This Article is From Jan 06, 2020

“প্রথমবার জেএনইউ যেতে ভয় পাচ্ছি”, বললেন আক্রান্ত অধ্যাপিকা

রবিবার সন্ধ্যায় জেএনইউ ক্যাম্পাসে ৭০ থেকে ২০০ জন মাস্ক পড়া লোক ঢুকে যে হামলা চালায় তাতে আহত পড়ুয়া ও ৩৪ জন অধ্যাপকের মধ্যে রয়েছেন সুচরিতা সেন

অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন বলেন, “তাদের বেশীভাগই মাস্ক পড়েছিল, এবং হাতে ছিল হকি স্টিক এবং লাঠি”

নয়াদিল্লি:

জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jawaharlal Nehru University) সঙ্গে ২০ বছর যুক্ত রয়েছেন অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন (Sucharita Sen), আগে দেশের এই নাম করা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া ছিলেন, পরে সেখানকারই অধ্যাপিকা হন। জীবনে এই প্রথমবার সেখানে যেতে ভয় পাচ্ছেন তিনি। রবিবার সন্ধ্যায় জেএনইউ ক্যাম্পাসে ৭০ থেকে ২০০ জন মাস্ক পড়া লোক ঢুকে যে হামলা চালায় তাতে আহত পড়ুয়া ও ৩৪ জন অধ্যাপকের মধ্যে রয়েছেন সুচরিতা সেন। যদিও দিল্লি পুলিশ দাবি করেছে, সন্ধ্যার ভিডিও ক্লিপ দেখে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, এবং অশান্তির ঘটনার ভিডিও খতিয়ে দেখা হয়েছে, সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট বন্ধ করা ছাড়া অন্য কাজেও যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে, যে সময় অভিযুক্ত অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সমর্থকরা হস্টেল থেকে হস্টেলে গিয়ে সেখানকার আবাসিকদের মারধর এবং লোহার রড ও অস্ত্র দিয়ে মারধর করছিল বলে অভিযোগ।

 

jleuatioহামলাকারীদের মুখে মাস্ক পড়া এবং হাতে লোহার রড ও লাঠি ছিল.  

সেন্টার ফর স্টাডিজ অফ রিজিওনাল ডেভলপমেন্টের অধ্যাপক বলেন, পড়ুয়া ও শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল, “ক্যাম্পাসে অশান্তির আবহ” নিয়ে, সেই সময় শোনা যায়, ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েছে অভিযুক্তরা।  

অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন NDTV কে বলেন, “তাদের বেশীভাগই মাস্ক পড়েছিল, এবং হাতে ছিল হকি স্টিক এবং লাঠি। ছোটো বড় সব ধরণের পাথর ছুঁড়তে থাকে তারা, এবং আমার কাঁধে আঘাত লাগে”। তিনি NDTV কে বলেন, “তাদের একজন একটা ইটের প্রায় অর্ধেক মাপের পাথর দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে”।

তিনি বলেন, তাঁকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে এআইআইএমএসে নিয়ে যাওয়া হয়।   

আহত অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছে জেএনইউ এর ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশি ঘোষও, রবিবার রাতের হামলার ঘটনায়, তাঁর মুখ দিয়ে রক্ত ঝড়তে দেখা গিয়েছে ভিডিওতে। এআইআইএমএসে নিয়ে যাওয়ার আগে তিনি বলেন, “মাস্ক পড়া গুণ্ডারা আমায় নির্মভাবে মেরেছে। আমার শরীর দিয়ে রক্ত ঝড়ছিল। আমায় নির্মমভাবে মারধর করা হয়”।

 

hl34cm8kআহত অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছে জেএনইউ এর ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশি ঘোষ

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ারাই যদি “নিরাপদ না থাকে”, তাহলে দেশে কীভাবে অগ্রগতি হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে “যুদ্ধ করছে” বলে মন্তব্য করেন কানহাইয়া কুমার। বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার নিন্দা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং এস জয়শঙ্কর।

.