson & Johnson's baby shampoo)। রাজস্থানে এই শ্যাম্পুর নমুনার দু'টি ব্যাচের উপর একটি পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে ওই শ্যাম্পুতে পরিচিত রাসায়নিক ফরমালডিহাইড কার্সিনোজেনের (chemical formaldehyde, carcinogen) উপস্থিতি মিলেছে। শিশুদের পাউডারে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী অ্যাসবেস্টস (cancer-causing asbestos) রয়েছে কিনা তা দেখতে কর্তৃপক্ষ জনসন অ্যান্ড জনসনের পাউডার নিয়ে তদন্ত শুরু করে, এর মাত্র কয়েক মাস পরেই শ্যাম্পুতেও (J&J baby shampoo) একই পরীক্ষা চালানো হয়। সরকারি ওই পরীক্ষায় কোনও অ্যাসবেস্টস পাওয়া না যাওয়ায় ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে শিশু পাউডার উৎপাদন ফের শুরু করে ওই সংস্থা। 

পুলওয়ামা হামলার আগে সিআরপিএফের ‘প্রশিক্ষণের অভাব' নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল

দুইটি ব্যাচের মোট ২৪ টি জনসন অ্যান্ড জনসনের শিশুদের শ্যাম্পুর বোতল পরীক্ষা করা হয়। রাজস্থানের ড্রাগ কন্ট্রোলার রাজা রাম শর্মা বলেন, “এই শ্যাম্পুতে ফরমালডিহাইডের উপস্থিতি রয়েছে যা সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত একটি রাসায়নিক। জনসন অ্যন্ড জনসন এখন দাবি করছেন যে তারা পণ্যটিতে ফরমালডিহাইড ব্যবহার করেন না, তবে পরীক্ষায় এটা সাফ দেখা যাচ্ছে।"

তিনি আরও বলেন, “আমরা কত পরিমাণে ফরমালডিহাইড পেয়েছি টা আপনাদের বলতে পারব না। কিন্তু, যেহেতু ওই সংস্থা এটিকে চ্যালেঞ্জ করেছে তাই ওই শ্যাম্পুর নমুনা আরও পরীক্ষা করার জন্য কেন্দ্রীয় মাদক পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে।” কেন্দ্রীয় ওই গবেষণাগারে দ্বিতীয় পরীক্ষার পর পণ্যটির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত রাজস্থান ড্রাগ কন্ট্রোলার জনসন অ্যান্ড জনসনের শিশুদের শ্যাম্পু দুটি ব্যাচই রেখে দিয়েছেন।

বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন মমতা: শাহনেওয়াজ হোসেন

জনসন অ্যান্ড জনসন পরীক্ষার ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছেন, এই পণ্যটিতে ফরমালডিহাইড ব্যবহার করেননি তাঁরা। তাঁদের মুখপাত্র বলেন, “আমাদের যে অন্তর্বর্তী ফলাফল দেওয়া হয়েছে তা আমরা মানছি না। ওই ফলাফলে বলা হয়েছে, যা নমুনাগুলিতে ক্ষতিকারক উপাদান রয়েছে- ফরমালডিহাইড পাওয়া গিয়েছে ওই নমুনাতে।”

ড্রাগ কন্ট্রোল কর্তৃপক্ষ (The drug control authority) জানিয়েছে, মাসে দু'বার ওষুধ ও প্রসাধনী পণ্যের নমুনা পরীক্ষা করেন তাঁরা। সাতটি নমুনা গত মাসের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।

.