This Article is From Jun 07, 2020

শান্তিপূর্ণভাবে ইন্দো-চিন সীমান্তে ফেরান হবে স্বাভাবিক পরিস্থিতি: বিদেশ মন্ত্রক

জানা গিয়েছে, শনিবার পূর্ব লাদাখে আয়োজিত এই বৈঠকে ভারতীয় তরফে নেতৃত্ব দিয়েছেন লেফটান্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। আর চিনের তরফে ছিলেন তিব্বত মিলিটারি জেলার প্রধান

শান্তিপূর্ণভাবে ইন্দো-চিন সীমান্তে ফেরান হবে স্বাভাবিক পরিস্থিতি: বিদেশ মন্ত্রক
নয়াদিল্লি:

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলএসি (LAC) বরাবর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সহমতে পৌঁছল ইন্দো-চিন। দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়ায় ধাপে ধাপে শান্তিপূর্ণ ভাবে স্বাভাবিক করা হবে পরিবেশ (Indo-China border dispute)। রবিবার জানালো বিদেশ মন্ত্রক। শনিবার লাদাখে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্তারা দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকের নির্যাস রবিবার সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরে বিদেশ মন্ত্রক (MEA)। জানা গেছে, নয়াদিল্লির আলোচনার প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে লাদাখের মালডো এলাকায় শনিবার এই বৈঠক হয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ওপারে হওয়া এই বৈঠক ঘিরে জোর চর্চা ছিল সাউথ ব্লকে। বিবৃতি জারি করে বিদেশ মন্ত্রক বলেছে; "সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হওয়া এই বৈঠকে দুই পক্ষই  সীমান্তে শান্তি ফেরাতে সহমত পোষণ করেছে। দ্বিপাক্ষিক স্তরে একাধিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে ধাপে ধাপে স্বাভাবিক করা হবে পরিস্থিতি। সীমান্ত সমস্যা সমাধান হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও গতিশীল হবে।"

ইন্দো-চিন সীমান্তে উত্তেজনা, নিয়ে আলোচনা প্রধানমন্ত্রী মোদি, ট্রাম্পের

জানা গিয়েছে, শনিবার পূর্ব লাদাখে আয়োজিত এই বৈঠকে ভারতীয় তরফে নেতৃত্ব দিয়েছেন লেফটান্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। আর চিনের তরফে ছিলেন তিব্বত মিলিটারি জেলার প্রধান। যদিও, আঞ্চলিকস্তরে দুই দেশের বাহিনীর এখনও কোনও বৈঠক হয়নি। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই বছর দুই দেশের কূটনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষরের ৭০ বছর পালিত হবে। সেই উপলক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক একটা প্রস্তাবনা গ্রহণ করে কূটনৈতিক স্থিতাবস্থা আরও জোরালো করার পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে।

তবে এর আগেও ভারত-চিন সীমান্তে তৈরি হওয়া উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে চেষ্টা করা হয়নি তা কিন্তু নয়। ৯ মে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে একাধিকবার স্থানীয় পর্যায়ের আলোচনা হলেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি।

সংবাদসংস্থা পিটিআই একটি সরকারি সূত্র তুলে ধরে জানিয়েছে যে ভারতীয় প্রতিনিধিরা পূর্ব লাদাখ নিয়ে সমস্যা সমাধানে চিনের উপর চাপসৃষ্টি করবেন। খবর, ওই এলাকায় নাকি ইতিমধ্যেই দু'দেশের সীমা টপকে চিন তাদের সেনা মোতায়েন করেছে। আর এই কারণেই নাকি দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি এদেশের সামরিক কর্তারা বেজিংকে অনুরোধ করবেন যাতে ডি-ফ্যাক্টো সীমান্তের পাশে যে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ করছে ভারত তার যেন বিরোধিতা না করে চিন।

.