This Article is From Jan 04, 2020

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দাবি ৫৭ জন কর্মী গুলিবিদ্ধ, অনেক খুঁজে মিলল মাত্র একজন

এই আন্দোলনে রাজ্য পুলিশের প্রায় ৩০০ কর্মী জখম হয়েছেন। জখম সেই পুলিশকর্মীদের মধ্যে ৫৭ জন গুলিবিদ্ধ । এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি পুলিশ আধিকারিকরা।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দাবি ৫৭ জন কর্মী গুলিবিদ্ধ, অনেক খুঁজে মিলল মাত্র একজন

মীরাটের দুই যুবক, যাঁদের মধ্যে একজন নীল জ্যাকেট পরা, পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ছে।

হাইলাইটস

  • এই আন্দোলনে রাজ্য পুলিশের প্রায় ৩০০ জন কর্মী জখম হয়েছেন।
  • জখম সেই পুলিশকর্মীদের মধ্যে ৫৭ জন গুলিবিদ্ধ
  • একজন নীল জ্যাকেট পরা, পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ছে
লখনউ:

সিএএ (CAA)-বিরোধী আন্দোলনে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ে এবার চাঞ্চল্যকর দাবি উত্তর প্রদেশ (ইউপি) পুলিশের। গত মাসের এই আন্দোলনে রাজ্য পুলিশের প্রায় ৩০০ কর্মী জখম হয়েছেন। জখম সেই পুলিশকর্মীদের মধ্যে ৫৭ জন গুলিবিদ্ধ (bullet injuries)। যদিও, এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি ইউপি পুলিশ আধিকারিকরা। এদিকে এনডিটিভি অনেক ঘুরে এক পুলিশকর্তাকে খুঁজে পেয়েছিলেন, যিনি এখনও পায়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে ঘুরছেন। সেই পুলিশকর্তা মুজাফ্ফরনগরের এসপি সতপাল অনতিল এনডিটিভিকে এক ছবি দেখান। যেটা বুলেটবিদ্ধ পায়ের ছবি। সে ব্যাপারে তাঁর দাবি, ২০ ডিসেম্বর তিনি ও তাঁর টিম মীনাক্ষী চকের দায়িত্বে ছিলেন। সেই সময় আচমকাই তাঁর পায়ে গুলি এসে লাগে। তিনি বুঝতে পারেননি, শুধু তাঁর পা রক্তাক্ত হয়ে গিয়েছিল, জানিয়েছেন তিনি।  

সিএএ'র ধারাভুক্ত নয়, তাই দেশে ফেরত পাঠানো হবে জম্মুর রোহিঙ্গাদের: মন্ত্রী

যদিও ওই পুলিশকর্তার উপর আক্রমণের অভিযোগে কোন পৃথক তদন্ত করেনি ইউপি পুলিশ। শুধু খুনের চেষ্টার অভিযোগে ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে তারা। সেদিনই (২০ ডিসেম্বর) পুলিশের গুলিতে মুজ্জাফ্ফরনগরে এক প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়েছিল বলে সরব বিরোধীরা।  এদিকে আবার পুলিশের এই দাবি ঘিরে দফতরের অন্দরেই বিরোধ তুঙ্গে। পিভি রমা শাস্ত্রী নামে এক পুলিশকর্তা দাবি করেছেন, তাঁর কাছে গুলিবিদ্ধ সব পুলিশকর্মীদের তালিকা আছে। কিন্তু এনডিটিভিকে আরও তথ্যের জন্য জেলা পুলিশ লাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি। তারপরেই উত্তরপ্রদেশের যে জেলাগুলোতে সিএএ-বিরোধী আন্দোলনে হিংসা ছড়িয়েছিল, সে জেলার পুলিশকর্তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করে এনডিটিভি।

তারাও একই দাবি করেন, কিন্তু তাদের তালিকা মোতাবেক গুলিবিদ্ধ পুলিশকর্মীদের সংখ্যা যথেষ্ট কম, যেখানে রাজ্য পুলিশের দাবি প্রায় ৩০০ জন গুলিবিদ্ধ। ফলে এই দাবি ঘিরে স্পষ্টতই বিভাজন পুলিশকর্তাদের মধ্যে। এদিকে মীরাটের পুলিশ প্রধান অজয় সাহানি বলেছেন, তাঁর জেলার ছ'জন পুলিশকর্মী আক্রান্ত। দু'জন আধা সেনার জওয়ানেরও আঘাত আছে। বিজনৌরের এসপি বিশ্বজিত শ্রীবাস্তব বলেছেন, জেলার ২১ জন জখম পুলিশকর্মীর মধ্যে ৮ জন গুলিবিদ্ধ। সম্বলের পুলিশকর্তা যমুনা প্রসাদের দাবি, "আমার জেলার ১৫ জন পুলিশকর্মী জখম। তাঁদের মধ্যে ৯ জন গুলিবিদ্ধ।" তবে সব দাবিই মৌখিক, এই সংক্রান্ত কোনও লিখিত তথ্য নেই বলে খবর। 

সিএএ: ১১ টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নের

কিন্তু, প্রতিবাদ চলাকালীন পাথর ছুঁড়ে জখম করা হয়েছে, এমন পুলিশকর্মীর সংখ্যা বরং বেশি। এমনকি একটু খোঁজ করলেই তাঁদের পাওয়াও যাবে। এমনই একজন সরকারি পরিবহন দফতরের আধিকারিক রাজীব বনসাল। তিনি এনডিটিভিকে একটা ছবি পাঠিয়েছেন, যাতে দেখা  গিয়েছে তাঁর মাথা ও হাত জখম। তিনি অভিযোগ করেছেন, আমার জখমে ৬টি সেলাই পড়েছে।  আমরা শুধু ওখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম, সেটা দেখেই উন্মত্ত জনতা পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। পাশাপাশি কানপুরের এক থানার এসআই প্রবল প্রতাপ দাবি করেছেন, তাঁকে পাথর ছুঁড়ে জখম করা হয়েছে। 

অপরদিকে বিরুদ্ধ দাবিও আছে। পুলিশের এই অভিযোগের বিরোধিতা করতে একটা পাল্টা ভিডিও সামনে এসেছে। যে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে-- প্রতিবাদীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ছে পুলিশ। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ পুলিশ গত মাসের শেষদিকে একাধিক ভিডিও ও ছবি প্রকাশ্যে এনেছিল। যে ভিডিও ও ছবি প্রকাশ করে দাবি করা হয়, মীরাটের দুই যুবক, যাঁদের মধ্যে একজন নীল জ্যাকেট পরা, পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ছে। একই দাবি করেন সে রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা। তাঁর অভিযোগ, হিংসা অধ্যুষিত এলাকাগুলো থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ বোড়ের কার্টিজ উদ্ধার করেছে। 

এখনও পর্যন্ত এই আন্দোলনের জেরে গোটা দেশ থেকে প্রায় ৩০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। উত্তর প্রদেশে সেই সংখ্যাটা বেশি।

.