কনোট প্লেসের এক হনুমান মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
হাইলাইটস
- রাত পোহালেই দিল্লিতে ভোট। তার আগে বজরংবলী দর্শন সারলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল
- কনোট প্লেসের এক মন্দিরে গিয়েছিলেন তিনি
- দক্ষিণ দিল্লির এক হনুমান মন্দিরে যান বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারি
নয়া দিল্লি: শুক্রবার রাত পোহালেই দিল্লিতে (Delhi Assembly Election) ভোট। তার আগে 'উপরওয়ালার' কাছে আশীর্বাদ চাইতে মন্দির দর্শন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Delhi Chief Minister) ও মনোজ তিওয়ারির (Manoj Tiwari)। দুই পৃথক মতাদর্শের দুটি দলের সেনাপতিরা নির্বাচনী প্রচার শেষে এখন বজরংবলীর শরণে। শুক্রবার সন্ধ্যায় কনোট প্লেসের এক হনুমান মন্দিরে (Hanuman Temple) হাজির হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (arvind Kejriwal)। পাশাপাশি একই সময়ে দক্ষিণ দিল্লির কালকাজির এক হনুমান মন্দিরে দেখা গিয়েছে বিজেপির দিল্লি প্রদেশ সভাপতি মনোজ তিওয়ারিকে। দিল্লি ভোটের প্রচার চলাকালীন এই দুই রাজনীতিবিদ সোশাল সাইটে বাকযুদ্ধে জড়িয়েছিলেন। সেসব এখন অতীত। তাই 'আধ্যাত্মিক' উপায়ে সিদ্ধিলাভ করে ভোট বৈতরণী পার করতে এবার এই পথ বাছলেন কেজরিওয়াল ও মনোজ তিওয়ারি, দাবি করেছেন বিশ্লেষকরা। যদিও আপ শিবিরের দাবি, জেতার ব্যাপারে ১০০% নিশ্চিত দল, তাও আত্মশুদ্ধি লাভে হনুমান দর্শন সারলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
দক্ষিণ দিল্লির কালকাজির এক হনুমান মন্দিরে মনোজ তিওয়ারি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,তিনি হনুমানজির ভক্ত। অনেকবার মন্দিরে গিয়ে অন্য ভক্তদের সঙ্গে জোরে জোরে হনুমান চল্লিশা পাঠ করেছেন তিনি। তাঁর এই মন্তব্যের সমালোচনা করে টুইট করতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকে। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জুড়ে একটা টুইটে লেখেন, "দিল্লি ভোটে বেকায়দায় আপ। তাই অরবিন্দ কেজরিওয়াল এখন সঙ্কটমোচনের শরণাপন্ন।" অনেক হিন্দু পরিবার হনুমানজিকে 'সঙ্কটমোচন' ডেকে থাকেন। সেই প্রসঙ্গ টুইটে উল্লেখ করেন ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
অপরদিকে দিল্লির ভোট সূচি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে সে রাজ্যের শাহিনবাগ আন্দোলন। বিজেপি নেতারা সেই আন্দোলনকে দুষে "দেশভাগের চক্রান্ত" বলে দাবি করেছেন। কড়া ভাষা প্রয়োগ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এই আক্রমণের রাস্তায় হাঁটতে পিছিয়ে ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। সম্প্রতি শাহিনবাগ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ভোটের আগে বিজেপির উদ্বেগ বাড়িয়েছেন অপর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। উলটোদিকে, শাহিনবাগ আন্দোলনকে পরোক্ষে সমর্থন করে কেজরিওয়াল বলেছেন, শাহিনবাগ সমস্যা জিইয়ে রাখতে চায় বিজেপি। ওরা প্রতিবাদীদের সঙ্গে আলোচনায় না বসে, শুধু ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন। এ ভাষাতেই প্রত্যেকটি নির্বাচনী জনসভায় তোপ দেগেছেন আপ প্রধান।
