This Article is From Mar 06, 2020

"টালমাটাল হচ্ছে" ভারত, দেশকে সামলান প্রধানমন্ত্রী, মোদিকে পরামর্শ মনমোহনের

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দ্য হিন্দু পত্রিকায় লেখেন, “উদার গণতান্ত্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মডেল হিসাবে গড়ে ওঠা ভারত পিছিয়ে যাচ্ছে”

দেশ এই মুহূর্তে একটি "ভয়াবহ ও কঠিন" পরিস্থিতি মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বলেও বর্ণনা করেন Manmohan Singh

হাইলাইটস

  • দেশের পরিস্থিতি সামলাতে এগিয়ে আসা উচিত প্রধানমন্ত্রী মোদিকে, বললেন মনমোহন
  • বিশ্বের নিরিখে পিছিয়ে যাচ্ছে ভারত, উদ্বেগ দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর
  • "আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন", এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে, বলেন তিনি
নয়া দিল্লি:

সাম্প্রদায়িক সমস্যা, অর্থনৈতিক মন্দা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য মহামারীর প্রকোপ, বর্তমানে এই ত্রিমুখী সমস্যায় জর্জরিত মোদির ভারত, এমনভাবেই বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে (Narendra Modi) বিঁধলেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।  "কেবল কথায় নয়, কাজের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গোটা জাতিকে বোঝানো উচিত আমরা বর্তমানে যে বিপদের মুখোমুখি হয়েছি সে সম্পর্কে তিনি সচেতন। পাশাপাশি তিনি সাধ্য মতো দেশকে এই পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে সাহায্য করবেন এ ব্যাপারেও দেশের মানুষকে আশ্বস্ত করা উচিত তাঁর", দ্য হিন্দু পত্রিকায় দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়ে লেখেন প্রাক্তন (Manmohan Singh)। দেশ এই মুহূর্তে একটি "ভয়াবহ ও কঠিন" পরিস্থিতি মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বলেও বর্ণনা করেন প্রবীণ ওই কংগ্রেস নেতা। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি (Economy) নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন মনমোহন সিং।

"অত্যন্ত ব্যথিত হৃদয়ের সঙ্গে আমি এটা লিখতে বাধ্য হচ্ছি... আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এই ভেবে যে দেশের বর্তমান অশান্ত পরিস্থিতি কেবল ভারতের আত্মাকেই ভেঙে ফেলতে পারে তাই নয়, বিশ্বের অর্থনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তি হিসাবে আন্তর্জাতিক স্তরে আমাদের অবস্থানকেও হ্রাস করতে পারে", মত মনমোহন সিংয়ের। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে মোট দুটি মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি।

মন্দা স্বীকারই করছে না সরকার, ফলে তা সংশোধন করতে পারবে না: মনমোহন সিং

গত সপ্তাহে যেভাবে দিল্লির কিছু অংশে সহিংসতার  ঘটনা ঘটেছিল সেই কথা উল্লেখ করে প্রবীণ ওই কংগ্রেস নেতা বলেন, "কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী সমেত আমাদের সমাজের কিছু মানুষের" মাধ্যমে এই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তথা ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার আগুন জ্বলে উঠেছে। তিনি আরও বলেন, আইন ও শৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে, দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ প্রশাসন,  এমনকী সংবাদমাধ্যমের ভূমিকাও "আমাদের হতাশ করেছে"।

“উদার গণতান্ত্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মডেল হিসাবে গড়ে ওঠা ভারত মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই বিশ্বের নিরিখে পিছিয়ে যাচ্ছে”, এই মুহূর্তে, দেশের টালমাটাল পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করতে হাল ধরা উচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর সরকারের, এই পরামর্শও দিতে দেখা যায় দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে।

প্রকাশ্যে দিল্লি হিংসার নতুন ভিডিও, হাসপাতালের ছাদ থেকে জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি

তিনি মোদি সরকারের জন্য একটি তিন দফা পরিকল্পনা তৈরি করেছেন - "প্রথমত, করোনা ভাইরাস বা COVID-19 এর সঙ্গে যুঝতে সব রকমের প্রস্তুতি রাখা উচিত এবং এই রোগ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত শক্তি ও প্রয়াস প্রয়োগ করা উচিত । দ্বিতীয়ত, দেশে তৈরি হওয়া বিদ্বেষের পরিবেশ থামাতে এবং জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত বা এই আইনে ফের সংশোধনী আনা উচিত। তৃতীয়ত, দেশের অর্থনীতিকে পুনরজ্জীবিত করার জন্যে একটি বিশদ ও চুলচেরা আর্থিক পরিকল্পনা করা উচিত।"

.