This Article is From Jan 07, 2020

ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে উলটে JNU ছাত্রনেতা ঐশী ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর দিল্লি পুলিশের!

নিরাপত্তারক্ষীদের উপর হামলা চালানোর জন্য এবং সার্ভার রুম ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য ঐশী ঘোষ এবং আরও আট জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে দ্বিতীয় ওই এফআইআরে।

ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে উলটে JNU ছাত্রনেতা ঐশী ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর দিল্লি পুলিশের!

JNU Attack: রবিবার লোহার রড দিয়ে আক্রমণের ফলে গুরুতর আহত হয়েছেন ঐশী ঘোষ

নয়াদিল্লি:

লোহার রড এবং বিশাল বিশাল লাঠি, হাতুড়ি নিয়ে মুখ ঢেকে জেএনইউ ক্যাম্পাসের ভিতরে নির্মম তাণ্ডব চালিয়ে যাওয়ার ঠিক একদিন আগে, অর্থাৎ ৪ জানুয়ারি নাকি জেএনইউ ছাত্রনেতা (JNU students' union leader) ঐশী ঘোষ (Aishe Ghosh) এবং আরও ১৯ জন পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার রুমে ভাঙচুর করেছে! আর এই মর্মেই  দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) ঐশী এবং ওই ১৯ জনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছে। রবিবার লোহার রড দিয়ে আক্রমণের ফলে গুরুতর আহত হয়েছেন ঐশী ঘোষ সহ আরও ৩৪ জন। পুলিশের দায়ের করা ওই এফআইআরে একটি ঘটনার উল্লেখ রয়েছে, যেখানে জেএনইউ প্রশাসন অভিযোগ করেছে যে ছাত্রছাত্রীদের হস্টেল ফি বৃদ্ধির বিষয়ে গত বছর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সেমিস্টার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় বাধা দিয়েছে এবং একটি কম্পিউটার সার্ভার রুমে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে এবং প্রযুক্তি কর্মীদের ‘ভয় দেখিয়েছে'।

অর্থনৈতিক তথ্য পর্যালোচনার সরকারি প্যানেল থেকে ইস্তফা জেএনইউয়ের অধ্যাপকের

এফআইআরগুলি দায়ের করা হয়েছে ৩ জানুয়ারি (শুক্রবার) এবং ৪ জানুয়ারি (শনিবার)। এবং নিরাপত্তারক্ষীদের উপর হামলা চালানোর জন্য এবং সার্ভার রুম ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য ঐশী ঘোষ এবং আরও আট জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে দ্বিতীয় ওই এফআইআরে। শুক্রবারের এফআইআরে কতজনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে তা অবশ্য স্পষ্ট নয়, যদিও এটিও সার্ভার রুমের ঘটনার সঙ্গেই সংযুক্ত।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, পড়ুয়ারা সার্ভার রুমে ভাঙচুর করার পরে শনিবার সকালে প্রযুক্তি ও যোগাযোগ কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও তথ্য (সিআইএস) চত্বরে প্রবেশ করেন। কর্মীরা পরে আবার সার্ভারগুলির অনলাইন ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করে নেন। তবে তারা জানিয়েছেন, দুপুর ১ টা নাগাদ একদল ‘দুষ্কৃতী' ঘরে ঢুকে ফের সিস্টেমগুলির উপর তাণ্ডব চালায়। সার্ভারগুলি দ্বিতীয়বার ঠিকঠাক করে আগের অবস্থায় ফেরানো হয় বিকেল চারটের দিকে।

EXCLUSIVE: জেএনইউ হামলায় বিশেষ কোড-ওয়ার্ড ব্যবহার: সূত্র

জেএনইউ প্রশাসনের দাবি, হস্টেলের ফি বাড়ানোর বিষয়ে পড়ুয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের সঙ্গে সার্ভার রুমের ঘটনা সম্পর্কিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দাবি যে রবিবারের হিংসাও সার্ভারে হামলার সঙ্গেই জড়িত ছিল।

রবিবারের আক্রমণের নেপথ্যে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি রয়েছে এমনটাই মনে করছে বাম-সমর্থিত পড়ুয়াদের সংগঠন। হামলার সময় নিজেদের ভূমিকের জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে দিল্লি পুলিশ।

.