![2m5tnhb8](data:image/svg+xml;base64,PD94bWwgdmVyc2lvbj0iMS4wIiBlbmNvZGluZz0idXRmLTgiPz4KPCEtLSBHZW5lcmF0b3I6IEFkb2JlIElsbHVzdHJhdG9yIDI0LjMuMCwgU1ZHIEV4cG9ydCBQbHVnLUluIC4gU1ZHIFZlcnNpb246IDYuMDAgQnVpbGQgMCkgIC0tPgo8c3ZnIHZlcnNpb249IjEuMSIgaWQ9IkxheWVyXzEiIHhtbG5zPSJodHRwOi8vd3d3LnczLm9yZy8yMDAwL3N2ZyIgeG1sbnM6eGxpbms9Imh0dHA6Ly93d3cudzMub3JnLzE5OTkveGxpbmsiIHg9IjBweCIgeT0iMHB4IgoJIHZpZXdCb3g9IjAgMCAxNDAgMTA2IiBzdHlsZT0iZW5hYmxlLWJhY2tncm91bmQ6bmV3IDAgMCAxNDAgMTA2OyIgeG1sOnNwYWNlPSJwcmVzZXJ2ZSI+CjxzdHlsZSB0eXBlPSJ0ZXh0L2NzcyI+Cgkuc3Qwe29wYWNpdHk6Ny4wMDAwMDBlLTAyO2ZpbGw6I0YxRjNGNzt9Cgkuc3Qxe29wYWNpdHk6MC4zNDtmaWxsOiNBRkFGQUY7ZW5hYmxlLWJhY2tncm91bmQ6bmV3ICAgIDt9Cjwvc3R5bGU+CjxyZWN0IGNsYXNzPSJzdDAiIHdpZHRoPSIxNDAiIGhlaWdodD0iMTA2Ii8+CjxkZXNjPkNyZWF0ZWQgd2l0aCBTa2V0Y2guPC9kZXNjPgo8cGF0aCBjbGFzcz0ic3QxIiBkPSJNMTAzLjcsNDYuMkw5OC4zLDU3bC01LjktMTAuN0g2My41aC0wLjRoLTguOXY0LjZjMS4yLDAuMywyLDEuNCwyLDIuNmMwLDEuMi0wLjksMi4yLTIsMi42djQuNmg4LjlsMCwwaDMKCWM0LjMsMCw2LjMtMi41LDYuMy02LjZ2LTEuNWMwLTAuNCwwLTEuNi0wLjMtMi44aDYuOHYxMWg0LjN2LTExaDYuMWw2LjEsMTFoNS41bDcuNy0xNC40SDEwMy43eiBNNjgsNTVjMCwxLjQtMC44LDIuMi0yLjYsMi4yaC0yCgloLTAuNGgtNC41di03LjZoNC45bDAsMGgyYzEuNywwLDIuNiwwLjksMi42LDIuMlY1NXoiLz4KPHBhdGggY2xhc3M9InN0MSIgZD0iTTUwLjgsNTMuNGMwLTEuMiwwLjktMi4zLDItMi42di00LjVoLTQuNXYxMC4yaC0wLjJjLTAuOSwwLTEuNS0xLTEuOC0xLjRsLTIuNS01Yy0xLjItMi40LTMuMi0zLjgtNS42LTMuOAoJaC00Ljd2MTQuNGg0LjZWNTAuNGgwLjJjMSwwLDEuNiwxLjEsMS44LDEuNGwyLjYsNWMxLjEsMi40LDMuMiwzLjgsNS41LDMuOGg0LjdWNTZDNTEuNiw1NS43LDUwLjgsNTQuNyw1MC44LDUzLjR6Ii8+Cjwvc3ZnPgo=)
বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু যখন শাহিনবাগ আন্দোলন।
শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ভোটগ্রহণ আর ১১ ফেব্রুয়ারি গণনা। ৭০টি বিধানসভার দখলে ত্রিমুখী লড়াই আপ, কংগ্রেস আর বিজেপির। ২০১৫-র ভোটে ৬৭টি আসন পেয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিল জাতীয় রাজনীতির নবাগত দল আপ। সেবার বিজেপি পেয়েছিল ৩টি আসন আর খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল কংগ্রেসকে। পাঁচ বছর পর যমুনা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে আপ এখন খানিকটা রাজনৈতিক ভাবে প্রাপ্তবয়স্ক। তাই গত বারের রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়ে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হবেন কেজরিওয়াল না প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়ায় ভেসে ক্ষমতা দখল করবে বিজেপি বা কংগ্রেস? তা জানতে ১১ ফেব্রুয়ারি অবধি অপেক্ষা করতেই হবে।
(ANI, IANS থেকে সংগৃহীত)