This Article is From Jul 18, 2020

বাড়ছে করোনা আতঙ্ক, কমছে সুস্থতার সংখ্যা, রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত ১,৮৯৪

Bengal Coronavirus Cases: সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত রুখতে দেশের অন্য ৬টি শহর থেকে কলকাতায় বিমান অবতরণের নিষেধাজ্ঞা ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হল

বাড়ছে করোনা আতঙ্ক, কমছে সুস্থতার সংখ্যা, রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত ১,৮৯৪

West Bengal: রাজ্যের ছোট ছোট শহরগুলিতে লকডাউন জারি করা হয়েছে (ফাইল চিত্র)

হাইলাইটস

  • দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গেও করোনা সংক্রমণ বাড়ছে
  • সবচেয়ে বেশি চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা থেকে পুনরুদ্ধারের হার কমে যাওয়া
  • রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কড়া লকডাউন জারি করা হয়েছে
কলকাতা:

পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাসের (Bengal Coronavirus Cases) সংক্রমণ অত্যন্ত দ্রুতহারে ছড়াচ্ছে। শহর কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬৩ জন নতুন রোগীর সন্ধান মিলেছে। গোটা রাজ্যে (West Bengal) একদিনে মোট  ১,৮৯৪ জন করোনা পজিটিভ (Bengal Positivity Rate) হিসাবে ধরা পড়েছে।সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যুও, শুক্রবার মোট ২৬ জনের প্রাণ কেড়েছে কোভিড- ১৯ ভাইরাস। এই পরিস্থিতিতে যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়ছে রাজ্য সরকারের। সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত রুখতে দেশের অন্য ৬টি শহর অর্থাৎ দিল্লি, চেন্নাই, আমেদাবাদ, মুম্বই, পুনে এবং নাগপুরে থেকে কলকাতায় বিমান অবতরণের নিষেধাজ্ঞা ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ টুইট করে জানিয়েছে, "দিল্লি, মুম্বই, পুনে, চেন্নাই, নাগপুর এবং আমেদাবাদ এই ৬টি শহর থেকে কোনও বিমান # কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের উপর জারি নিষেধাজ্ঞা ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে"। পাশাপাশি টুইটে আরও জানানো হয়েছে যে রাজ্য সরকারের অনুরোধেই নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত।

বিশ্বের মধ্যে কোভিড -১৯ থেকে আরোগ্যলাভের হার অন্যতম বেশি ভারতবর্ষের: প্রধানমন্ত্রী

এদিকে করোনা ভাইরাসের দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়া রুখতে রাজ্যের ছোট ছোট শহরগুলিতেও লকডাউন জারি করা হয়েছে। দেখা গেছে যে কলকাতা এবং শহরতলির অঞ্চলগুলি ছাড়াও উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গাতেও কোভিড -১৯ এর সংক্রমণ বেড়েছে।

বাড়ানো হল কলকাতা থেকে ছ'টি শহরের বিমান ওঠানামায় নিষেধাজ্ঞা

বারাসত, মালদহ, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, রায়গঞ্জ এবং কোচবিহারে ৩১ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই তালিকায় যোগ হয়েছে হুগলি জেলার আরামবাগ এবং পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক ও কাঁথি সহ আরও কয়েকটি অঞ্চল।

করোনা থেকে সুস্থতার হার হঠাৎ করে কমে যাওয়ায় আরও চিন্তা বাড়ছে। যেখানে গত ১ জুলাইতে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া (Bengal Discharge Rate) মানুষের হার ৬৫.৩৫% শতাংশ ছিল, এখন তা থেকে অনেকটাই কমে দাঁড়িয়েছে ৫৮.৫৪% এ। এদিকে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার ক্রমেই বাড়ছে। রাজ্যে করোনা পজিটিভ হিসাবে ধরা পড়ার হার আগের ৩.৮৫% থেকে বেড়ে ৫.৬২% এ গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে ৮৯ জন, মালদহে ৮৮ জন, দার্জিলিংয়ে ৭৪ জন, জলপাইগুড়িতে ৩১ জন ও উত্তর দিনাজপুরে ২৯ জন নতুন করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে।

.