This Article is From Jul 31, 2018

এন এন ভোরার কাজে অখুশি কেন্দ্র, জম্মু-কাশ্মীরে রাজ্যপাল বদলের সম্ভবনা

জানা গিয়েছে কাশ্মীরের রাজ্যপাল এন এন ভোরার কাজে খুশি নয় কেন্দ্রের মোদী সরকার।

এন এন ভোরার কাজে অখুশি কেন্দ্র,  জম্মু-কাশ্মীরে রাজ্যপাল বদলের সম্ভবনা

জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যপাল বদল হতে পারে। এখনকার রাজ্যপাল এন এন ভোরার কাজে  খুশি  নয়  কেন্দ্রীয় সরকার। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন এন এন ভোরা।কিন্তু এবার আর তাঁকে ওই পদে রেখে দিতে চাইছে না কেন্দ্র।  তাঁর জায়গায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবকে রাজ্যপালের দায়িত্বে নিয়ে আসা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। উঠে আসছে আরও কয়েকটি নাম। তার মধ্যে আছে প্রাক্তন সেনা  প্রধানের নামও। তবে কোনও রাজনৈতিক চরিত্রকে দায়িত্বে আনার ভাবনা সরকাররে নেই।

কিন্তু এমন পরিস্থিতি  তৈরি হল কেন? প্রশাসনিক মহলের অনেকেই  বলছেন সরকার গঠন নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে গোলমাল হয়েছে। তার জেরেই সরতে হতে পারে ভোরাকে।      

প্রসঙ্গত, বিজেপি সরকার  থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করায় গত মাসের 20 তারিখ থেকে কাশ্মীরে  রাজ্যপাল শাসন জারি হয়েছে। সে সময় বিজেপি বলেছিল শরিক দল পিডিপি’র কিছু কাজ মেনে নিতে না পেরেই তারা সরকার থেকে সরে গেল।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তাদের কেউ কেউ এই রাজের একটি পুরনো ঘটনার কথা উল্লেখ করে বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে চাইছেন। তাঁরা  বলছেন, 1984 সালে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি প্রায় একই ভাবে তখনকার রাজ্যপাল বি কে নেহরুকে ফারুক আব্দুল্লার সরকার ফেলে দিতে বলেছিলেন। রাজ্যপাল রাজি হননি বলে তাঁকে পদ ছাড়তে হয়। দায়িত্ব নেন জগমহোন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে কাজ করেন।  পড়ে যায় সরকার। নতুন সকারের মুখ্যমন্ত্রী হন জি এম শাহ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তাদের অনেকেরই ধারনা জগমোহন হতে আপত্তি আছে  ভোরার। তাই সরতে হচ্ছে তাঁকে।      

80 পার হওয়া এই রাজ্যপালের সঙ্গে মোদী সরকারের সংবিধানের 35 এ ধারা প্রত্যাহার প্রসঙ্গেও  সংঘাত আছে।  এই ধারায় বলা আছে কোনও ব্যক্তি কাশ্মীরের স্থায়ী নাগরিক কিনা সেটা ঠিক করার অধিকার আছে রাজ্য সরকারের। কেন্দ্র এই ধারর বিলুপ্তি চায়। কিন্তু রাজ্যপাল মনে করেন উপত্যকার বেশিরভাগ মানুষই এমনটা  চায় না। তাই তিনি চিঠি লিখে  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ  সিংকে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে সরে আসতে অনুরোধ করেছেন। তাঁর মতে  স্থায়ী সরকার তৈরি হওয়ার আগে এরকম কোনও পদক্ষেপ করা ঠিক হবে না।  প্রশাসনিক মহলের মতে এরকমই কয়েকটি কারণে পদ ছাড়তে হচ্ছে ভোরাকে।         

ইউপিএ আমলে দায়িত্ব নিয়েছিলন ভোরা। ক্ষমতায় এসেও তাঁকে সরায়নি বিজেপি। শুধু তাই নয় গত মাসে মেয়াদ শেষ হলেও তাঁকেই রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্ত এখন অন্য ভাবে ভাবতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।             

.