This Article is From Jun 11, 2020

অমানবিক! সংক্রমণ সন্দেহে দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তির দেহ বহন করা হল জঞ্জালের গাড়িতে

জানা গিয়েছে; সেই ব্যক্তির করোনা সংক্রমণ ছিল; এই সন্দেহে এভাবে বহন করা হয়েছে সেই মৃতদেহ

অমানবিক! সংক্রমণ সন্দেহে দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তির দেহ বহন করা হল জঞ্জালের গাড়িতে

পুরকর্মীরা আবর্জনার গাড়িতে ভরে সেই শব বহন করে।

হাইলাইটস

  • সরকারি কাজে বেরিয়েছিলেন সেই ব্যক্তি। বাড়ির ফেরার পথে ঘটে এই দুর্ঘটনা
  • উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরে জোর চর্চা
  • সাসপেন্ড পুলিশ-সহ পুরকর্মী
লখনউ:

দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তির শব আবর্জনার গাড়িতে (Body carried by Garbage van in UP) ভরে আনা হল থানায়। আমানবিক এই ঘটনায় চাঞ্চল্য উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর জেলায়। সম্প্রতি ভাইরাল একটা ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, পুলিশের উপস্থিতিতে সেই মৃতদেহ প্লাস্টিকে মুড়ে তোলা হচ্ছে আবর্জনার গাড়িতে। সেই অবস্থায় শব হয়ে আনা হয় স্থানীয় থানায়। ভাইরাল এই ভিডিও (Viral Clips) ঘিরে সমালোচনা শুরু হওয়ায় চার পুলিশ-কর্মী-সহ চার পুরকর্মীকে সাসপেন্ড করেছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে; সেই ব্যক্তির করোনা সংক্রমণ (Amid Covid-19) ছিল; এই সন্দেহে এভাবে বহন করা হয়েছে সেই মৃতদেহ। সেই ভিডিওতে আরও দেখা গিয়েছে, মৃতদেহের একটু দূরেই একটা অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ সন্দেহে সেই অ্যাম্বুলেন্সও মৃতদেহ তুলতে অস্বীকার করে। পুলিশ সূত্রে খবর; বছর ৪২-এর মহম্মদ আনওয়ার; বলরামপুরের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার সরকারি কাজে স্থানীয় সরকারি অফিসে গিয়েছিলেন। সেখানেই অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মৃত্যু হয় তাঁর।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে; মৃতদেহের পাশে একটা জলের বোতল পড়ে। আরও একটা ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটা আবর্জনার গাড়ির সামনে সেই মৃতদেহ নিয়ে পুলিশ ও পুরকর্মীরা দাঁড়িয়ে।

জেলার পুলিশ সুপার দেবাঞ্জন ভার্মা এই ঘটনাকে অমানবিক ও সংবেদনশীল আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন; "যেহেতু সংক্রমণ আতঙ্ক চারদিকে। তাই এমন একটা অমানবিক আচরণ করেছেন পুলিশকর্মীরা।   পুলিশ ও পুরকর্মীরা তরফে এই আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। কোনও ব্যক্তি করোনা সংক্রমণে মৃত হলেও; তাঁকে বইতে পিপিই কিট পরতে হয়। এই বিষয়ে আমি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।" কীভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে; তা জানতে দেহের ময়না তদন্ত হবে জানান ওই পুলিশকর্তা।

.