This Article is From Feb 18, 2020

সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ প্রশমিত করতে অসমে ইনার লাইন পারমিট চালুর প্রস্তাব

Assam Accord: হাই-প্রোফাইল কমিটির রিপোর্টে অসম চুক্তির ৬ নং দফা বাস্তবায়নের জন্য একটি রোড ম্যাপ দেওয়া হয়েছে

Citizenship Amendment Act: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন চলছে

হাইলাইটস

  • সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল অসম
  • আইএলপি চালু করা হোক সেখানে, উঠেছে এমন দাবি
  • অসম বিধানসভায় আদিবাসীদের জন্য আসন সংরক্ষণের চেষ্টা করা হচ্ছে
নয়া দিল্লি:

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) অসম চুক্তির বিরোধী এই অভিযোগে অসমে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। এবার ওই রাজ্যে বিক্ষোভরত প্রতিবাদকারীদের (Citizenship Amendment Act) শান্ত করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পরিচালিত একটি কমিটি ১৯৫১-কে কাট অফ বছর হিসাবে নির্ধারণ করার পরামর্শ দিয়েছে। অসমের আদিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য এবং বহিরাগতদের রুখতে অসমে (Assam) ঢোকা রুখতে অভ্যন্তরীণ লাইন পারমিট (আইএলপি) প্রবর্তন করে ওই কাট-অফ বছরের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। হাই-প্রোফাইল ওই কমিটির রিপোর্টে অসম চুক্তির (Assam Accord) ৬ নং দফা বাস্তবায়নের জন্য একটি রোড ম্যাপ দেওয়া হয়েছে, যাতে "অসম রাজ্যের জনগণের সাংস্কৃতিক, সামাজিক, ভাষাগত পরিচয় এবং ঐতিহ্য রক্ষা, সংরক্ষণ এবং প্রচার" সংক্রান্ত একটি বিধান রয়েছে।

Assam NRC: অসমে নাগরিক তালিকা থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে বহু তথ্য! কেন্দ্রকে তদন্তের আবেদন

অসম চুক্তির ৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী অসমের মানুষের সাংস্কৃতিক, সামাজিক, ভাষাগত পরিচয় এবং ঐতিহ্য সুনিশ্চিত করার জন্য সাংবিধানিক, আইনগত এবং প্রশাসনিক নিরাপত্তা দিতে হবে। সেই ভিত্তিতেই সিএএ-র বিরুদ্ধে জনরোষ অসমে। সে রাজ্যের মানুষের অভিযোগ সিএএ লাগু হলে বাংলাদেশি হিন্দুতে ভরে যাবে অসম। আর সেই কারণেই তাঁরা এই আইনের বিরোধিতা করছেন। কেননা অসম চুক্তির ৬-নম্বর ধারা অনুযায়ী অসমে নাগরিকত্ব পাওয়ার কাট-অফ তারিখ হচ্ছে ২১ মার্চ ১৯৭১, আর নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী কাট অফ তারিখ হল ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪। অর্থাৎ এই সময়ের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে যে সমস্ত অমুসলিম শরণার্থীরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আর এখানেই আপত্তি জানায় অসমবাসী। তাঁদের যুক্তি, সিএএ লাগু হলে বাংলাদেশি হিন্দুতে ভরে যাবে তাঁদের রাজ্য।

"আপনাদের সঙ্গে গোটা ভারত উৎসব করছে": অসমে বোরো শান্তি চুক্তি বিষয়ে মোদি

অসমের এই জনরোষ রুখতেই এবার কাট অফ বছর পরিবর্তন করে ১৯৭১ সালের বদলে ১৯৫১ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। "রিপোর্টটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি এই সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া হবে", জানান এক সরকারি আধিকারিক। ওই কমিটির সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে এই সুপারিশ করেছেন যে ১৯৫১ সাল থেকে যারা অসমে বসবাস করছেন তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মকে, গোষ্ঠী, বর্ণ, ভাষা, ধর্ম ও ঐতিহ্য নির্বিশেষে অসমের আদিবাসী হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। বহিরাগতদের অনিয়ন্ত্রিত প্রবেশ ঠেকাতে অসমে আইএলপি বা ইনার লাইন পারমিট ব্যবস্থা চালু করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

ইনার লাইন পারমিট বা আইএলপি হল এমন একটি বন্দোবস্ত যার সুবাদে  এবং যার আওতায় ভারতীয় নাগরিকরা একটি রাজ্যে বসবাস করতে পারেন। বর্তমানে এই বন্দোবস্ত চালু রয়েছে উত্তর পূর্বাঞ্চলের তিনটি রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড ও মিজোরামে। ওই রাজ্যের মানুষ না হলে বিনা অনুমতিতে অন্য কোনও ভারতীয় নাগরিক এই রাজ্যগুলিতে যেতে পারেন না, এবং আইএলপি-তে উল্লিখিত সময়সীমা পার হয়ে যাবার পর সেখানে থাকতে পারেন না। আর যদি আইএলপি ভুক্ত এলাকা ছাড়া অন্য জায়গার জন্যে সিএএ লাগু হয়, তাহলে সিএএ-র আওতায় শরণার্থীরা ভারতীয় নাগরিকত্ব পেলেও ওই তিন রাজ্যে বসবাস করতে পারবেন না। অসমেও তাই আইএলপি নিয়ে জোরদার সওয়াল করা হয়।

কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও অসম সহ উত্তর-পূর্ব ভারতকে আশ্বস্ত করে বলেন,"আমি অসমের ভাই ও বোনদের আশ্বস্ত করতে চাই যে সিএএ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। আমি জানাতে চাই, তাঁদের অধিকার কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। কেউ ছিনিয়ে নেবে না তাঁদের পরিচিতি, সুন্দর সংস্কৃতিকে। এটা দিনে দিনে আরও বাড়বে। লাগু করা হবে অসম চুক্তির ৬ নম্বর ধারা।"
 

.