This Article is From May 29, 2020

‘‘আমরা কি পশু?’’ কোভিড হাসপাতালে ‘অমানবিক’ পরিবেশের অভিযোগ রোগীদের

একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আপনারা আমাদের পশুতে পরিণত করেছেন। আমরা পশু? আমাদের জলের প্রয়োজন নেই?’’

ভিডিওয় রোগীদের অভিযোগ জানাতে দেখা গিয়েছে হাসপাতালে তাঁদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করা হচ্ছে।

লখনউ:

নেই পর্যাপ্ত খাবার, জল। অভিযোগে ফেটে পড়লেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রয়াগরাজের এক কোভিড-১৯ হাসপাতালের (COVID-19 Hospital) রোগীরা। এমনই এক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিন মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে প্রয়াগরাজের কোট্টা বাণী অঞ্চলের এল ১ ক্যাটিগরির কোভিড-১৯ হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের। ভিডিওয় রোগীদের অভিযোগ জানাতে দেখা গিয়েছে হাসপাতালে তাঁদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে দু'ঘণ্টার জন্য বন্ধ ছিল জল সরবরাহ। এরপরই রোগীদের বিক্ষোভ চরম আকার নেয়। হাসপাতাল বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় বহু রোগীকে। তাঁদের মধ্যেই একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আপনারা আমাদের পশুতে পরিণত করেছেন। আমরা পশু? আমাদের জলের প্রয়োজন নেই?''

২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় ব্যাপক বৃদ্ধি, রোগীর সংখ্যা ১,৬৫,৭৯৯

ভিডিওটি যিনি করছিল‌েন, এরপর তিনি মোবাইল ফোনটি ঘুরিয়ে দেন হাসপাতালের সামনে জড়ো হওয়া ভিড় ও হাসপাতালের সাইনবোর্ডটিকে। ভিডিওকারীকে প্রশ্ন করতে শোনা যায়, ‘‘আপনারা কি ঠিকঠাক খাবার পাচ্ছেন না?'' একযোগে সমস্ত রোগীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘না! সবই আধকাঁচা।''

এরপর এক রোগিণীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘যদি আপনাদের কাছে টাকা না থাকে আমাদের থেকে নিন। কর্তৃপক্ষকে বলুন, যদি পরিস্থিতি না শোধরায় আমরা এখান থেকে বেরিয়ে বাড়ি চলে যাব।''

লকডাউন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের কথা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

প্রয়াগরাজের মুখ্য মেডিক্যাল আধিকারিক এক বিবৃতিতে দাবি করেন, জলের ওই সমস্যার সমাধান দু'ঘণ্টার মধ্যেই করা হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ পরিষেবায় বিঘ্নের কারণে জল সরবরাহে বাধা পড়েছিল।

একজন ইলেকট্রিশিয়ানকে ডেকে বিষয়টা আমরা দু'ঘণ্টার মধ্যে সমাধান করে ফেলেছিলাম। জল উপরের ট্যাঙ্কে সব সময়ই থাকে। কিন্তু রোগীরা পছন্দ করেন স্নানের জল টাটকা জলের। আমরা ওঁদের সমস্যার সমাধান করেছি দ্রুত।''

উত্তরপ্রদেশে এই প্রথম কোনও কোভিড-১৯ হাসপাতাল বা কোয়ারান্টাইন কেন্দ্রে অব্যবস্থার অভিযোগ উঠল তা নয়। এর আগেও রাজ্যের আগ্রা ও ইটাওয়া জেলাতেও এমন অভিযোগ শোনা গিয়েছে।

কয়েকদিন আগে রাজ্যের চিকিৎসা বিভাগ এল ২ ও এল ৩ কোভিড হাসপাতালে মোবাইলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দেয়। পরে বহু সমালোচনার ধাক্কায় শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

.