This Article is From Mar 06, 2020

রবীন্দ্রভারতীর দোলে খোলা পিঠে আবিরে লেখা অপশব্দ, '...চাঁদ উঠেছিল গগনে' গানে নাচ!

Basanta Utsab 2020: বসন্ত রঙের শাড়িতে পিঠ খোলা ব্লাউজে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন কয়েকজন ছাত্রী আর তাঁদের পিঠে লেখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরই এক কলি গান। যদিও সেই গানেই অপশব্দ বসিয়ে ভাইরাল করেছেন ইউটিউবার রোদ্দুর রায়।

রবীন্দ্রভারতীর দোলে খোলা পিঠে আবিরে লেখা অপশব্দ, '...চাঁদ উঠেছিল গগনে' গানে নাচ!
কলকাতা:

বাঙালির সাধের রবীন্দ্র সংস্কৃতি তথা দোল উৎসব, দুই ঐতিহ্যের মুখেই যেন সপাটে থাপ্পড় কষাল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। দোলের উৎসবে মেতে উঠতে গিয়ে যেন ছাত্রছাত্রীদের চূড়ান্ত লঘু মানসিকতা প্রকাশ পেল বিটি রোডের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। গতকাল ৫ মার্চ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্ত উৎসব। স্বাভাবিক প্রত্যাশা মতোই লাখো মানুষের ভিড়ে যেন তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না ক্যাম্পাসে। রঙ খেলারই মাঝে ভাইরাল কয়েকটি ছবি, সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়া। বসন্ত রঙের শাড়িতে পিঠ খোলা ব্লাউজে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন কয়েকজন ছাত্রী আর তাঁদের পিঠে লেখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরই এক কলি গান। যদিও সেই গানেই অপশব্দ বসিয়ে ভাইরাল করেছেন ইউটিউবার রোদ্দুর রায়।

“চাঁদ উঠেছিল গগনে” গানের আগে চটুল খিস্তি খেউড় বসিয়ে যে প্যারডি করেছেন রোদ্দুর রায় তা ইতিমধ্যেই সমালোচনার মুখে। প্রশ্ন উঠছে কেন রবীন্দ্রভারতীর পড়ুয়ারাও এমন লঘু বিষয়কেই সামনে নিয়ে এলেন। শুধু পিঠে আবির দিয়ে এই গান লেখা নয়, হাজারো পড়ুয়া ক্যাম্পাস জুড়ে এই গান গেয়েওছেন।

কেবল নানাবিধ গালি গালাজের শব্দ পিঠে বা বুকে লিখে মজা করাই নয়, পিঠে নীল আবির দিয়ে গালাগালি করা হয়েছে এই শহরেরই আরেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কেও। শান্তিনিকেতনের পরে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দোল উৎসবই কলকাতার সাধারণ মানুষদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের বসন্ত যাপন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ছবিগুলি প্রকাশ্যে আসার পরে কেবল নেটিজেনরাই নন সর্বস্তরের মানুষের মধ্যেই প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে কেবল কি ক্ষণিকের মজা, লঘু আনন্দটুকুই সর্বস্ব হয়ে উঠছে পড়ুয়াদের কাছে? ওই পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের দাবিও জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

.