This Article is From Jul 18, 2020

কলকাতায় অমিল কোভিড ড্রাগ, ওষুধ জোগাড়ে নাজেহাল আক্রান্তদের পরিবার

Covid Drugs: কেন্দ্রের তরফ থেকে ওষুধ উৎপাদনের সংখ্যা নির্ধারণে ঘাটতি থাকাই এই সঙ্কটের অন্যতম কারণ, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা

Coronavirus: গোটা জুলাই মাস ধরেই অমিল কোভিড ড্রাগ অ্যাকটেমরা (প্রতীকী চিত্র)

হাইলাইটস

  • কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অমিল করোনা রোগীদের ওষুধ
  • চিকিৎসকদের লিখে দেওয়া ওষুধ জোগাড়ে নাজেহাল রোগীদের পরিবার
  • চলছে করোনার ওষুধ নিয়ে ব্যাপক কালোবাজারি
কলকাতা:

একেই বোধহয় বলে 'মরার উপর খাঁড়ার ঘা'। একে তো কলকাতা (Kolkata) সহ গোটা রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অত্যন্ত দ্রুত হারে বাড়ছে, তার উপর আবার মিলছে না করোনার ওষুধও (Covid Drugs)। কোভিড ড্রাগের এমন ঘাটতি দেখা দিয়েছে যে, রোগীদের (Coronavirus) পরিবারকে ওষুধ সংগ্রহের জন্যে ছুটে বেড়াতে হচ্ছে এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। গত সপ্তাহের পর থেকেই করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় ব্য়বহৃত ড্রাগ অ্যাকটেমরা (Actemra) বা টোসিলিজুমাব (Tocilizumab) বাজার থেকে একরকম বেপাত্তা হয়ে গেছে বলা যায়। এই যেমন, ৫৩ বছর বয়সী রিঙ্কু বন্দ্যোপাধ্যায়ের করোনা আক্রান্ত বাবা দক্ষিণ কলকাতার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন, বাবার চিকিৎসার জন্যে অ্যাকটেমরা ওষুধটির প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি। অথচ তা ওষুধের দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই কোভিড ড্রাগ সংগ্রহের আশায় ওই ভদ্রমহিলা দিল্লি থেকে জয়পুর পর্যন্ত ঘুরে এসেছেন, কিন্তু কোথাও ওষুধের সন্ধান মেলেনি। 

বাড়ছে করোনা আতঙ্ক, কমছে সুস্থতার সংখ্যা, রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত ১,৮৯৪

রিঙ্কু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি সবজায়গায় ওষুধ কেনার চেষ্টা করেছি ... সাদা বাজার, কালো বাজার, ধূসর বাজার। তবে এসব কিছুই যেন আমার দেওয়াল মাথা ঠোকার মতো ছিল। আমি মরিয়া হয়ে আমার বাবার জন্যে ওষুধের খোঁজ করছি।" "আমি এমন অনেক লোকের সঙ্গেই কথা বলেছি যাঁদের নামও আমি জানি না। তাঁরা আমাকে নানা রেফারেন্স দিয়ে চলেছেন... ফোন নম্বর দিচ্ছেন ..."।

বিশ্বের মধ্যে কোভিড -১৯ থেকে আরোগ্যলাভের হার অন্যতম বেশি ভারতবর্ষের: প্রধানমন্ত্রী

জানা গেছে, রিঙ্কু বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ জুলাই ১৪ জুলাই পর্যন্ত কলকাতার বিভিন্ন ওষুধের বাজার ঘুরেও কিছুই পাননি। "এটা অত্যন্ত খারাপ অভিজ্ঞতা, ওষুধ বিক্রেতা, পরিবেশক, উৎপাদনকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি ... কিন্তু না, ওষুধ সেই নাগালের বাইরেই রয়ে গেছে। আমি জানি না কী করবো ... শুধু এই আশাই আমায় দেওয়া হচ্ছে যে খুব তাড়াতাড়ি ওষুধ পাওয়া যাবে।"

তবে রিঙ্কু বন্দ্যোপাধ্যায় একা নন, এমন দুর্দশায় পড়েছেন বহু মানুষ। অ্যাকটেমরা প্রায় সারা দেশেই অমিল। বিহারের এক প্রবীণ চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রয়োজনীয় কোভিড ড্রাগ টোসিলিজুমাব কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁর ছেলে দিল্লি থেকে কোনওক্রমে ওই ওষুধ সংগ্রহ করে পাটনা নিয়ে যান।

কিন্তু কেন এই ওষুধের ঘাটতি? সূত্র বলছে এই কোভিড ড্রাগ ভারতীয় ওষুধ সংস্থা সিপলা আমদানি করে। কিন্তু সেই যে জুনের শেষের দিকে মুম্বইয়ে এই ওষুধ বিমানে করে আনা হয়েছিল, তারপরে আর আসেনি। ফলে দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় তা খুবই সামান্য ছিল। ওই ওষুধের কিছু শিশি কলকাতাতেও এসে পৌঁছেছিল, কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই তা শেষ হয়ে যায়। 

এই পরিস্থিতিতে আবার কেউ কেউ কালোবাজারিও করছেন। যেখানে কোভিড ড্রাগের একটি ৪০০ মিলিগ্রাম / ২০ মিলি শিশির দাম ২৯,৫০০ টাকা, সেখানে অভিযুক্ত কালোবাজারিরা তা ৪০,৫০০ টাকায় বেচছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

কেন্দ্রের তরফ থেকে ওষুধ উৎপাদনের সংখ্যা নির্ধারণে ঘাটতি থাকাই এই সঙ্কটের অন্যতম কারণ, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কবে এই ওষুধের সঙ্কট কাটবে তা বলতে পারছেন না কেউই।

.