This Article is From Apr 10, 2020

ভারতে ক্লাস্টার সংক্রমণ! ভুল মেনে স্টেজ-থ্রি নিয়ে করা দাবি পাল্টালো হু

ভারতে করোনার প্রকোপ গোষ্ঠী সংক্রমণ। হুয়ের সম্প্রতি করা এই দাবি আদতে ভুল ছিল। শুক্রবার স্বীকার করল খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।

ভারতে ক্লাস্টার সংক্রমণ! ভুল মেনে স্টেজ-থ্রি নিয়ে করা দাবি পাল্টালো হু

ভারতে ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা।

হাইলাইটস

  • ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণ নয়, চলছে ক্লাস্টার সংক্রমণ
  • শুক্রবার দাবি হুয়ের। আগের রিপোর্ট ত্রুটি ছিল দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
  • ইতিমিধ্যে গোটা বিশ্বে সংক্রমণের জেরে মৃত্যু প্রায় ৯৫ হাজার
নয়া দিল্লি:

ভারতে করোনার প্রকোপ গোষ্ঠী সংক্রমণ। হুয়ের সম্প্রতি করা এই দাবি আদতে ভুল ছিল। শুক্রবার স্বীকার করল খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। ভারতে এখনও গোষ্ঠী সংক্রমণ (No community Transmission in India) হয়নি। যেটা হয়েছে, সেটা গুচ্ছ সংক্রমণ বা ক্লাস্টার সংক্রমণ। এনডিটিভিকে এদিন এমনটা জানিয়েছে হু। এমনকি, সংশোধিত রিপোর্টে ভুল সংশোধন করে এ কথা উল্লেখও করা হয়েছে,হু সূত্রে দাবি। এর আগে হুয়ের ওয়েবসাইটের ভারতীয় কলামে উল্লেখ করা হয়েছিল; এদেশে গোষ্ঠী বা কম্যুউনিটি সংক্রমণ চলছে। আর চিনে হয়েছে গুচ্ছ সংক্রমণ। ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী ১.৬ মিলিয়ন মানুষ সংক্রমিত (Corona Outbreak)। মৃত প্রায় ৯৫ হাজার। এই তথ্যও উল্লেখ হুয়ের ওয়েবসাইটে। এদিকে, হুয়ের  খারিজ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ভারত স্টেজ-থ্রি সংক্রমণে প্রবেশ করেনি। পাশাপাশি মন্ত্রকের শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত পাওয়া হিসেব, দেশে ৬৪১২ জন সংক্রমিত আর ১৯৯ জন মৃতও। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। 

করোনা মহামারীর মধ্যেই হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা, সতর্ক করল রাষ্ট্রসংঘ

এদিকে, গোষ্ঠী সংক্রমণ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তা লাভ আগরওয়াল বলেছেন, "ভারত স্টেজ-থ্রি সংক্রমণে ঢুকলে আমরা লুকবো না। প্রকাশ্যে আনব। গোষ্ঠী সংক্রমণ তখনই হবে, যখন ২০-৩০% সংক্রমণ এমন পাওয়া যাবে, যেখানে বাহক বা উৎসের কোনও খোঁজ মিলবে না।"অপরদিকে, এই সংক্রমণ ১০০ দিন পূর্ণ করল। জানুয়ারিতে প্রথম হু এই সংক্রমণকে অজানা কারণে, নিউমোনিয়া বলে ব্যাখ্যা করেছিল। তারপর থেকে ১০ এপ্রিলের বিচারে ১০০ দিন পূরণ করল এই মহামারী। 

১৪ এপ্রিলের পরেও বন্ধ থাকতে পারে স্কুল-কলেজ, বিলম্ব হবে বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশেও

এদিকে, ফের একবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তিনি। এই পরিস্থিতিতে আদৌ লকডাউন তুলে নেওয়া উচিত হবে কিনা তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই বুধবার সর্বদলীয় বৈঠকে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ইঙ্গিতই দিয়েছেন তিনি। তবে শনিবার দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করবেন মোদি। মনে করা হচ্ছে ওই বৈঠকেই লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জাতির উদ্দেশে ভাষণে লকডাউনের ভবিষ্যৎ নিয়েই বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এর আগে ২৪ মার্চ জাতির উদ্দেশে ভাষণে ২৫ মার্চ থেকে একটানা ২১ দিনের লকডাউন জারির ঘোষণা করেন তিনি। ওই লকডাউনের মেয়াদ শেষ হবে ১৪ এপ্রিল। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি রাজ্যের সরকার প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১৪ এপ্রিলের পরেও লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার সুপারিশ করেছেন।

এদিকে ইতিমধ্যেই দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে ওড়িশা। নবীন পট্টনায়েক সরকার তাঁর রাজ্যে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকার ঘোষণা করেছে।

.