This Article is From Sep 01, 2018

ক্লাবঘরে মাথার খুলি, ঝুলন্ত কঙ্কাল, ভয়ানক গ্রাফিতি- গ্রেফতার গ্যাং

পুলিশের কথা অনুযায়ী, বেডরুমের মধ্যে একটি হ্যালোইন মাস্ক ছিল, লাল রক্ত মাখা একটি খুলিও পাওয়া গিয়েছে।

ক্লাবঘরে মাথার খুলি, ঝুলন্ত কঙ্কাল, ভয়ানক গ্রাফিতি- গ্রেফতার গ্যাং

রেল লাইন নির্মাণের জন্যই ওই এলাকায় তৈরি হয়েছিল বাড়িটি, নির্মাণ শ্রমিকেরাও মাঝে মাঝেই আসা যাওয়া করতেন। কিন্তু তাঁদের সকলের চোখ এড়িয়ে অসামাজিক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন কিছু যুবক

ওয়াশিংটন:

রেল লাইন নির্মাণের জন্যই ওই এলাকায় তৈরি হয়েছিল বাড়িটি, নির্মাণ শ্রমিকেরাও মাঝে মাঝেই আসা যাওয়া করতেন। কিন্তু তাঁদের সকলের চোখ এড়িয়ে অসামাজিক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন কিছু যুবক। নিজেদের ক্লাব ঘর হিসেবেই দখল করে নিয়েছিলেন ওই বাড়িটি। আর সেখানে ভুতুড়ে সব দেওয়াল চিত্র, কঙ্কাল, মাথার খুলি জমিয়ে অদ্ভুত কাজকর্মেও লিপ্ত হয়ে পড়েছিলেন এমএস 13 নামের ওই দলের সদস্যরা।

গ্যাং এর সদস্যরা মদ খাওয়া আর নেশা করার জন্যই মূলত ব্যবহার করতেন এই বাড়িটি। দেত্তয়ালের ভুতুড়ে সব গ্রাফিতি, সিলিং ফ্যান থেকে কঙ্কাল ঝুলিয়ে, মোমবাতি জ্বালিয়ে সান্তা মুয়েরতের (মৃত্যুর দেবী) উপাসনাও করতেন ওই যুবকেরা। গত অক্টোবরে হঠাত ওই বাড়িতে ঢুকে পড়া একজন নির্মাণ শ্রমিককে বন্দুক নিয়ে ভয় দেখানোর পরেই গোয়েন্দারা বিষয়টির তদন্তে নামে। গ্রেফতারও করা হয় সদস্যদের। পুলিশ ও গোয়েন্দারা জানিয়েছে তাঁরা 12 থেকে 15 ইঞ্চি লম্বা একটি ছুরি উদ্ধার করেছেন।

বৃহস্পতিবার, বোলানস ম্যাকক্যালিকে জানান যে ওই গ্যাং-এর সদস্য নন। তাঁর এক বন্ধু ওই দলের সাথে যুক্ত। সে শুধু বন্ধুদের সঙ্গে ওখানে নেশা করতে যেত।

asmjtmc

2jucaglo

এম-13 গ্যাং সদস্য ডেভিড লেগুনস-বালানোস

দ্বিতীয় সন্দেহভাজন জেসাস পনস ফ্লোরেস (19) 12 জুলাই ওই গ্যাং-এর সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। পুলিশ রেকর্ড অনুযায়ী তিনি ওই নির্মান কর্মীকে হুমকি দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। যদিও তাঁর দাবি নকল বন্দুক দিয়েই ভয় দেখিয়েছিলেন তিনি।

মেক্সিকোর বাসিন্দা লেগুনস-বোলানস আদালতে শুনানির সময় সহকারী  স্টেট অ্যাটর্নী তেরেসা ক্যাসাফ্র্যাঙ্কাকে বলেন যে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিলেন।

নির্মাণকার্যের ওই শ্রমিক ১৭ অক্টোবর যখন তাদের সকাল 8:২0 নাগাদ বিষয়টি সম্পর্কে জানান। তিনি জানান, তিনি ওই বাড়িতে সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময়ই পায়ের আওয়াজ শুনতে পান, বুঝতে পারেন কেউ নেমে আসছে সিঁড়ি দিয়ে। তিনি ভেবেছিলেন তাঁরই দলের কেউ হবে তাই "হ্যালো" বলে ডেকেও ফেলেন। ওই ব্যক্তি অফিসারদের জানান, দু’জন পুরুষ তাঁকে সেদিন আটকে ছিল।

7n6srhbg

এম-13 গ্যাং সদস্য জেসাস পনস ফ্লোরেস

 

পুলিশ আরও অফিসারদের কাছে পৌঁছানোর জন্য অপেক্ষা করে তারপর বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে।

এমএস -13 এর ডেরা হিসেবেই ব্যবহৃত হত ওই বাড়িটি। গ্রাফিটি চিহ্নগুলির মধ্যে হন্ডুরাসের  ফোন কলিং কোড, সান্তা মারেটির ছাপ এবং সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত কঙ্কাল মূর্তি পাওয়া যায়। গ্রাফিটি শব্দগুলির মধ্যে একটি ছিল "সান্তা মু3রট3"। এখানে মৃত্যুর প্রতীকের নামের বানান লেখা হয়েছিল কিন্তু ‘ই’অক্ষর গুলির বদলে তিন সংখ্যাটি ব্যবহার করা হয়েছিল এমএস-13-এর পরিচয়বাহী হিসেবে।

পুলিশের কথা অনুযায়ী, বেডরুমের মধ্যে একটি হ্যালোইন মাস্ক ছিল, লাল রক্ত মাখা একটি খুলিও পাওয়া গিয়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, কদিন আগেই তাঁরা পোনস ফ্লোরেসকে সাইকেলে চেপে দেখে। তাঁর মাথার উপরে একটি এমনই মাস্ক ছিল, কিন্তু মুখ ঢাকা ছিল না। কয়েকটি ব্লক পরেই তাঁরা ফ্লোরেসকে খুঁজে পেয়েছিল।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)
.