This Article is From Feb 01, 2020

Budget 2020: মধ্যবিত্তের জন্য সুখবর, বাড়ল আয়কর ছাড়

Budget 2020: গত পাঁচটি ত্রৈমাসিকে জিডিপির হার নিম্নমুখী। জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে জিডিপির হার ছিল ৪.৫ শতাংশ, যা ২০১৩ থেকে সবচেয়ে কম

Budget 2020: তৃতীয়বার রাজস্ব ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হতে চলেছে সরকার

হাইলাইটস

  • ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং আয় বাড়ানোর জন্য ২০২০-২১ এর বাজেট: অর্থমন্ত্রী
  • প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পে খরচ করা হবে ১২,৩০০ কোটি টাকা
  • ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৭.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে করের হার ২০ শতাংশ থেকে কমে ১০
নয়াদিল্লি: ২০২০ অর্থবর্ষের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামান, এবারের বাজেটে ক্রেতাদের হাতে ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আয় বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে সরকার।বেতনভুকদের জন্য স্বস্তির খবর দেওয়া হয়েছে এবারের বাজেটে, আয়কর ছাড়ের হার কমানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে এবারের বাজেটে, এবং ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে কর কাঠামোয় রদবদল করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, “কর নিয়ে কোনওরকম হেনস্থা” বরদাস্ত করা হবে না। তিনি বলেন, বাজেটের তিনটি মূল বিষয় হল, উচ্চাকাঙ্খী ভারত, যত্নবান সমাজ এবং সবার জন্য আর্থিক উন্নয়ন। এদিন বাজেট বক্তৃতা শুরুর আগে, প্রয়াত অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে শ্রদ্ধা জানান নির্মলা সীতারামন, পণ্য ও পরিষেবা করকে “ঐতিহাসিক সংস্কার” বলে উল্লেখ করেন। ২.৫ ঘন্টা বক্তব্য রাখার পর বাজেট বক্তৃতা শেষ করেন নির্মলা সীতারামন।

  1. দ্বিতীয় বাজেট বক্তৃতায় আয়করের হারে উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৭.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে আয়করের হার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশের ঘোষণা করা হয়েছে। ৭.৫ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে করের হার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ কমানোর ঘোষণা হয়েছে বাজেটে। ১০ লক্ষ টাকা থেকে ১২.৫ লক্ষ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে আয়করের হার করা হয়েছে ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ। ১২.৫ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে আয়ককের হার ২৫ শতাংশ ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে।১৫ লক্ষের ওপর আয়ের ক্ষেত্রে আয়করের হার ৩০ শতাংশই রাখা হয়েছে। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনও আয়কর লাগবে না।
     

  2. মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং আয় বাড়ানোর জন্য ২০২০-২১ এর বাজেট, এই মন্তব্য করে দ্বিতীয়বারের বাজেট ভাষণ শুরু করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী  নির্মলা সীতরামন। তিনি বলেন, “উচ্চহারে বৃদ্ধির মাধ্যমে আমাদের যুব সম্প্রদায় লাভজনকভাবে এবং ভালভাবে কর্মসংস্থান পাবে”, তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেশকে ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতিতে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য পূরণে বদ্ধপরিকর সরকার।
     

  3. ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ, বলে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “অর্থনীতির ভিত শক্ত, তার ফলে বৃহত্তর অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা রয়েছে...এবং মুদ্রাস্ফীতি ঠিকভাবে ধরে রাখা গিয়েছে”। ২০১৪ এর মার্চে কেন্দ্রের ঋণ ছিল জিডিপির ৫২.২ শতাংশ, তা কমে হয়েছে ৪৮.৭ শতাংশ।
     

  4. রাজস্ব ঘাটতি:  অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান অর্থবর্ষে রাজস্ব ঘাটতি আনুমানিক জিডিপির ৩.৮ শতাংশ, এবং ২০২১ অর্থবর্ষের মধ্যে এর পরিমাণ কমিয়ে ৩.৫ শতাংশ করাই লক্ষ্য সরকারের। তিনি বলেন, তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে রাজস্ব পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেগুলি হল “উচ্চাকাঙ্খী ভারত, সবার জন্য আর্থিক উন্নয়ন, এবং যত্নবান সমাজ”।
     

  5. কৃষি: কৃষি ও গ্রামোন্নয়নে ২.৮৩ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, এবং ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বাড়ি বাড়ি পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল পৌঁছে দিতে, ৯৯,৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে শিক্ষাখাতে, ২৮,৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে মহিলাদের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পে।
     

  6. নির্মলা সীতারামন বলেন, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে কৃষি ঋণের পরিমাণ ১৫ লক্ষ কোটি টাকা করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। তিনি বলেন, কৃষিক্ষেত্রে বিকল্প ব্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করবে নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক সংস্থাগুলি।
     

  7. সাধারণ মানুষকে সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে আস্বস্ত করে অর্থমন্ত্রী আমানতকারীদের বিমা ১ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হবে।
     

  8. স্বাস্থ্য:  স্বাস্থ্যখাতে ৬৯,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন অর্থমন্ত্রী, এবং বলেন, স্বাস্থ্য যন্ত্রাংশ থেকে পাওয়া কর ওই ক্ষেত্রের পরিকাঠামোয় ব্যবহার করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছভারত প্রকল্পে খরচ করা হবে ১২,৩০০ কোটি টাকা। বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
     

  9. বিদ্যুৎ ও নবীকরণ শক্তি:  ১০ লক্ষের বেশী মানুষের বসবাসকারী শহগুলিতে পরিচ্ছন্ন বাতাসের জন্য ৪,৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন অর্থমন্ত্রী। বিদ্যুৎ ও নবীকরণের ক্ষেত্রে ২২,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
     

  10. পরিকাঠামো: ১১,০০০ কিলোমিটার রেলপথে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ১১,০০০ কোটি টাকা খরচের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার, এবং ২,০০০ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক তৈরির ঘোষণা করা হয়েছে। ১০০টি অতিরিক্ত বিমানবন্দরের উন্নয়ন এবং ৬,০০০ কিলোমিটার জাতীয় সড়কে ২০২৪ এর মধ্যে ১২ ধাপে কাজে লাগানোর ঘোষণা করা হয়েছে।



Post a comment
.