This Article is From Jun 07, 2020

বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে দিল্লি সরকারের এফএইআআর।বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

দিল্লি স্বাস্থ্য দফতরের ডেপুটি সচিব এই এফআইআর দায়ের করেছেন

বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে দিল্লি সরকারের এফএইআআর।বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে নমুনা পরীক্ষা সংক্রান্ত নথি নথিভুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নয়া দিল্লি:

দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের। শনিবার দিল্লি সরকারের তরফে এই উদ্যোগ (FIR against Private Hospital)  নেওয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণের (Covid-19) নমুনা পরীক্ষা সম্পর্কিত সরকারি বিধি লঙ্ঘন করায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এমনটাই সরকারি সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, শুধু লিখিত অভিযোগ নয়, ওই হাসপাতালের এক অপরিচিত সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে রীতিমতো এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। দিল্লি (Delhi government) স্বাস্থ্য দফতরের ডেপুটি সচিব এই এফআইআর দায়ের করেছেন। সরকারি নির্দেশে বলা, "সরকারি সফটওয়্যারে নথিভুক্ত করতে হবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য।" কিন্তু স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের তরফে সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।এমনটাই অভিযোগ। ইতিমধ্যে, দিল্লির হাসপাতালে করোনা শয্যার সংখ্যা অপ্রতুল নয়। তাই সংক্রমণ উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের কম শয্যার অছিলায় ফেরানো যাবে না। শনিবার এই ভাষাতেই হাসপাতালগুলোকে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় এই বিষয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। অভিযোগ, "সংক্রমণ উপসর্গ নিয়ে যারা চিকিৎসাধীন হতে চাইছেন তাঁদের সেভাবে যত্ন করা হচ্ছে না।"

"কোনওদিন বলিনি কেন্দ্র থেকে প্রধানমন্ত্রীর সরা উচিত," পরোক্ষে বিজেপিকে তোপ মমতার

সেই অভিযোগগুলোকে গুরুত্ব সহকারে বিচার করে এদিন সরব হলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট করেছেন, "এভাবে অসাধু উদ্দেশ্য যারা চরিতার্থ করছেন, তাঁদের রেয়াত করা হবে না।" তিনি বলেন, "করোনা রোগীদের ভর্তি নিতে অস্বীকার করছে কিছু হাসপাতাল। আমি তাদের সতর্ক করছি, যদি এভাবে তারা ভাবেন কালো বাজারি উসকে দেবেন। তাহলে যে দলেরই সমর্থক হন রেয়াত করা হবে না।" 

দিল্লিবাসীর উদ্দেশে তাঁর আবেদন, "দয়া করে আমাদের কিছু দিন সময় দিন। আমরা তদন্ত করব আর অভিযুক্তদের চিহ্নিত করব। কিছু অসৎ মানুষ কালবাজারির জিগির তুলতে করোনা শয্যা অপ্রতুল বলে চালচ্ছেন।" মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি, "উপসর্গ নেই এমন নাগরিক নমুনা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে দরবার করলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়বে। তাই একমাত্র যাদের উপসর্গ আছে, তাঁরাই হাসপাতালে আসুন। তাঁদেরকে সেরা চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে।" 

.