This Article is From Aug 13, 2019

‘হিন্দু পাকিস্তান’ মন্তব্যের জেরে শশী থারুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

২০১৮ সালের জুলাই মাসে শশী থারুর ‘‘২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতলে ওরা ‘হিন্দু-পাকিস্তান’ (Hindu Pakistan) গঠন করবে।’’

‘হিন্দু পাকিস্তান’ মন্তব্যের জেরে শশী থারুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

শশী থারুর বলেছিলেন, 'বিজেপি একটি নতুন সংবিধান রচনা করবে যেখানে সংখ্যালঘুদের সম্মান করা হবে না।'

কলকাতা:

গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হল কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের (Congress MP Shashi Tharoor) বিরুদ্ধে। গত বছর জুলাই মাসে তাঁর ‘হিন্দু পাকিস্তান' (Hindu Pakistan) করা মন্তব্যের জেরেই এই গ্রেফতারি পরোয়ানা (arrest warrant) জারি করে কলকাতার এক আদালত। শহরের এক আইনজীবী সুমিত চৌধুরী শশী থারুরের (Shashi Tharoor) বিরুদ্ধে আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেন। আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, তিরুবনন্তপুরমের (Thiruvananthapuram) কংগ্রেস সাংসদের মন্তব্যে দেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে অত্যন্ত আঘাত লেগেছে। শুধু তাই নয়। তিনি অপমান করেছেন আমাদের দেশের সংবিধানকেও। এই মন্তব্যের ফলে চরম সংঘাত ও ধর্মীয় বৈষম্য সৃষ্টি হতে পারত। তাই এই পিটিশন। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি।

২০১৮ সালের জুলাই মাসে শশী থারুর (Shashi Tharoor) বলেন ‘‘২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতলে ওরা ‘হিন্দু-পাকিস্তান'  (Hindu Pakistan) গঠন করবে।'' তাঁর করা এই মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। রাহুল গান্ধিকে ক্ষমা চাইতে বলা হয় বিজেপির তরফে।

তিরুবনন্তপুরমে (Thiruvananthapuram) ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের বিপদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা' শীর্ষক এক সভায় শশী থারুর (Shashi Tharoor) বলেন সভায় কংগ্রেস সাংসদ বলেছিলেন, ‘ওরা (বিজেপি) যদি আগামী লোকসভা নির্বাচনে জিতে যায়, তাহলে এতদিন যাকে আমরা দেশের সংবিধান হিসাবে চিনতাম,  তার আর কিছুই থাকবে না। ওরা নিজেদের  সুবিধামতো জিনিসপত্র সংবিধান থেকে নিয়ে বাকিটা নতুন করে লিখবে। সেই নতুন সংবিধানটি হবে হিন্দু রাষ্ট্রের সংবিধান। সংখ্যালঘুদের সমানাধিকার বলে সেখানে কিছুই থাকবে না। ওই সংবিধান একটি হিন্দু পাকিস্তান তৈরি করবে। এজন্য স্বাধীনতার লড়াইয়ে সংগ্রামে অংশ নেননি মহাত্মা গান্ধি, নেহরু, সর্দার পটেল, মৌলানা আজাদের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীরা।'

প্রবল বিতর্কের মাঝে সেই সময় দলীয় সাংসদ শশী থারুরের (Shashi Tharoor) মন্তব্যকে ‘ব্যক্তিগত' বলেছিল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, তাঁকে সতর্ক করা হয় দলের তরফে। তবে, নিজের মন্তব্যেই অনড় ছিলেন তিনি। মন্তব্যের পিছনে তাঁর যুক্তি ছিল, ‘দীনদয়াল উপাধ্যায়কে অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। দীনদয়াল উপাধ্যায় কোনওদিনই ভারতীয় সংবিধানে বিশ্বাস রাখতেন না। হিন্দুদের নিয়েই  সংবিধান ও দেশ গঠন করা উচিত বলে মনে করতেন।'

.