This Article is From Apr 19, 2020

২০ এপ্রিল থেকে খুলে যাচ্ছে কোন কোন পরিষেবা? দেখে নিন নতুন তালিকা

শনিবার এই বিষয়ে চূড়ান্ত বৈঠক করে মন্ত্রীপার্ষদ। সেই বৈঠকেই এই সংশোধনী আনা হয়েছে। যাতে সর্বপ্রথম বাদ পড়েছে ই-কমার্সে অ-নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রির সরবরাহ

২০ এপ্রিল থেকে খুলে যাচ্ছে কোন কোন পরিষেবা? দেখে নিন নতুন তালিকা

আর্থিক আর পরিষেবাগত ক্ষেত্রে কিছু ছাড় ২০ এপ্রিল থেকে লাগু। যে যে ক্ষেত্রে কাজ শুরু করতে অনুমতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

হাইলাইটস

  • ২০ এপ্রিল থেকে কয়েকটা ক্ষেত্রে কাজ শুরু করতে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র
  • নতুন সেই তালিকা টুইটারে পোস্ট করেছেন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ
  • শনিবার মন্ত্রীপার্ষদের বৈঠক শেষে চূড়ান্ত হয়েছে এই তালিকা
নয়া দিল্লি:

২০ এপ্রিল থেকে কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় (Exempted form Lockdown) দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার, তার একটা তালিকা প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু সেই তালিকায় কিছু সংশোধনী আনা হল রবিবার। শনিবার এই বিষয়ে চূড়ান্ত বৈঠক করে মন্ত্রীপার্ষদ। সেই বৈঠকেই এই সংশোধনী আনা হয়েছে। যাতে সর্বপ্রথম বাদ পড়েছে ই-কমার্সে (E-Commerce) অ-নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রির সরবরাহ। প্রথমে ই-কমার্সে এই সামগ্রি সরবারহে সবুঝ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সংশোধনীতে বাদ পড়েছে মোবাইল, ল্যাপটপ, টিভি সেট আর ফ্রিজের মতো সামগ্রির সরবরাহ বাদ পড়েছে ই-কমার্স পরিষেবা থেকে। নতুন যে তালিকা, সেটা রবিবার টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ (ravishankar Prasad)। সেই তালিকায় স্পষ্ট করা হয়েছে, কৃষি (Agriculture, Horticulture), বাগান পরিচর্যা, গ্রামীণ নির্মাণ শিল্প, মৎস্য চাষ  প্রতিপালন, আয়ুষ-সহ স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু করা যাবে। পাশাপাশি, নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আর ক্ষুদ্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান দিতে পারবে পরিষেবা। এমনকি, চা, কফি ও রাবারের মতো বপন শিল্পেও ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র। 

দেখে নিন  রবিশঙ্কর প্রসাদের সেই টুইট: 

এবার দেখুন সেই তালিকা, যেগুলো ২০ এপ্রিল থেকে পরিষেবা দিতে অনুমতি পেয়েছে:

  • আর্থিক ক্ষেত্র (ব্যাঙ্ক-এটিএম)
  • সামাজিক ক্ষেত্র (অনাথ আশ্রম, বৃদ্ধাশ্রম, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ও মানুষের আশ্রম), অঙ্গনওয়ারি প্রমুখ 
  • কড়া স্বাস্থ্য বিধি মেনে কাজ করতে পারবেন মনরেগা শ্রমিকরা। (পরতে হবে মাস্ক, মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব)
  • জন-প্রয়োজনে ব্যবহৃত পরিষেবা (জল, সাফাই, বর্জ্য পরিষ্কার, বিদ্যুৎ আর পোস্টাল)
  • আন্তঃরাজ্য এবং আন্তঃজেলা পণ্য তোলা এবং নামানো (ব্যবহার করা যাবে রেল, আকাশ এবং জলপথ)
  • অনলাইন ক্লাস/ ডিস্ট্যান্স কোচিং
  • নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবারহ (স্থানীয় মুদি আর ই-কমার্স)
  • বাণিজ্যিক আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (সংবাদ পত্র, বৈদ্যুতিন মাধ্যম, সম্প্রচার, ডিটিএইচ, ডেটা এবং কল সেন্টার, শুধুমাত্র সরকারি কাজের জন্য)
  • ই -কমার্স পরিষেবা শুধুমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, কুরিয়ার আর হোটেলের জন্য  
  • আটকে থাকা নাগরিকদের জন্য হোম-স্টে আর লজ পরিষেবা। এদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মী এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা এই পরিষেবা নিতে পারবেন
  • শিল্প এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান (সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, যারা গ্রামীণ এলাকায় কাজ করে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে যারা যুক্ত। আর ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রি প্রস্তুতে যারা যুক্ত)
  • নির্মাণ শিল্প (সড়ক, সেচ আর গ্রামীণ এলাকায় শিল্পোন্নয়ন ক্ষেত্র। যেখানে অতিরিক্ত শ্রমিক প্রয়োজন নেই।)
  • জরুরি পরিষেবা দিতে বেসরকারি পরিবহণ। (মেডিক্যাল আর পশু চিকিৎসা) 
  • কেন্দ্রীয়, রাজ্য ও কেন্দ্রসাশিত অঞ্চলের অধীনস্ত সরকারি অফিস 

.