This Article is From Jan 09, 2020

জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসছে আমেরিকা সহ ১৭টি দেশের প্রতিনিধি দল

গত ছ’মাস ধরে জম্মু ও কাশ্মীরে একই পরিস্থিতি থাকায় বহু দেশ এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। উদ্বিগ্ন মার্কিন ‘হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস’-ও।

জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসছে আমেরিকা সহ ১৭টি দেশের প্রতিনিধি দল

প্রতিনিধি দল প্রথমে শ্রীনগরে পৌঁছবে। (প্রতীকী)

বৃহস্পতিবার আমেরিকা সহ ১৭টি দেশের প্রতিনিধি দল (Envoy from 17 Nations) জম্মু ও কাশ্মীরে (J&K) দু'দিনের সফরে আসছে। লক্ষণীয়, এই দলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনও সদস্য দেশের প্রতিনিধি নেই। ইউরোপের সূত্র NDTV-কে জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা জম্মু ও কাশ্মীরের কোনও ‘গাইডেড ট্যুর'-এ আসতে ইচ্ছুক নয়। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল জম্মু ও কাশ্মীরে এসেছিল। তার তিন মাসে আগে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে রাজ্যকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার পদক্ষেপ করা হয়েছে। সেই সময় ওই প্রতিনিধি দল জানিয়েছিল, এত অল্প সময়ে সবকিছু বুঝে ওঠা সম্ভব নয়। সরকারি সূত্র থেকে তেমনটাই জানা গিয়েছিল।

বৃহস্পতিবার যে যে দেশ থেকে দূত আসছে, সেগুলি হল— আমেরিকা, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান, গুয়ানা, ব্রাজিল, নাইজেরিয়া, নাইজার, আর্জেন্তিনা, ফিলিপিন্স, নরওয়ে, মরক্কো, মালদ্বীপ, ফিজি, টোগো, বাংলাদেশ ও পেরু।

ইরান “থমকে রয়েছে”, শান্তি ফেরাতে প্রস্তুত আমেরিকা, বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

ওই প্রতিনিধি দল প্রথমে শ্রীনগরে আসবে। তারপর প্রতিনিধিরা দেখা করবেন কেন্দ্রশাসিত জম্মুর লেফটেন্যান্ট গভর্নর জিসি মুর্মু ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে।

এক বর্ষীয়ান সরকারি কর্মকর্তা NDTV-কে জানিয়েছেন, ‘‘শ্রীনগরে তাঁদের বাদামি বাগে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে সেনার তরফে তাঁদের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে বোঝানো হবে। এর পর তাঁরা নাগরিক সমাজের কিছু মানুষের সঙ্গে মিলিত হবেন। এবর মধ্যে কাশ্মীরের সাংবাদিকরাও থাকবেন।''

অস্ট্রেলিয়া ও মধ্য প্রাচ্যের কিছু দেশের প্রতিনিধিদেরও এই সফরে থাকার কথা ছিল। কিন্তু তাদের তরফে জানানো হয়েছে, সময়সূচি নিয়ে সমস্যায় তারা প্রতিনিধি পাঠাতে পারছে না।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে নিয়ে তাকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার পর থেকে কাশ্মীরের প্রধান রাজনীতিবিদদের আটক করে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। গত ছ'মাস ধরে একই পরিস্থিতি থাকায় বহু দেশ এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। উদ্বিগ্ন মার্কিন ‘হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস'-ও। এই পরিস্থিতিতেই সরকারের তরফে নতুন করে দু'দিনের এই সফরের আয়োজন করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে NDTV-কে জানানো হয়েছে। 

.